জাপানি সুর স্রষ্টা কিটারো। তবে কিটারোর পরিচয় এতটুকুতেই সীমাবদ্ধ নয়। কিটারো মরমি ঘরানার ‘নিউ এজ মিউজিক'কে বিপুলভাবে প্রভাবিত করেছেন। ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক সংগীত ধারার পাশাপাশি আধ্যাত্বিক চেতনাসম্পন্ন এক নতুন যুগের সংগীতশৈলীর প্রবর্তন করেছেন। বিপুল অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ জীবনে কিটারো যেমন গত শতাব্দীর সত্তরের দশকে ভারতীয় গুরু ওশো রজনীশ- এর শিষ্যত্ব বরণ করেছেন, তেমনি নব্বুয়ের দশকে প্রযোজনা করেছেন মার্কিন হেভি মেটাল ব্যান্ড মেগাডেথ- এর গিটারিস্ট মার্টি ফ্রিডম্যান এর Scenes । সারা বিশ্বে বিপুল ভাবে সমাদৃত ওই অ্যালবামটির ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মিক্সিংয়ের কাজটিও কিটারোই করেছেন। কেবল তাইই নয় – হংকংয়ের পপ গায়িকা আনিতা মুই কিটারোর মায়াবী সুরে গান গেয়েছেন। এভাবে কিটারো হয়ে উঠেছেন ‘নিউ এজ মিউজিক'- এর প্রবাদপ্রতিম পুরুষ ... চৌদ্দবার গ্র্যামি এওয়ার্ডস নমিনেশন তাঁর অসামান্য সংগীত প্রতিভারই নিদর্শন ...
মানচিত্রে জাপানের টোকিও শহরের এইচি প্রিফেকচার।
‘কিটারো- এই নামটি ছদ্মনাম। জাপানি কার্টুনের এক চরিত্র অললম্বনে কিটারোর এক বন্ধুর দেওয়া । কিটারোর পারিবারিক নাম: মাসানরি তাকাহাসি। তবে আমরা এ নিবন্ধে তাঁকে ‘কিটারো’-ই বলব। কিটারোর জন্ম ১৯৫৩ সালে ৪ ফ্রেব্রুয়ারি জাপানের রাজধানী টোকিওর এইচি প্রিফেকচারে। পড়াশোনা করেছেন টোয়োহাসি কমার্শিয়াল হাই স্কুলে। বৌদ্ধধর্ম সর্ম্পকে জেনেছিলেন ছোটবেলাতেই। সংবেদনশীল মনে বুদ্ধের বাণী অনিবার্যভাবেই দাগ কেটেছিল। আর স্পর্শকাতর মনে গানবাজনায় ঝোঁক তো বাল্য বয়েস থেকেই। তবে কিটারোর বিষয়ী বাবা-মা ব্যাপারটা তেমন ভালো চোখে দেখতেন না। তা সত্ত্বেও কিটারো ছেলেবেলাতেই কীভাবে যেন গিটার বাজাতে শিখে ফেলেছিলেন। ছেলেবেলায় খুব ‘রিদম অ্যান্ড ব্লুজ’ শুনতেন। মার্কিন সংগীতধারার এই গান ষাটের দশকে বিশ্বময় তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। তবে পরবর্তীকালে তাঁর কম্পোজিশনে ‘রিদম অ্যান্ড ব্লুজ’-এর প্রভাব পড়েনি অবশ্য।
এইচি প্রিফেকচার। এমন এক শহরে কিটারোর ছেলেবেলা কেটেছিল।
সংগীত তুমুলভাবে টানছিল । টোকিও শহরের তুলনায় এইচি- কে একরকম মফস্বলই বলা যায়। যে কারণে কিটারো গানের টানে গেলেন টোকিও শহরে । টোকিওর গানের জগৎটি কিন্তু এই প্রতিভাবান কিশোরকে দূরে ঠেলে রাখতে পারেনি। টোকিওতে থাকাকালীন সময়ে কিশোরের জীবন বদলে দিল একটি আধুনিক ইলেকট্রনিক মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট- সিন্থ বা সাউন্ড সিনথেসাইজার। তখনও কিশোর ভাবতে পারেনি যে আর কিছুদিনের মধ্যেই সিনথেসাইজার সুর তুলে সৃষ্টি করবেন নতুন এক সংগীতশৈলী হয়ে উঠবেন ‘নিউ এজ মিউজিক’- এর এক জন শীর্ষস্থানীয় গুরু।
