অনেকেই বলছে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হলে তৃতীয় দেশ হিসেবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ। কিন্তু কি ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা বিস্তারিত বলছে না।
আমার প্রশ্ন হল, আমরা কি এখন মহা সুখে আছি?? এরা নীরোদের ভুমিকা পালন করছে। রোম যখন পুড়ছিল নীরো তখন সংস্কৃতি চর্চা করছিলো।
তারা কি জানে না যে বাংলাদেশ তো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই দিন যে দিন ভারত তাদের চূড়ান্ত ফায়দা লুটার জন্য মোড়ল সেজে প্রকাশ্য হস্তক্ষেপে তাদের আশীর্বাদ পুষ্ট সরকারকে রাষ্ট আর জনগনের মাঝে অবৈধ ভাবে বসিয়ে দিয়েছে। সেই সরকার ইতিমধ্যে এই যুদ্ধে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে দিয়েছে।
এই সরকারকে অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় বসানোই ছিল বাংলাদেশের উপর ভারতের প্রথম পারমানবিক বোমার আঘাত। এর প্রভাবে সব কিছু শুধু নাই হয়ে যাচ্ছে।
এই সরকার গুম করে বাংলাদেশে আর সেই বডি খুঁজে পাওয়া যায় ভারতে।
ব্যাংক খালি। সীমান্তে মানুষ খালি।বন্যায় সাধারন মানুষের পকেট খালি, গোয়াল খালি। গণহারে পাশের ফলে শিক্ষার্থীদের মেধা খালি। বিরোধীমত খালি। শুধু সরকারের গোলামী করে কোন রকমে বেঁচে আছে রাজনীতিকরা আর সরকারী চাকরিজীবীরা।
আমাদের গনতন্ত্রের মুখে পেরেক মেরে দিয়েছে ভারত। আমরা এখন তাদের গোলামী করছি শুধু।
ভারত এখন চিন সীমান্তে বিড়াল, পাকিস্তান সীমান্তে কুকুর আর বাংলাদেশ সীমান্তে বাঘ হয়ে বসে আছে।
এই ভারতের চূড়ান্ত পতন কামনা করি। এই ভারত থেকে আর নতুন দশটা রাষ্টের জন্ম হোক। তবেই মোড়লবাজির অবসান সম্ভব।
শেষ করছি ধার করা কথা দিয়ে, একজন বলছিলোঃ- পাকিস্তান জোড় করে নির্যাতন করেছিল আর ভারত নির্যাতন করছে লোক দেখানো ভালবাসা দিয়ে। কার সমর্থন করব? তাই দুই শালাই মরুক।
সাথে স্বাধীনতা পাক কাশ্মীর আর বেলুচিস্থান।
আর যাই ঘটুক না কেন সব কিছুর আগে আমাদের কাছে আমাদের বাংলাদেশ একটুকরো ভালবাসার ধন।
আশা করি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের মধ্য থেকে সব ধরনের লাভ-ক্ষতির হিসাব থেকে দূরে থেকে নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখার পূর্ণ সক্ষমতা রয়েছে বাংলাদেশেরও।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৫