*** এক লোক ফ্লাডিং করছিলো, তাই কমেন্ট বন্ধ রাখা হয়েছে...
আমাদের জাতীয় কবি কোনদিনই প্রেম, দ্রোহ ইত্যাদির কবি ছিলেন না, তিনি ছিলেন বাংলার দারিদ্রতার চিহ্ন; প্রেমের কবি হচ্ছেন আপনারা, যারা ব্লগে ও ফেসবুকে কবিতা লেখান; আপনাদের অনেকের কবিতা জন্ম নিচ্ছে প্রেমের সামানুতিক হারে; কিন্তু কবি ১১ বছর বয়স থেকে কবিতা লিখেছেন পেটের দায়ে, লেটোদলের জন্য তিনি ছন্দ মিলায়েছেন।
কলোনিয়েল সিস্টেম বিরোধী, বৃটিশ বিরোধী কবিকে বৃটিশ সেনা বাহিনীতে যোগ দিতে হয়েছিল পেটের দায়ে; যুদ্ধে গিয়ে তিনি ভারত ও ভারতের বাহিরের মানুষকে দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন, তিনি মানুষের কস্ট দেখেছিলেন।
তখনকার দিনে কবিতা লিখে নিজের অবস্হা বদলানো যেতো না; বাংলা ভাষায় কবিতা লিখে আজও আয় করা সম্ভব নয়; আজকে হয়তো পুরো জাতির ২০% কবিতা পড়াে সুযোগ পায়; কবির সময়, কি অবস্হা ছিলো কে জানে? তবে, সেই সময় যারা পড়তে জানতেন, তারা ধার করে হলেও বইপত্র পড়তেন।
কবি অসুস্হ হয়ে পড়ার পর, উনি চিকিৎসা করাতে পারেননি পয়সার অভাবে; রোগ যখন সারাবার সীমা পার হয়েছে তখন উনার চিকিৎসার চেস্টা করা হয়েছিল, কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে গেছে।
ভারতের স্বাধীনতার পর, ভারত সরকার উনাকে সামান্য সাহায্য করতো, তাতে নুন আনতে তেল ফুরাতো। শেখ সাহেব বাংগালী জাতির মুখ উজ্বল করেছেন কবিকে ঢায়া নিয়ে এসে, একটি বাড়ী ও ভাতা দিয়ে; শেখ সাহেবের জীবনে সবচেয়ে বড় ভালো সিদ্ধান্ত ছিল এটাই।
যাক, এক কবিকে দারিদ্রতা থেকে রক্ষা করেছেন এক শেখ সাহেব; বাকীদের কে করবে? মহিলারা নৌকা থেকে কয়লা নামাচ্ছে, ইটের ভাটায় মাথায় করে ইট টানছে, বিল্ডিং'এর ছাদে ইট নিচ্ছে, ৭ বছরের মেয়ে গাড়ীর দরজায় ফুলের মালা বিক্রয় করছে; রাস্তায় শিশুর জন্ম হচ্ছে, এগুলোর সমাধান কে করবে, কত হাজার শেখ সাহেব দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মে, ২০১৬ সকাল ৭:৫২