সিনথেসাইজার। এটি ১৯৭০ সালে তৈরি। কিটারোর বয়স তখন ১৭। সিনথেসাইজার-এর প্রধান বিশেষত্ব হল ওয়াইড রেঞ্জ অভ সাউন্ড উৎপন্ন করা। এছাড়া নতুন শব্দ সৃষ্টি বাদেও সিনথেসাইজার অন্যান্য বাদ্যযন্ত্রের শব্দও তৈরি করতে পারে।
কিটারো গানকেই পেশা হিসেবে নিতে চাইলেন। তবে তাঁর মা-বাবা টোকিওর এইচি-র একটি কোম্পানিতে ছেলের চাকরির ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন। In return, he left home without telling them... লিখেছেন একজন লেখক। (গৌতমবুদ্ধের জীবনের এক পর্যায়ের সঙ্গে কোথায় যেন মিলে যায় কিটারোর এই গৃহত্যাগের ঘটনাটি। এ যেন বৈষিকতার বিরুদ্ধে বিরাট প্রতিবাদ ) ... তারপর? তারপর সে এক ইতিহাস। সে ইতিহাস যেমন করুন তেমনই বিস্ময়কর। পার্ট টাইম চাকরি করে কোনওমতে নির্লিপ্ত টোকিও শহরে বেঁচে থাকা। ওই সময় বাবুর্চির কাজও করেছেন ... দুঃসময়ে অন্তরের শুদ্ধতম আলো থেকে বিপুল প্রেরণা পেয়েছেন। প্রেরণা দিয়েছেন আরাধ্য বুদ্ধ। বুদ্ধ মহাপরিনির্বানের (মৃত্যুর) আগ মুহূর্তে শিষ্যদের বলেছেন, ‘স্বাবলম্বী হও। কারও ওপর নির্ভর করো না।’ সেই সব নিদারুণ দুঃসহ দিনে কিটারো দিনে কাজ করতেন আর রাতের বেলায় সিনথেসাইজার-এ সুরের ধ্যান করতেন।
জার্মান সংগীত পরিচালক ক্লাউস শুলৎস।ইনি কিটারোর মনে আলো জ্বেলেছিলেন। এই ছবিটি ১৯৭৩ সালে তোলা।
তারপর কিটারো ‘ফার ইস্ট ফ্যামিলি ব্যান্ড’ নামে একটি ব্যান্ডে জয়েন করলেন।জাপানি এই ব্যান্ডের সঙ্গে পৃথিবীর কয়েকটি দেশে ট্যুর করলেন। ইউরোপ থাকার সময় জার্মান সংগীত পরিচালক ক্লাউস শুলৎস -এর সঙ্গে ভাগ্যক্রমে দেখা হয়ে গেল। শুলৎস ওই সময়ে কিটারোকে সিনথেসাইজার বাজানোর কিছু টিপস দিয়েছিলেন। যাই হোক। ১৯৭৬ সালে কিটারো ফার ইস্ট ফ্যামিলি ব্যান্ড ছেড়ে দিলেন। হয়তো হৈ হট্টগোল ভালো লাগছিল না। হৃদয় নির্জন হতে চায়। পৃথিবীকে কিছু দেবার আগে মহাপুরুষদের মতন এক ধ্যানে মগ্ন হতে চায়। কিটারো মহামতি বুদ্ধের পবিত্র চিহ্নের সন্ধানে ঘুরে বেড়ালেন চিন, লাওস, থাইল্যান্ড এবং ভারত।
কিটারো মহামতি বুদ্ধের পবিত্র চিহ্নের সন্ধানে একাকী এক
মরমি পথ পরিক্রমা করেছিলেন।
