It is a man's own mind, not his enemy or foe, that lures him to evil ways. Buddha ২০০৭ সালের ১১ জুলাই। বুধবার। জগন্নাথগঞ্জ ঘাট থেকে একটি ট্রেন ময়মনসিংহ শহরের দিকে যাচ্ছিল। বেলা ৩টা বেজে ১৫ মিনিট। একই পরিবারের নয় জন সদস্য সেই চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে । দেশজুড়ে ওই গণ-আত্মহত্যা তুমুল আলোরণ ওঠে। পরের দিন বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত ইংরেজি পত্রিকা লেখে: Nine members of a family, including three children, allegedly committed suicide by jumping under a train at Kashore near the outer signal of Mymensingh Railway Station... Local sources said the elderly family members tied up the younger ones with clothes and then, altogether, jumped under the train. ( The Daily Star. (2007a). Nine of a family commit ‘suicide’. Retrieved 12 July 2007 from Click This Link)
ঘটনাটি অত্যন্ত বিরল বলেই একই পরিবারের আত্মহত্যার কারণ নিয়ে দেশজুড়ে মানুষ কৌতূহলী হয়ে ওঠে । সেই সঙ্গে কৌতূহলী হয়ে ওঠেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যগণ এবং সাংবাদিক মহল। তারা আত্মহত্যাকারীদের লেখা ‘সুইসাইড নোটস’ আবিস্কার করেন । এবং এভাবে আদম ধর্মের স্বরূপ এবং তার বিচিত্র প্রেক্ষাপটটি উদঘাটিত হয়।
আত্মহত্যাকারীরা সবাই ছিল আদম ধর্মে বিশ্বাসী এবং স্থানীয় আদম-পরিবারের সদস্য। পরিবারের প্রধান কর্তার নাম আবদুল আদম। ইনি অবশ্য গণআত্মহত্যার সাত বছর আগেই মারা গিয়েছিলেন। আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে ছিল আবদুল আদম-এর স্ত্রী হাজেরা ( বয়স আনুমানিক ৬০), এক ছেলে ( আদিল, বয়স মধ্য-তিরিশ); চার মেয়ে (আফসারি (৪০), মনসুরা (৩৩), রাজিয়া (২৯) এবং শারমিন (১৭); রিনা (১৮) নামে ওই পরিবারের এক গার্হস্থ্যকর্মী এবং মন্টু (১০) এবং মুন্নী (৯) নামে দুটি শিশু (এদের মা সম্ভবত আফসারি)।
আমি এই পোস্টটি Mental Health, Religion & Culture (Vol. 13, No. 3, April 2010, 223–244) এ প্রকাশিত ডা. নাসিমা সেলিম এর লেখা গবেষনাপত্র An extraordinary truth? The Adam ‘‘suicide’’ notes from Bangladesh -এর তথ্যের ওপর ভিত্তি করে লিখছি। আদম-ধর্মে ইসলাম ধর্ম এবং ইসলাম ধর্মের নবী সর্ম্পকে অত্যন্ত হীন মন্তব্য করা হয়েছে। এ বিষয়ে ডা. নাসিমা সেলিম লিখেছেন:I must apologise beforehand, if at any point, I unintentionally hurt the sentiments of my Muslim brothers and sisters. In this paper, there are ‘‘extremely sensitive’’ remarks on the Prophet of Islam by some of my dead informants. I will try to limit these comments to a bare minimum, unless it is absolutely necessary for the purpose of this paper. এ বিষয়ে ডা. নাসিমা সেলিম এবং আমার বক্তব্য অভিন্ন। কাজেই আশা করি এই পোস্টের কিছু ইসলামবিরোধী বক্তব্যের জন্য অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি হবে না।
