হযরত ইব্রাহীম (আঃ) কিভাবে মুসলিম জাতির পিতা হয় বলে
প্রশ্ন তুলেছে জ. ই মামুন! এটিএন বাংলার প্রধান নির্বাহী সম্পাদক
জ. ই মামুন মুসলিমদের জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম আঃ কে
অমুসলিম দাবি করে কিভাবে মুসলিম জাতির পিতা হয় সেই প্রশ্ন তুলেছেন।
তিনি আজ একটি ফেসবুক কমেন্টে বলেন-
"হযরত ইব্রাহিম কি করে মোছলমানের জাতির পিতা হন,
তিনি তো অমুসলিম!” এখানে দেখা যাচ্ছে তিনি মুসলমানদেরকে
ব্যাঙ্গ করে মোছলমান বলে উল্লেখ করেন।
একজন সাধারন মুসলিম হিসেবে আমি জ. ই মামুনের এই প্রশ্নের জবাব
দিচ্ছি পবিত্র কোরআনের আয়াত দিয়ে:
জনাব মামুন হয়তো জানেন না যে, মহান ইসলাম ধর্ম চলে শুধুমাত্র কোরআন ও হাদিসের উপর নির্ভর করে।
আর কুরআন অনুযায়ী, মহানবী মুহাম্মাদ (সা.) দুনিয়াতে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর দ্বীন নিয়েই এসেছিলেন।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন:
(১) "বল: 'আমার প্রতিপালক তো আমাকে সরল পথ প্রদর্শন করেছেন। এটাই সুপ্রতিষ্ঠিত দ্বীন, ইব্রাহিমের ধর্মাদর্শ।
সে ছিল একনিষ্ঠ এবং সে অংশীবাদীদের অন্তর্ভূক্ত ছিল না।'" [আল কুরআন ৬:১৬১]
(২) "তোমরা তোমাদের পিতা ইব্রাহীমের ধর্মে কায়েম থাক। তিনিই তোমাদের নাম মুসলমান রেখেছেন পূর্বেও
এবং এই কোরআনেও, যাতে রসূল তোমাদের জন্যে সাক্ষ্যদাতা এবং তোমরা সাক্ষ্যদাতা হও মানবমন্ডলির জন্যে।"
[আল কুরআন ২২:৭৮]
(৩) "যে আল্লাহর নির্দেশের সামনে মস্তক অবনত করে সৎকাজে নিয়োজিত থাকে এবং ইব্রাহীমের ধর্ম অনুসরণ করে,
যিনি একনিষ্ঠ ছিলেন, তার চাইতে উত্তম ধর্ম কার? আল্লাহ ইব্রাহীমকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন।" [আল কুরআন ৪:১২৫]
(৪) ইব্রাহীমের ধর্ম থেকে কে মুখ ফেরায়? কিন্তু সে ব্যক্তি, যে নিজেকে বোকা প্রতিপন্ন করে।
নিশ্চয়ই আমি তাকে পৃথিবীতে মনোনীত করেছি এবং সে পরকালে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত। [আল কুরআন ২:১৩০]
জনাব জ.ই. মামুন, আপনারা সব সময় চেষ্টায় থাকেন ইসলামকে বিতর্কিত করতে, ইসলামকে অপমান করতে।
আপনারা চান আল্লাহর দ্বীনের আলোকে ফুৎকারে নিভিয়ে দিতে, জনাব জ,ই মামুন আপনি মনে রাখবেন:
তারা চায় তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর আলো নিভিয়ে দিতে। কিন্তু আল্লাহ তার আলোকে পূর্ণতা দান না করে
ক্ষান্ত হবেন না, তা কাফেরদের কাছে যতই অপ্রীতিকর হোক না কেন। আল্লাহই তার রসূলকে পথনির্দেশ
ও সত্য দ্বীন সহকারে পাঠিয়েছেন যাতে তিনি একে সকল প্রকার দ্বীনের ওপর বিজয়ী করেন,
মুশরিকরা একে যতই অপছন্দ করুক না কেন।
[ সুরা তাওবা ৩২-৩৩ ]
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