মা একটা কথা প্রায়ই বলে, "বেচু আছে বেচুর তালে" !!!
তসলিমা নাসরিনের মতো একটা থার্ড ক্লাস বিশ্ব নাগরিকের জন্য কথাটা আরো সত্য। আল্লামা শফি বলছে মেয়েরা তেঁতুলের মতো। তেঁতুল দেখলে পুরুষের লালা ঝরে। অরক্ষিত কিংবা অর্ধ উলঙ্গ মেয়েদের উল্লেখ করে শফি বলেছেন লালা ঝরবেই, নাইলে সে পুরুষ না। তবে জেনা থেকে দূরে থাকতে হবে। ইসলাম জেনাকে প্রচন্ডভাবে নিরুতসাহিত করেছে, হারাম ঘোষনা করেছে। তার মূল কথা কিন্তু ছিলো এটাই। আমরা দ্বিতীয় অংশটা না নিয়ে প্রথমটা নিয়েছি। কারণ প্রথম কথার টোনটা জঘন্য। তার বলার ভঙ্গিতেও এমন কিছু একটা ছিলো, যাতে আরো বাজে শুনাইছে।
কাল আবার আম্রিকার একদল গবেষকের রিপোর্ট আইছে, ওইরকম মেয়েমানুষ দেখলে বা নাইট ক্লাবে গেলে পুরুষের আসলেই লালা ঝরে। সেটা একদম বৈজ্ঞানিক ওয়ে তে। সায়েন্টিফিক্যালী আল্লামা শফির বক্তব্য তাইলে আসলেই ভূল না। হয়তো আধুনিক বিজ্ঞানে পড়াশুনা নাই বলে ব্যাপারটা ওভাবে বুঝাতে পারেন নাই। তারচেয়েও হাস্যকর উনি যে থিমটা বুঝাতে চেয়েছেন সেটাও পারেন নাই ঠিকভাবে। উধাহরনটা ওভাবে দেয়াটাও ঠিক হয়নি।
এই সময়ে তাসলিমা নাসরীন, যার অবস্থা কিনা বৃদ্ধা দেহপসারিনীর মতো, কেউ আর তাকায় না, সে একখানা আর্টিক্যাল লিখে আবার জাতে উঠার চেষ্টা চালিয়ে গেলো। পুরা আর্টিক্যালে সে আল্লামা শফির প্রকাশভঙ্গি বা বক্তব্যের সমালোচনা করার বদলে সমর্থনের ভান করে ইসলাম ধর্মকেই গালাগালি চালিয়ে গেলো। এ ধরণের সস্তা মানুষ কিংবা পশুর বক্তব্য নিয়ে লিখতেও ঘেন্না ধরে যায়। তার কথা হচ্ছে ধর্মকে শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে উঠিয়ে দিতে হবে। বিজ্ঞান চর্চা বাড়াতে হবে। বিজ্ঞান চর্চা বাড়ালে ধর্ম দূরে চলে যাবে।
ভাবখানা এমন, যে ধর্ম নারীকে সম্মান দেয়নি। বিজ্ঞানওয়ালা কান্ট্রিগুলোতে কোন অপরাধ নাই। ধর্মই সকল অকাজের মূল। এই মহামূর্খ ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চাটা জানেনা, ইসলাম ধর্ম নারীকে যতটা সম্মান দিয়েছে পৃথিবীর আর কোথাও, কোন ধর্মই এতোটা দেয়নি।
বাংলাদেশের বেশীরভাগ নাস্তিক বাংলায় এম এ পাশ। সবাই আবার সারাদিন বিজ্ঞান বিজ্ঞান করে।
আমি অবাক হই। কিছু বলার নেই।
আমাকে তোমরা কেউ মেরে ফেলো।