আবদুল আদম ছিলেন আদম ধর্মের প্রবক্তা । তাঁর প্রকৃত নাম আবদুল হোসেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে নন-কমিশন্ড অফিসার হিসেবে চাকরি করতেন এবং ১৯৭২ সালে অবসরে যাওয়ার পর ময়মনসিংহের উপকন্ঠে কালিন্দীতে স্থায়ী ভাবে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। আবদুল হোসেন অবসর সময়ে (মূলত ধর্মীয়) পড়াশোনা করতেন, শখের চাষবাস করতেন, তিনি কবিরাজীও জানতেন। লোকজনকে ঔষধপত্র ছাড়াও তাবিজ-কবজও দিতেন। অত্যন্ত নামাজি মানুষ ছিলেন আবদুল হোসেন । পাড়া পড়শীরা তাঁকে শ্রদ্ধাভরে ‘আবদুল দরবেশ’ কিংবা ‘আবদুল ফকির’ বলে ডাকত।
১৯৯৫ সালে আবদুল হোসেন-এর ধর্মীয় বিশ্বাসে এক ব্যাপক পরিবর্তন আসে। তিনি নিজেকে ‘আবদুল আদম’ নামে পরিচয় দিতে থাকেন। প্রকাশ্যে পবিত্র কোরানের ঐশী মর্যাদা সম্বন্ধে প্রশ্ন তোলেন, একই সঙ্গে জনসমক্ষে নবীর জন্মের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। শুধু তাই না, আবদুল আদম ইসলাম এবং অন্য ধর্মের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ এবং নিন্দা প্রকাশ করতে থাকেন। ওই বছরই,অর্থাৎ, ১৯৯৫ সালে স্থানীয় একটি বাজারে পবিত্র কোরান এবং ইসলামের নবীর বিরুদ্ধে স্থানীয় মুরুব্বীদের সঙ্গে তর্কযুদ্ধে লিপ্ত হন আবদুল আদম । আবদুল আদম ইসলামের নবীকে Hinnath Ajajil Mokrom Shaitan মনে করতেন। হয়তো মুরুব্বীদের তাই বলেছিলেন। এতে জনতা সঙ্গত কারণেই তাঁর ওপর ভয়ানক ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে; এবং জনতা তাঁকে তীব্র ভাষায় গালমন্দ করে এবং লাঞ্ছিত করে বাজার থেকে জোরপূর্বক বের করে দেয়।
এই ঘটনার পর থেকে মৃত্যু অবধি আবদুল আদম লোকজন এড়িয়ে চলতেন। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে সময় কাটাতেন, তাদের আদম ধর্মে দীক্ষা দিতেন । এই সময়কার জীবন কেমন ছিল? আবদুল আদম- এর মেয়ে মনসুরার লেখায় সে সর্ম্পকে জানা যায়। মনসুরা লিখেছে: Why every morning my father was muttering verbal insults while sitting inside his room [when nobody was around]? Why did he strike the bed repeatedly with his stick? And [all this was directed] to whom? No one behaves like this without a reason? . . . He used to beat up every mad man that passed in front of our house. The neighbours tried to put a stop to it. But let me ask, why would a healthy [did she mean sane?] man beat a mad man of the street? . . . These mad men were all Muhammad’s agents. He sent them to torture us.That is why my father used to beat them. (Translated from notes written by Monsura) ... আবদুল আদম এর কাছে আগে যে লোকজন তাজিব-কবজের জন্য আসত - তারা আর আসে না। তা ছাড়া আবদুল আদম অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। আবদুল আদম যেহেতু মুহাম্মদবিরোধী ছিলেন, কাজেই তিনি তাঁর অসুস্থতাকে তার ওপর মুহাম্মদ এবং তার অনুচরদের ‘গায়েবি আক্রমন’ বলে মনে করতেন। (পরবর্তীকালে আবদুল আদম এর ছেলেমেয়েদের লেখায় এসব তথ্য জানা গেছে) ... আবদুল আদম এবং তাঁর পরিবারটি ইসলাম-বিরোধী বলে পরিবারটির ওপর স্থানীয় পাড়া প্রতিবেশিরা ভয়ানক নাখোশ ছিল। পাড়া প্রতিবেশিরা আবদুল আদম এর বাড়ির কম্পাউন্ডে ঢুকে গাছ কেটে ফেলত, পানির লাইন কেটে দিত। যে বাড়িটির কয়েক গজের মধ্যেই রেললাইন ...
