পাঠ করি পুঁথি তার বিশদ আবেগে
বলি সুখ থাকো শুয়ে খুলে রেখো চোখ
ধুলট মাঠের মাটি কাদা হবে বৃষ্টিতে মাঘে।
আঙুলে ফুটে আছে সন্ধ্যার শেষ ঝরা ফুল
গুঁজে দেবো তারাফোটা রাতের শরীরে
আড়িয়ল খাঁ থেকে তুলে নেবো বালিহাঁস নীল
উড়ে যাবো নিশিন্দা-মহুয়া-ছাতিমের বনে।
মাঝখানে স্মৃতিবরষার ঝিরি পেরিয়ে এলাম
তিরতির কেঁপেছে বুক, কৌম শরীর, ঠোঁট
পিপাসার কুয়াশায় বাড়লো কি মেদ জিহ্বায়-
নিবেদন করেছিলো তর্পণে, বিনীত আবেগ!
নিশ্চিন্তি ছাপিয়ে গেছে হিজলের ছায়া
সেইখানে জমে আছে পলি কাণ্ডজ্ঞান
এই কাঁধ ফেটে যার বেরিয়েছে রক্ত ও পুঁজ
তার কাছে যদি খনা তুলে দিতে মাটির বিজ্ঞান!
বলি ও কল্যাণবতী, মুগ্ধমতি, বঙ্গের দিশা
পলি ও পল্লবের দেশে ভাতঘুম সেরে ওঠো মেয়ে।