তখন বলেছিলাম কিটারো হয়ে উঠেছিলেন ‘নিউ এজ মিউজিক’ -এর একজন শীর্ষস্থানীয় গুরু। এর প্রথম ধাপ ছিল সিনথেসাইজার-এর আবিস্কার; অর্থাৎ তাঁর সংগীত প্রতিভা বা সংগীতবোধ। দ্বিতীয় ধাপটি ছিল: প্রাচ্যের বৌদ্ধঅধ্যূষিত দেশগুলি পরিভ্রমন। ‘নিউ এজ মিউজিক’ হল পাশ্চাত্যের ‘নিউ এজ মুভমেন্ট’-এরই ফসল-যা গভীর আধ্যাত্বিক চেতনাকে ধারণ করে। এখানেই ‘নিউ এজ মিউজিক’ এর সঙ্গে অন্যান্য সংগীত ঘরানার পার্থক্য। তাহলে ‘নিউ এজ মিউজিক’ এর সঙ্গে ‘নিউ ওয়েভ মিউজিক’- এর পার্থক্য কোথায়? এই অনিবার্য প্রশ্নটি উঠতেই পারে। ‘নিউ ওয়েভ মিউজিক’ হল রক মিউজিক এর স্বাভাবিক বিবর্তন-যে ঘরানায় গভীর আধ্যাত্বিক চেতনা আবশ্যিক নয়।
ওশো রজনীশ। এই ভারতীয় গুরু বৌদ্ধ দর্শনের আধুনিক ভাষ্যের জন্য বিশ্বের মরমি পরিমন্ডলে জনপ্রিয়।
কিটারে ভারতে ওশো রজনীশ- এর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সম্ভবত তাঁর শিষ্যত্বও বরণ করেছিলেন। (তবে আমি এ বিষয়ে নিশ্চিন্ত নই) ... এবং তাদের মধ্যে কী কথা হয়েছিল তা আজ আর আমাদের পক্ষে জানার উপায় নেই। তবে ‘সৃজনশীলতা’ সর্ম্পকে ওশো রজনীশ- এর দশটি মন্তব্য নীচে উদ্ধৃত করা হল, যাতে তাঁর চিন্তার গভীরতা উপলব্দি করা যায় :
1.God is creativity, not a Creator.
2.Creativity is always from the beyond.
3.Real creativity comes only out of silence.
4.God is not repetitive; His creativity is infinite.
5.God is not a person but creativity, not a creator but creativity.
6.When you attain to an egoless emptiness great creativity happens.
7.Creativity means you have to disappear, you have to allow God to be.
8.In meditation, whatever happens is bound to be expressed in creativity.
9.First meditation, then out of meditation there is a spontaneity of creativity.
10.In the moment of deep creativity you disappear, God again starts functioning.
সৃজনশীলতা সর্ম্পকে ওশো রজনিশ- এর এই নিগূঢ় উপলব্দি বৌদ্ধ দর্শন প্রভাবিত। যদিও তা সময়ের কারণে ঈষৎ পরিবর্তিত। তবে ওশো রজনিশ- এর বৌদ্ধ দর্শনের আধুনিক ব্যাখ্যা ‘নিউ এজ মিউজিক’ কে বিপুলভাবে প্রভাবিত করেছে । বৌদ্ধ দর্শনের মূলভাব এতোকাল কবিরা শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। কুড়ি শতকের কিছু মরমি সংগীত পরিচালকরা বৌদ্ধ দর্শন জাত উপলব্দি সুরের মাধ্যমে প্রকাশ করার কথা ভাবলেন । কিটারো তাঁদের অন্যতম ...
মরমি কিটারো
১৯৭৭ সাল। সমৃদ্ধ মনন আর মরমি সংগীতবোধ নিয়ে কিটারো জাপান ফিরে এলেন। তারপর অর্ন্তলোকে ডুব দিয়ে মগ্ন হলেন সুর সৃষ্টিতে । রবীন্দ্রনাথের ভাষায়-
রূপ সাগরে ডুব দিয়েছি/ অরূপ রতন আশা করে ...