সে যাই হোক। ২০০০ সালে অসুস্থ আবদুল আদম কে আনা হয় ঢাকায়। ১১ জুলাই তিনি মারা যান। উল্লেখ্য, আবদুল আদম পরিবারের ৯ সদস্যের আত্মহত্যার তারিখও ছিল (২০০৭ সালের) ১১ জুলাই! অর্থাৎ, আবদুল আদম ২০০০ সালের ১১ জুলাই ঢাকায় মারা যাওয়ার ৭ বছর পর তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ওই একই তারিখে আত্মহত্যা করে।
সে যাই হোক। আবদুল আদম-এর লাশ ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ আনা হয়। এর পর তাঁর লাশের জানাজা এবং দাফন নিয়ে তুমুল গোলযোগ দেখা দেয়। তাঁর লাশ কীভাবে সমাধিস্থ করা হবে সে ব্যাপারে আবদুল আদম পূর্বেই এক লিখিত নোটে তার পরিবারকে নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন। এবং সে নির্দেশ ছিল স্পষ্টই ইসলাম-বিরোধী। আবদুল আদম লিখেছেন: After my death, do not perform the janazah. Do not give me a bath and do not cover me with a kafan. Dig up the soil inside the house and bury me under. Bury me in the same clothes I shall be wearing. When you lay me down in the grave, my head should be turned towards the east, my feet to the west, and my face towards south. If there is any violation to this [instruction], I will take revenge. আবদুল আদম- এর পরিবার তাঁর নিদের্শ মোতাবেক লাশ দাফনের উদ্যেগ নেয়। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম প্রতিবেশিদের বিরোধীতায় তা আর সম্ভব হয় না। পরিশেষে পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসক এবং স্থানীয় আলেমদের উপস্থিতিতে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তারপর লাশ স্থানীয় গোরস্তানে দাফন করা হয়। অবশ্য তাঁর পরিবারের কোনও সদস্যই জানাজায় যোগ দেয়নি।
আবদুল আদম এর মৃত্যুর পর তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র মারূফ আদম তার পিতার আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারী হিসেবে ‘আদম-ধর্ম’টির নেতার ভূমিকা পালন করে। মারূফ আদম সম্বন্ধে তার পরিবারের অত্যন্ত উঁচু ধারণা ছিল । এ প্রসঙ্গে তার ছোট বোন শারমিন এর বক্তব্য পাঠ করা যাক ‘‘My brother worked as dean in many 52 international university in Dhaka and in outside. He is extraordinary smart, intelligent and individual and intellectual man I ever met. There is no doubt. He is different. I am very proud to be his sister . . .My brother left by muhamad’s attacked.’’ (original spellings)
সে যাই হোক। আবদুল আদম-এর মৃত্যুর পর এবং জানাজা এবং দাফনবিষয়ক জটিলতায় আদম পরিবারটি ক্রমেই আরও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরিবারটির ওপর নির্যাতন অব্যাহত থাকে। আদম পরিবারের গার্হস্থ্যকর্মী রিনার ভাষ্য মতে:In different ways . . . they stole furniture, tube wells, broke the toilet doors and took away the bathroom pipes. They came inside the house and tried to cut the trees. (বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুদিত; আত্মহত্যাকারীদের লেখা ডায়েরিতে রিনার হাতের লেখায় কিছু কথা ছিল)
এসব কারণে পরিবারটি ময়মনসিংহ ত্যাগ করে ঢাকায় চলে আসতে বাধ্য হয়। অবশ্য আদম পরিবারের ঢাকায় বসবাসকালীন সময়ে তাদের জীবনধারা সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি। তবে ঢাকায় বসবাসের এক পর্যায়ে মারূফ আদম কলাবাগানে অত্যন্ত নির্মম ভাবে খুন হয়। খুনের কারণ জানা যায়নি। তবে আদম পরিবারটি ওই খুনের কারণ হিসেবে আদম পরিবারের ওপর মুহাম্মদ এবং তার অনুচরদের ‘গায়েবি আক্রমন’ বলে মনে করত । এই মনোভাব আদিল আদম এর লেখায় প্রকাশ পেয়েছে: So who we are? I have already given my and our identity as ‘‘ADAMS’’ . . .We have come to establish the truth and reallity in to the world but our bodies were killed again and again by mohamod’s rules, law and relisions. (original spellings intact)
মারূফ আদম নিহত হওয়ার পর পরিবারটি ময়মনসিংহ চলে আসে।ওই সময়ে আদম পরিবারের অর্থনৈতিক সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করে । একজন গার্হস্থ্যকর্মী এবং দুটি ছোট শিশু সহ আদম পরিবারটিতে মেয়েদের সংখ্যাই বেশি। কাজেই ঢাকায় আবদুল আদম -এর ছোট ছেলে আদিল আদম উপার্জনের জন্য যায়। এবং টিউশনি করতে থাকে। ওই সময়ে ফাতেমা নামে একটি মেয়ের সঙ্গে আদিল আদম-এর ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয়।ফাতেমা সম্ভবত ময়মনসিংহে এসেছিল। আবদুল আদম- এর মেয়ে মনসুরা ফাতেমাকে আদম ধর্ম সম্পর্কে জানায়। এবং তাকে ওই ধর্মে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করে । মনসুরা লিখেছে: But when she placed the Qur’an at the feet of the evil Fatema [Adils’ girlfriend] why did Fatema became unconscious, and nothing happened to Monsura? কিছুই ঘটেনি বলে মনসুরা এই ঘটনায় আদম ধর্মের শ্রেষ্টত্ব উপলব্দি করে।
আদম পরিবারের প্রত্যেক সদস্যই মনে করত তাদের ওপর আবদুল আদম এবং আবদুল মারূফ - এর আত্মা ভর করে আছে। এই ধারণার বশবর্তী হয়ে মনসুরা লিখেছে: My daughter Monsura said she did not abide by Muhammad’s rules. She does not believe in any religion and she even attempted to burn the Qu’ran.
