"পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, বোমার বদলে বুলেট দিয়ে পাকিস্তানকে ঠাণ্ডা করে দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে বাংলাদেশকেও ঠাণ্ডা করে দেয়া হবে। যে সব নেতা, অভিনেতা, লেখক, গায়ক, শিক্ষাবিদ উগ্রপন্থা এবং সন্ত্রাসবাদকে মদদ দেবে তাদের ধরে এনে লাথি মেরে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে।"
আমরা সবিনয়ে বলতে চাই - "প্রিয় প্রতিবেশী বাংলাদেশ মোটেও উত্তেজিত নয়"
অথচ দুদিন আগে তাদের প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে বললেন "আপনি একা নন, পাশে আছি"
এটা বলার যথেষ্ট কারনও আছে। কারন হচ্ছে- প্রতিবেশী হিসেবে আমরা নিজেরা না খেয়েও তাদের খাওয়াচ্ছি। আমাদের নদীমাতৃক দেশের নদী, স্বল্প বিদ্যুৎ থেকে বিদ্যুৎ, আমাদের নিজেস্ব রাস্তা-ঘাট তাদের ব্যাবহার করতে দিচ্ছি, আমাদের মার্কেটগুলো তাদের পণ্যে সয়লাব, আমাদের সুন্দরবান, আমাদের রাজনীতিতে তাদের প্রাধান্যতা, তাদের চ্যানেল গুলোর মাধ্যমে তাদের সংস্কৃতির বীজ আমাদের দেশে বপন করছে, বর্ডারে আমাদের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে তারা নিরলস কাজ করছে আর আমাদের সরকার হাঁ করে বসে আছে।
ইত্যাদি আর অনেক আছে।
পাশে থাকার জন্য এর দুই একটা গুনই যথেষ্ট। কিন্তু আমদের মধ্যে সব গুলোই আছে।
এককথায় এখন তাদের সাথে সু-সম্পর্কের তুঙ্গে আছে বাংলাদেশ। উল্টো...
যখন তাদের সাথে উত্তেজনার চরম পর্যায় রয়েছে তাদের শক্তিধর দুই প্রতিবেশী পাকিস্তান ও চীন। যেকোনো মুহূর্তে যুদ্ধ লাগে লাগে অবস্থা।
কোন প্রমান ছাড়াই তাদের একটি যুদ্ধ বিমান অলরেডি গায়েব করে দিয়েছে বা হয়ে গিয়েছে, বহুত খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন অস্তিত্বই খুঁজে বের করতে পারছে না তারা। পৃথিবীর ভূস্বর্গ নামক কাশ্মীরে প্রতিদিন লাশ ফালাচ্ছে তাদের সেনাবাহিনী। তাদের সকল কর্মের ফল ভোগের সরাসরি হুমকি দিয়েছে চীন। নারী বৈষম্য ও ধর্ষণের শীর্ষে থাকা রাষ্ট্র তারা। সাম্প্রদায়িকতা যেকোনো মুহূর্তে তাদের দেশে তৈরি করতে পারে চরম অবস্থা।
এসব পরিস্থিতিতে এখন অন্য প্রতিবেশী দেশের সাথে কিভাবে সম্পর্ক উন্নয়ন করা যায় সে সব নিয়ে তাদের চিন্তিত থাকার কথা। কিন্তু তারা এমনই এক আজব দেশ যে সব কিছুতে বাংলাদেশ না মিশালে তাদের পেটের ভাত হজম হয় না।
তাদের নিজেদের ঘরে এত এত সমস্যা সমাধান করে তারপর বাংলাদেশের ব্যাপারে কথা বলা উচিৎ।
কিন্তু তারা তো এত ভদ্র জাতি না বা কোন কালেই ছিল না।
বরং তারা বরাবরই প্রমান করে আসছে তারা- "শক্তের ভক্ত আর নরমের জম"
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:০৫