বের করলেন ‘টেন কাই’ এবং ‘ফুল মুন স্টোরি’ নামে দুটি অ্যালবাম। যারা ‘নিউ এজ মিউজিক’ বোঝেন- তারা অ্যালবাম দুটি কে হৃদয়ে গ্রহন করে। ওই সময়েই টোকিওর একটি মিলনায়তনে প্রথম কনসার্ট করলেন কিটারো।
মানচিত্রে সিল্ক রোড। সিল্ক রোড বা ‘রেশম পথ’ প্রাচীন চিনের ইতিহাসকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। এই প্রভাব জাপানের জন্য ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা, খ্রিস্টপূর্ব যুগে জাপানের ওপর চিনের গভীর প্রভাব পড়েছিল।
সিল্ক রোড ধরেই ভারতবর্ষ থেকে বৌদ্ধধর্ম ছড়িয়ে পড়েছিল মধ্যএশিয়ায়। জাপানে ‘দ্য সিল্ক রোড: দ্য রাইজ অ্যান্ড ফল অভ সিভিলাইজেশনস’ নামে একটি সুদীর্ঘ ধারাবাহিক ডকুমেন্টারি নির্মিত হয় এবং ১৯৮০ সালে সেটি জাপানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে একটানা দশ বছর ধরে প্রচারিত হতে থাকে । প্রামাণ্যচিত্রটির সাউন্ডট্র্যাক করেছিলেন কিটারো; যে ‘সাউন্ডট্র্যাক’ লক্ষ লক্ষ কপি বিক্রি হয়েছিল। সিল্ক রোড- এর সাউন্ডট্র্যাকই কিটারো কে বিশ্বজুড়ে পরিচিত করে তুলেছিল।
কিটারোর ইন্ডিয়া অ্যালবামের প্রচ্ছদ।
অর্ন্তলোকে ডুব দিয়ে এক এক করে অ্যালবাম বার করছিলেন: Astral Voyage, Full Moon Story, Millennia, India, Silver Cloud and Asia. প্রতিটি অ্যালবামেই স্বর ও সুরের মাধ্যমে পার্থিব ও পরম জগতের মধ্যবর্তী মায়াবী পর্দাটি দুলিয়ে দেন । শান্তিবাদী অহিংস শ্রোতারা উজ্জ্বীবিত হয়ে উঠলেন মঙ্গলময় এক পৃথিবীর স্বপ্নে। কেননা ততদিনে নিউ এজ মিউজিক এবং পরিবেশবাদী আন্দোলনের সর্ম্পকটি ঘনিষ্ট হয়ে উঠছিল।পরিবেশ ও প্রকৃতিকে বাঁচানোর স্বার্থেই যেন কিটারো প্রকাশ করছিলেন প্রকৃতির মৌন নিগূঢ় বাণী।
মরমি কিটারো।
বিশ্বে যারা যন্ত্রসংগীত বা ইন্সট্রুমেন্টাল মিউজিক পছন্দ করেন তাদের মধ্যে কিটারোর যন্ত্রসংগীতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠার ফলে কিটারো সারা বিশ্বে তাঁর অর্কেস্ট্রা নিয়ে ট্যুর করতে থাকেন এবং একই সঙ্গে তাঁর লক্ষ লক্ষ কপি লং প্লে রেকর্ড বিক্রি হতে থাকে । কিটারো ১৯৮৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ট্যুর করেন। ওই সময়ে তাঁর দশ মিলিয়ন রেকর্ড বিক্রি হয়েছিল। ‘হেভেন অ্যান্ড আর্থ’ নামে একটি চলচ্চিত্রে সাউন্ডট্র্যাক করে জয় করেন গোল্ডে ন গ্লোব অ্যাওয়াড। ১৯৮৯ সালে জাপানি ছবি রির্টান ফ্রম দ্য রিভার কাওয়াই ছবির সংগীত পরিচালনা করেন।
‘হেভেন অ্যান্ড আর্থ’ এমপি থ্রি ডাউনলোড লিঙ্ক
http://www.mediafire.com/?pe5m454fdwawovo
কিটারো ও গিটার ...
কিটারো ১৯৮৩ সালে বিয়ে করেছিলেন ইউকি তাওকা কে। ইউকি তাওকা-র বাবা ছিলেন কাজুও টাওকা। ইনি ছিলেন জাপানের ইয়াকুজা সিন্ডিকেটের গডফাদার। সে যাই হোক। ইউকি তাওকা -র একটি ছেলে হয়। তবে কিটারো বেশির ভাগ সময়ই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকতেন বলে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কিটারো নব্বুয়ের দশকের মাঝামাঝি কেইকো মাৎসুবারাকে বিয়ে করেন। কেইকো মাৎসুবারা একজন বাদ্যযন্ত্রশিল্পী এবং কিটারোর অর্কেস্ট্রায় বাজান।
মরমি কিটারো। যিনি বলেন, আমার একেবারেই সংগীতে শিক্ষাদীক্ষা নেই। আছে কেবল কান আর অনুভূতি।
অতুলনীয় সুরের জন্য কিটারো এমন এক শক্তিকে কৃতিত্ব দেন যে শক্তি তাঁর অন্তরে নিহিত। তিনি বলেন, ‘দিস মিউজিক ইজ নট ফ্রম মাই মাইন্ড । ইট ইজ ফ্রম হেভেন, গোয়িং থ্রু মাই বডি অ্যান্ড আউট মাই ফিংঙ্গারর্স থ্রু কম্পজিং।’ তিনি আরও বলেন, মাঝেমাঝে আমি এই ভেবে অবাক হই যে-আমি কখনও প্র্যাকটিস করিনি, আমি মিউজিক লিখতে কি পড়তেও পাড়ি না। বাট মাই ফিঙ্গারস মুভ ; আমার ভারি অবাক লাগে যখন ভাবি- ‘কার গান এটা?’ আই রাইট মাই সংস বাট দে আর নট মাই সংস।
আনিতা মুই। ইনি হংকংয়ের পপ গায়িকা। ইনি কিটারোর সুরেও গান গেয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য Years flow like water.