একমাত্র আবদুল আদম এর কন্যা বেবি আদম ধর্মটি গ্রহন করেনি। বেবি প্রথম থেকেই তার পিতার প্রবর্তিত ধর্মের তীব্র বিরোধীতা করে আসছিল। (আবদুল আদম এর সন্তানদের মধ্যে একমাত্র বেবি-ই ২০০৭ সালের ১১ জুলাই গণআত্মহত্যায় অংশ নেয়নি।) বেবি সম্বন্ধে আবদুল আদম -এর মেয়ে রাজিয়া লিখেছে: There is someone in our house, another form of Muhammad, and she is Baby Muhammad. This Baby Muhammad Shaitan insulted and hurt our father . . . , mother, and all of us . . . She . . . spitted on our face . . . There is no place for Baby Muhammad in our mind and no place for her in this house and nowhere in this world. This Shaitan has destroyed our peace of mind.
সে যাই হোক। আবদুল মারূফ টিউশনি করে যা আয় করত তাতেই কোনওমতে সংসার চলত। পরিবারটি পাড়া প্রতিবেশির সঙ্গে একরকম মিশতই না। বাইরেও তেমন বের হত না। কেবল গার্হস্থ্যকর্মী রিনাকে বাইরে যেতে দেখা যেত। অবশ্য কোনও কোনও সদস্যকে মাঝেমধ্যে বাজারে যেতে দেখা যেত। এসব মিলিয়ে আদম পরিবারের জীবনযাত্রা ভিন্ন হয়ে উঠেছিল।
এই বিচ্ছিন্ততাবোধই কি আদম পরিবারটিকে গণআত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছিল?
আদম পরিবার সম্বন্ধে এলাকার কেউ কেউ বলত যে আদম পরিবারটি খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহন করেছে। কিংবা পরিবারটি সন্ধ্যার সময় বসে মৃত পিতা এবং ভাইয়ের আত্মা আহবান করত; পরিবারের সদস্যরা রাতের বেলায় জেগে থাকত, দিনের বেলায় ঘুমাত। কুফরি কালাম করত, জ্বিন হাসিল করত; জ্বিন নাকি তারা বোতলে ভরে রাখত। আদম পরিবারের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর এ ধরণের নানা অভিযোগ ছিল। এ বিষয়ে ডা. নাসিমা সেলিম লিখেছেন: Since the burial incident, followed by the murder of the eldest son and, subsequently, their return to Kalindi, battle lines were drawn between the family and the outside world.
আদম পরিবারের সদস্যরা আত্মহত্যার পূর্বে কয়েকটি ডায়ারিতে পূর্বাপর সমস্ত ঘটনা লিখে গেছে, যা ‘সুইসাইড নোটস’ বলে মনে করা হয়। যেমন ১৭ বছর বয়েসি শারমিন লিখেছে (ইংরেজিতে) ... My name is Sharmin Adam. I am writing about some extraordinary truth. Maybe you will not . . . [find] any similarity anywhere . . . I am declaring that religions are false. Now I will explain how...
