"যদি বলি আজ বৃষ্টিতে ভিজব।"
"নাহ, ঠান্ডা লাগবে তো!"
"কিচ্ছু হবে না।"
"এই না না!"
মায়া টান মেরে মুহিবের হাত থেকে নিজের হাত ছুটিয়ে নিল।
"এসো তো। এতো রসকষহীন কবে থেকে হলে?"
মায়া অন্যদিকে তাকিয়ে চশমা ঠিক করল। বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার চশমার পাওয়ারও বেড়ে গেছে।
মৃদু হেসে বলল,
"সে আমি কোন কালেও ছিলাম না।"
"বৃষ্টি নিয়ে পাগলামি ভুলে গেছ?"
"সেই দিন ফুরিয়ে গেছে।"
"মানুষ টা তো ফুরয় নি!"
"মানুষ টা বহু আগেই মারা গেছে!"
"কবে জানতে পারি?"
মায়া শক্ত কিন্তু শান্ত গলায় বলল,
"না!"
মুহিব মায়ার হাত টা আলতো করে ধরল।
"আমার কিছু করার ছিল না"
মায়া কোন জবাব দিল না। সেদিন মুহিব কিছু করতে পারে নি। আজ এতোদিন পর মায়ার কিছু করার নেই। তাছাড়া নেহাত দেখা হয়ে গেল বলে; পুরনো বাঁধনে বাঁধা পড়ার ইচ্ছা তার ছিল না। তার শিকড় যে অন্যখানে গাঁথা হয়ে গেছে!
কিন্তু এই বৃষ্টিক্লান্ত দিনে মুহিব যে বীজ বুনে গেল তা উপড়ে ফেলাও কঠিন।
বৃষ্টি থেমে গেছে। মায়া মৃদুস্বরে বলল,
"এবার আমায় যেতে হবে। বাবুর স্কুল ছুটি হয়েছে অনেকক্ষণ হল। অপেক্ষা করছে।"
বলেই হাঁটা শুরু করল।
"আবার কবে দেখা হবে?"
মায়া জবাব দিল না। পিছন ফিরেও তাকালো না। পিছুটান খুব খারাপ জিনিস। একবার পেয়ে বসলে একদম গলার ফাঁসের মতো আটকে যাবে। একে পাত্তা না দেয়াই উচিৎ।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৮