মমতার গত সরকারের অবদানকে হিসেবে নিলে, মমতা হয়তো পশ্চিম বাংলার ভোটে কোন প্রকারে জয়ী হতেন, বা স্বল্প ব্যবধানে পরাজিত হতেন; উনার বিশাল বিজয়ের পেছনে রয়েছে বাংলাদেশকে পানি না দেয়ার প্রচেস্টা গুলো; পশ্চিম বাংলার কম শিক্ষিতদের মাঝে কিছু লোকের পানির ব্যাপারে কোন ধারণা নেই; এরা মনে করে যে, পানি না দেয়াই বাহাদুরির কাজ, বড় রাজনীতির কাজ।
ফারাক্কা বাঁধের ওপারে বিশাল হ্রদ সৃস্টি করেছে ভারত, ফারাক্কার ওপাশে এই নীল হ্রদের কোন দরকার নেই, ভারত অকারণে পানির লেভেলকে উপরে তুলে হুগলীতে পানি নিচ্ছে প্রাকৃতিক প্রবাহের চেয়ে অনেক বেশী; আসলে, এই পানি তাদের বিশেষ কোন কাজে লাগছে না; তাদের ধারণা, এই পানির প্রবাহ কলিকাতা বন্দরের নাব্যতা বাড়ছে। আসলে, এর থেকে অনেক খরস্রোতা কর্ণফুলি আমাদের চট্টগ্রাম বন্দরের নাব্যতা ঠিক রাখতে পারছে না।
মমতা তার বড় বিজয়ের অনুস্ঠানে আমাদের প্রাইম মনিস্টারকে নিমন্ত্রণ করেছেন; এটা আসলে পানি না দেয়ার অনুস্ঠান ছাড়া আর কিছু নয়। মমতারও কি এক অনুস্ঠান, সেখানে আবার দাওয়াত; ভালো হতো দরিদ্র ব্রাক্ষ্মনদের খাওয়ালে।
মমতাকে পশ্চিম বংগের জন্য তেমন কিছু করা লাগে না; পশ্চিম বংগের লোকজন পড়ালেখায় ভালো; পড়ালেখা শিখে সরকারী চাকুরী নিয়ে দিল্লী মিল্লী চলে যায়। পশ্চিম বংগে মানুষের ঘনত্বও কম। মমতা আবার সত হিসেবে পরিচিত; পরিবার নেই, স্বামী নেই, ঘরে কোন বিড়ালও নেই।
মমতা আমাদের ন্যায্য পানি না দিয়ে, মানুষের সেন্টিমেন্ট ধরে রেখে ভোটে জয়ী হয়েছে, এটাই তার বুদ্ধি, এটাই তার রাজনীতি। পরিবারহীন, স্বামীহীন মহিলার মগজ আসলে কাজ করে না, পার্টি আছে, রাজনীতি করে, সময় কাটায়; অবদানের দিক থেকে মানব সভ্যতার জন্য দু:খ ছাড়া আর কিছুই নয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০১৬ রাত ১০:১২