*** আমার পোস্টগুলোতে ফ্লাডিং করছে কিছু লোক, দেখে ভয় পাবেন না, আমি তাদের দুরে রাখার চেস্টা করছি।
১৯৭১ সালের জানুয়ারী মাসে, বাংলাদেশের চলার শুরুতেই সবার জন্য সমান সুযোগ সৃস্টি করা যেতো, তখন পরিস্হিতি ছিলো অনুকুলে: ৮০% মানুষ ছিলেন মোটামুটি দরিদ্র ও অশিক্ষিত; যেই ২০% ভালো অবস্হায় ছিলেন, তাদের নতুন করে কিছু দেয়ার দরকার ছিলো না, তারা ৮০% এর সাথে মিলেমিশে চললেই তাদের অর্থনীতি স্বাভাবিকভাবে ভালো দিকে যেতো; কারণ, তাদের হাতে তখনি কিছু সম্পদ ছিলো, যা তাদিগকে সব সময় সামনের কাতারে রাখতো।
কিন্তু শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেব, প্রথমেই সামনের কাতারের ২০% কেই বরাবরই সামনে থাকতে দেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে, সরকারী চাকুরীতে, পড়ালেখায় , সব কিছুতে। প্রথমদিকে যারা সুবিধাজনক পজিশনে ছিল, তারা নিজের পাওনার চেয়ে বেশী নিয়ে গেছে; তারা সরকারী চাকুরীতে থাকায়, সহজেই নিজেদের পরিবার ও নিজেদের লোকদের কৌশলে লাইনে নিয়ে এসেছিল। আবার তাদের হাতে ক্যাপিটেল থাকায়, তারা সব ধরণের ব্যবসা বাণিজ্যের লাইসেন্স ইত্যাদি দখল করে নেয়, ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা নেয়; অবশেষে ঋণ লুট করার শুরু করে ব্যবসার নামে। অশিক্ষিত ও দরিদ্রদের ব্যাংক একাউন্টও ছিলো না।
সরকারী ১২ লাখ একর সম্পত্তি ছিলো, সেটাও শিক্ষিত ও সরকারের লোকেরা মোটামুটি দখল করে নেয়; এগুলোর খবর সরকারের লোকেরা ও তাদের পরিবারের বাইরের লোকেরা জানতো না। সরকার এই জমিগুলো ব্যবহার করে, প্রথম দিকে পাইলট কৃষি ফার্ম গড়ে তুলতে পারতো, যাহা পরে দরিদ্র কৃষকদের দেয়া যেতো।
সরকার হয়তো সবাইকে পকেটে টাকা দিতে পারতো না, সবাইকে ভুমি দিতে পারতো না, সবাইকে চাকুরী দিতে পারতো না; কিন্তু সরকার ৩ কোটী কার্যক্ষম মানুষকে কাজে লাগাতে পারতো; তখন বিশাল সম্পদের সৃস্টি হতো।
সরকার ১৯৭২ সালে প্রায় বিনা খরচে সবাইকে পড়াতে পারতো; ১০/১৫ বছরের মাঝে সব তরুণ, সব যুবক শিক্ষিত হয়ে, নিজেদের জন্য পথ খুঁজে বের করতে পারতো। শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেবের সরকার একটি ঐতিহাসিক টার্ণিং পয়েন্টেকে বুঝতে পারেননি, কাজে লাগাতে পারেননি।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:২১