একই ধরনের অপরাধ যখন বারবারই ঘটতে থাকে তখন একে আর বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলা যায়না!তখন নিশ্চিতভাবেই ধরে নিতে হয় সমাজে এই ধরনের অপরাধপ্রবণ লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং অপরাধটি সংক্রমিত হচ্ছে!কাজেই অপরাধটি দমন করা না হলে তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধিই পেতে থাকবে!সম্প্রতি সমকামীদের উৎসাহমূলক সাময়িকী 'রূপবানের ' সম্পাদক জুলহাস মান্নান নিহত হলেন!নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের মতো মুসলিম প্রধান দেশে এ ধরনের ঘৃণ্য উদ্যোগ ছিলো ধৃষ্টতা!তবে দুঃখজনক সত্যি হলো বাংলাদেশের অনেক মাদ্রাসার "হুজুর" সম্ভবত সমকামী!ইসলামের লেবাস পড়া এসব পশুদের মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি চাই!বিগত কয়েকবছরে এমন পাশবিক ঘটনার অনেক বিবরণ পত্রিকায় পড়েছি!অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এটি বাংলাদেশে একটি বাস্তব সমস্যা!সম্ভবত বেশিরভাগ ঘটনা চাপা পড়ে যায় আর সামান্য কিছু ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়ে!যারা এসব কান্ড ঘটায় এদের শুধু একটিই পরিচয় এরা মৃত্যুদন্ড পাওয়ার যোগ্য অপরাধী!সম্প্রতি এরকম আরেকটি ঘৃণ্য ঘটনা পড়লাম বলেই এই ব্লগ পোস্টটি লিখতে বসলাম!ঘটনাটি হলোঃ
ঢাকার কেরানীগঞ্জে নয় বছর
বয়সী এক মাদ্রাসা ছাত্রকে
ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা
শিক্ষককে আটক করে পুলিশে
দিয়েছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার মামলার পর ওই
মাদ্রাসা শিক্ষককে
গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে
পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার
মো. মাহমুদুল হাসান (২৬)
উপজেলার পূর্ব চড়াইল
জামিউল কোরআন মাদ্রাসার
শিক্ষক।
শুক্রবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার
এসআই আবু শাহাদাৎ মোহাম্মদ
শাহিন বলেন, বুধবার সন্ধ্যায়
পূর্ব চড়াইল জামিউল কোরআন
মাদ্রাসার শিক্ষক মাহমুদুল
হাসান ওই ছাত্রের চুল ছেটে
দিয়ে গোসল করানোর কথা
বলে শিশুটিকে জোরপূর্বক
ধর্ষণ করে বলে মামলায়
অভিযোগ করা হয়েছে।
“এ সময় তার চিৎকারে অন্য
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা
এগিয়ে এলে মাহমুদল
পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা
করে। পরে এলাকাবাসী
তাকে আটক করে পুলিশে
দেয়।” এ ঘটনায় শিশুটির মা
বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ
মডেল থানায় মামলা
করেছেন।
(ঘটনাটি গত ২৩শে এপ্রিল দৈনিক শিক্ষা অনলাইনে প্রকাশিত)