চমৎকার একটি দুপুর কাটলো আজ সঙ্গীত শিল্পী রেশাদ মাহমুদের হাতের রান্না খেয়ে...তিনি যে একটি অভিজাত হোটেলের শেফ-ও তা জানা ছিলো না...গতকাল ছিলো আমার বস আশিক ভাই-এর জন্মদিন। আজ অফিসে আসতেই কলিগ নাভিদ ভাই তাঁকে ধরলেন, আমাদের Supply Planning and Purchase টিমকে খাওয়াতে হবে। তিনিও রাজি...কোথায় যাওয়া যায় খেতে? জিহান ভাই প্রস্তাব তেজগাও-এর নামকরা একটি হোটেলের।
এখানে বলে রাখা ভালো যে, আমাদের টিমের খাওয়ার হোটেল বিশেষজ্ঞ হলেন জিহান ভাই। হবু স্ত্রী-কে নিয়ে কোথায় Candle Light Dinner করা যায়, তা নিয়ে গবেষনা করতে করতেই উনার এই 'বিশেষজ্ঞ' পদ প্রাপ্তি। নাভিদ ভাইকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন একবার। তিনি আমার উপর উত্তর দেওয়ার ভার ছেড়ে খালাস। আমি তো পুরো বিপাকে। 'Candle Light Dinner' তো দূরের কথা, ঢাকার কোথায় 'Energy Light ডিনার' ভালো হয় তা জানা নাই। তাই, ছাই-পাশ বলে পাশ কাটিয়ে স্মমান বাঁচিয়েছিলাম তখন।
যাহোক। হোটেলে গিয়ে খাওয়া-দাওয়ার অরডার দেওয়ার ফাঁকে আমার ট্রেইনার Reza ভাই দারূন এক বুদ্ধি দিলেন। ঊনার কোন এক কাজিন বুঝি ভালো কোন হোটেলে খেতে গেলে খাওয়া শেষে শেফ-কে চিঠি লিখে জানান যে খাওয়া ভালো হয়েছে। তাতে নাকি সাথে সাথে ফল হয়। শেফ কমপ্লিমেন্টারী কোন ডিশ পাঠিয়ে দেন ফ্রী।
যেই কথা সেই কাজ। খাওয়ার পর সবাই আমাকে ধরলেন শেফকে সুন্দর করে কিছু লিখে দেওয়ার জন্যে। আমিও গররাজি। খাওয়াটাও মজা হয়েছে। শেফকে ধন্যবাদ দিতে তো ক্ষতি নেই! অয়েটার-কে ডেকে শেফের নাম জিজ্ঞাসা করতেই বললো- রেশাদ মাহমুদ। সঙ্গীত শিল্পী। আমরা তো অবাক! উনার 'অনামিকা' গানটি কত শুনেছি ছাত্র জীবনে!
বসকে বললাম। আপনিই লিখেন কিছু। ওমা! উনি দেখি রেশাদ ভাই-এর একটি গানের লাইন লিখে দি্যে উইশ করে দিলেন! রেশাদ ভাই-এর গান যে উনারও ভালো লাগতো, তা জানা ছিলো না। কিছুক্ষন পর ওয়েটার ফিরে এলো। খবর দিলো। শেফ রেশাদ ভাই চা-এর দাওয়াত দিয়েছেন।
চা চলে আসার ফাঁকে উনি বেরিয়ে এলেন আমাদের সাথে কথা বলার জন্যে।ঞ্জানালেন কিভাবে গানের এলবামগুলো পাইরেসী হওয়ার কারণে রাগ করে সঙ্গীত জগত থেকে দূরে সরে যাওয়ার কাহিনী।
আমরা যাওয়ার সময়ও বেরিয়ে এলেন আরেকবার। ফলাফল, এই ছবি!