সুতরাং আদম ধর্মটি সম্বন্ধে আমাদের তথ্যের উৎস আত্মহত্যার পূর্বে লেখা পরিবারের সদস্যদের ডায়ারি।
এর আগে আমি লিখেছি যে, ১৯৯৫ সালে আবদুল হোসেন এর ধর্মীয় বিশ্বাসে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। কি সেই পরিবর্তন? আবদুল হোসেন- এর মনে হতে থাকে যে তিনি হলেন আদম। এ বিষয়ে আবদুল আদম- এর বড় মেয়ে আফসারি লিখেছে: Adam is the lord of the world and the universe. He is a completely self-contained man, the best. This complete man is my father. Abdul Adam . . .We are all childrens of Adam (Bani Adam). Adam is the highest truth. The rules of Adam is the truth. The existence of Adam is the truth. All else is a lie. (বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ) আবদুল আদম- এর মেয়ে শারমিন লিখেছে:Whatever you have heard about Adam and Eve, those are false. There was a first Adam. Who created the whole universe. He is a God, the creator of all thing . . . Every century he came . . . He is now in Bangladesh. But everyone unable to recognize the valuable things . . . The name is Abdul Adam. (original spellings) ... আবদুল আদম- এর ছেলে আদিল আদম লিখেছে: I am declaring that Hinnath Ajajil Mokrom Shaitan (Mohammad) is a pig and a dog. His all relisons [religions?], law, rules, everything is false and cheating to all creatures and he must be punished and still he is suffering in hell. The earth must be as wonderful place with full of peace and without any existence of Hinath Mokrom Ajajil Saitan (Mohammad). (original spellings intact)
আদম পরিবারের তিন সদস্যের লেখায় আদম ধর্মটির স্বরূপ মোটামুটি বোঝা গেল। এ বিষয়ে ডা. নাসিমা সেলিম লিখেছেন: the Adam ‘‘religion’’ was rooted in the Be-shara (against orthodoxy) tradition within Islam. অর্থাৎ দীর্ঘদিন ধরে বাংলায় যে কুফরিকালাম চর্চা হয়ে আসছে আবদুল আদম এর চিন্তাধারায় প্রোথিত সেই শরিয়তবিরোধী ধ্যানধারণায়।
কিন্তু, ১৯৯৫ সালে আবদুল হোসেন এর চেতনায় যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল তাকে কি বলা যায়? মনোবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে Delusion.আর আদম পরিবারের প্রত্যেকেই যে সেই বিভ্রান্তির শিকার হয়েছিল তাকে Shared Delusion বলা হয় । এ বিষয়ে ডা. নাসিমা সেলিম লিখেছেন: Shared Psychotic Disorder (SPD), referring to a condition where all members of a family share the delusions (Mirabzadeh et al., 2007). This is an extremely rare condition, but one that has been found in many different cultures.
কিন্তু আদম পরিবারটির সম্মিলিত গণ-আত্মহত্যার কারণ কি ছিল?
এ বিষয়ে শারমিন লিখেছে: Our last resort is go and finish them [the neighbours as Muhammad’s agents] all.. . .We never imagined that we have to stay without them [father and elder brother] . . . Just one wish that go to my father and brother and take revenge on Muhammad . . .We also take revenge on people shaped dogs, who hit us badly. And who did’t let us do what we had to do. We just waiting for a right time. Our time is coming soon . . . After we gone, everything will express and no one can’t do any backlash. There will be no Muhammad’s existance in the world. All mosque, Pagoda, Temple and church will perish forever. (in original spelling)
আত্মহত্যার জন্য দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয় ২০০৭ সালের ১১ জুলাই; বুধবার; বেলা ৩টা বেজে ১৫ মিনিট।... যখন জগন্নাথগঞ্জ ঘাট থেকে একটি ট্রেন ময়মনসিংহ শহরের দিকে যাচ্ছিল। দ্রুতগামী ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষে নয় জনের শরীরই ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে চর্তুদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। এমন কী কারও কারও শরীরের অংশ তিন কিলোমিটার দূরে শাঙ্কিপাড়া লেভেল ক্রসিং এর কাছে পাওয়া গিয়েছিল। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ শরীরের ছিন্নভিন্ন অংশ সংগ্রহ করে। ময়নাতদন্তের পরে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম লাশগুলির খন্ডিতাংশ দাফন করে।
ডা. নাসিমা সেলিম- এর গবেষনাপত্রটি ব্লগার তৌফিক জোয়ার্দার এর সৌজন্যে পেয়েছি। তাঁকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।
তথ্যসূত্র:
Mental Health, Religion & Culture (Vol. 13, No. 3, April 2010, 223–244) এ প্রকাশিত ডা. নাসিমা সেলিম এর লেখা গবেষনাপত্র An extraordinary truth? The Adam ‘‘suicide’’ notes from Bangladesh
The Daily Star. (2007a). Nine of a family commit ‘suicide’. Retrieved 12 July 2007 from Click This Link
Click This Link
যারা আরও গভীরে যাবে তাদের জন্য Mental Health, Religion & Culture বইটির নির্বাচিত অংশের পিডিএফ ডাউনলোড লিঙ্ক
http://www.mediafire.com/?xf9x299r7c130ay
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৬