ডিয়েগো ম্যারাডোনা : সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবলার কে এ নিয়ে পেলে কিংবা ম্যারাডোনার মধ্যে শত বির্তক থাকলেও একটা বিষয়ে পেলের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে ম্যারাডোনা তা হলো বির্তক। পুরো ক্যারিয়ারে নানা ঘটনা - অঘটনের জম্ম দেয়া ম্যারাডোনা ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন "হ্যান্ড অব গড" এর জন্য। বিশ্বকাপ জয়ী এই অমর ফুটবলারের ক্যারিয়ারও শেষ হয়েছে বির্তকের জম্ম দিয়ে ১৯৯৪ বিশ্বকাপে ডোপ টেস্টে পজিটিভ প্রমাণিত হওয়ার মধ্য দিয়ে।

রেনে হিগোইতা : মনে আছে সেই লম্বা চুলের ক্ষেপাটে গোলকিপার হিগোইতার কথা? কলম্বিয়ান ফুটবলের এক বর্ণাঢ্য চরিত্র হিগোইতা। গোলপোস্ট ছেড়ে মাঝে মধ্যেই উপরে উঠে মিডফিল্ডার বনে যাওয়া কিংবা সহজ বলকেও কঠিন করে ধরা হিগোইতাকে মানুষ মনে রাখবে তার পাগলামির জন্য। তার পাগলামির খেসারতও দিতে হয়েছে বহুবার তবুও শোধরাননি হিগোইতা। তাইতো দর্শক দেখতে পেরেছে ব্যাকহিল করে অসাধারণ সেই সেইভ।

হোসে লুইস চিলাভার্ট : প্যারাগুয়ের ইতিহাসের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবলার হোসে লুইস চিলাভার্ট। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের অধিকারী এই গোলরক্ষকের আর্ন্তজাতিক গোলের সংখ্যা ৩ এবং ক্লাব পর্যায়ে গোলের সংখ্যা ১২! খেলার মধ্যে প্রায়শই মেজাজ হারানো এই গোলকিপার চমৎকার ফ্রি কিক নিতেন। দলের পক্ষে পেনাল্টি শুটও নিতেন চিলাভার্ট। চিলাভার্ট ছিলেন ছোট দলের বড় তারকা।

এরিক কাঁটোনা : মেজাজের কথা বললে প্রথমেই আসে এরিক কাঁটোনার নাম। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এর সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের অন্যতম এই ফরাসি ফুটবলার। খেলার মাঠে নিজ দলের খেলোয়াড়দের সাথে মারামারি, প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে ঘুষি মারা, রেফারির সাথে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় থেকে শুরু করে কোচকে গালাগালি কিছুই বাদ ছিল না কাটোনার ক্যারিয়ারে। তার অন্যতম কুকীর্তি সম্ভবত নিচের ছবিটা। যাতে এক দর্শককে ফ্লায়িং কিক মারছেন কাঁটোনা।

রজার মিলা : ১৯৯০ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে পরাজয়ের স্বাদ দেয়া ক্যামেরুনের সেই খেলোয়াড়টির কথা মনে আছে? গোলের চেয়েও বেশি জনপ্রিয় ছিল তার গোল উদযাপনের ভঙ্গি। গোল করার পর কর্ণার ফ্ল্যাগের কাছে গিয়ে সেই ডিস্কি নাচ। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশী বয়সে গোল করার রেকর্ডধারী এই খেলোয়াড় এর নাম রজার মিলা। সম্প্রতি আলোচিত হয়েছেন স্যামুয়েল ইতোকে কথা দিয়ে আক্রমণ করে।

ভালদেরামা, রুড গুলিত, রাইকার্ড : কলম্বিয়ান অধিনায়ক ভালদেরামা আলোচিত ছিলেন তার ঝাকড়া চুলের জন্য। মাথায় কদম ফুলের মতো চুল নিয়ে এ মিডমিল্ডার খেলতেনও চমৎকার।

রুড গুলিত নেদারল্যান্ডের সর্বকলের সেরা খেলোয়াড়দের একজন। খেলার মাঠে মাঝে মধ্যেই মেজাজ হারানো এই ডাচ জনপ্রিয় ছিলেন তার ব্যাতিক্রমী চুলের জন্য।

কিছুদিন আগেও বার্সেলোনার কোচ ছিলেন রাইকার্ড। খেলার মাঠে চরম মেজাজি এই ডাচ পুরো ক্যারিয়ারে জম্ম দিয়েছেন নানা বির্তকের। জার্মানির রুডি ফোয়েলারকে থুথু নিক্ষেপের এই ছবি প্রমাণ করে রাইকার্ড কেমন ছিলেন খেলার মাঠে।