Years flow like water গানটির লিরিক:
Looking at the sea with tiredness
I don't cry and I don't even speak out a word
I look at the sky, I only feel messed up
My heart is like a small wooden boat which is unable to look further
But it's still moving on
Who punishes me in this life?
I struggle everyday in the sea of people
I feel sorry in my heart
Years flow like water, I can't keep yesterday
So I only can keep the memories
The memories are in my mind forever, one by one
In this world, I miss and miss the past years
My appearance has already changed
My condition has also changed but not has my feelings
গানটির কথায় বৌদ্ধদর্শনের দুঃখবাদ স্পষ্ট। এবং এই অতি কোমল গানের সুরে কিটারোর মরমি অন্তরলোকের অর্ন্তলীন মায়াবী সুরের চিহ্ন রয়েছে। আনিতা মুই- এর গাওয়া Years flow like water গানটির এমপি থ্রি ডাউনলোড লিঙ্ক
http://www.mediafire.com/?d73mbd9n01104aq
নিউ এজ মিউজিক এবং পরিবেশবাদী আন্দোলনের সর্ম্পক ঘনিষ্ট।
নিউ এজ মিউজিক যেমন মানুষের ভাবলোক নিয়ে সচেতন; তেমনি মানুষের পরিবেশ নিয়েও সচেতন। পরিবেশবাদী আন্দোলনের মুলেই রয়েছে concerns of non-human elements. এই চেতনাটি বুদ্ধের শিক্ষার অন্যতম-যা কিটারো লালন করেন। বুদ্ধ বলেছেন: জলের ফোঁটার প্রতিও আমার দয়া হইত ... ২০১১ সালে মার্চ ও এপ্রিল মাসে কিটারো থাইল্যান্ড হংকং ইন্দোনেশিয়া সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়া ট্যুর করেন। ওই সময়ে তিনি ভূমিকম্প এবং সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্থদের সিডি বিক্রির কিছু অংশ দান করেন।
কিটারো আজ বিশ্বের সংগীতজগতে একজন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব।
কিটারো জীবনের উত্থানপর্বে ভারতীয় মরমি গুরু ওশো রজনীশ- এর ভাবনায় প্রভাবিত হয়েছিলেন। যিনি বলেছিলেন: In meditation, whatever happens is bound to be expressed in creativity. আজ ভাবলে অবাকই হতেই হয় যে- কিটারো একদিন সংগীতকেই ধ্যানজ্ঞান করতে চেয়েছিলেন, অথচ তাঁর মা-বাবা ছেলের প্রকৃত সত্তাকে চিনতে না পেরে চাকরির ব্যবস্থা করেছিলেন। In return, he left home without telling them. তারপর কীভাবে এই মরমি সুরকার বিশ্বময় সংগীতপ্রেমি মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করলেন তা এক বিস্ময় বৈ কী ... আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে রাজপ্রাসাাদের সুখ আর স্বাচ্ছন্দ্য অবহেলা করে গৌতম বুদ্ধ যে বিস্ময় সৃষ্টি করে গিয়েছেন ...
পিয়ানো তো Years flow like water গানটির এমপি থ্রি ডাউনলোড লিঙ্ক
http://www.mediafire.com/?8zyaq6qsitasu5s
মার্টি ফ্রিডম্যান-এর তিবেট এর এমপি থ্রি ডাউনলোড লিঙ্ক
http://www.mediafire.com/?l9c5wwdrn9orra3
"মাৎসুরি" শব্দটি জাপানি। এর অর্থ হল- উৎসব। কিটারোর মাৎসুরি-র এমপি থ্রি ডাউনলোড লিঙ্ক
http://www.mediafire.com/?s2mqpaq4ngjohj6
ছবি: ইন্টারনেট।
তথ্যসূত্র:
http://artistwiki.com/kitaro/biography
http://www.last.fm/music/Kitaro/+wiki
Click This Link
http://www.religioustolerance.org/rajneesh.htm
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link