আবু হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ
আমরা একদা রাসূল (সাঃ) এর সাথে ছিলাম। এমন সময় একটি বিকট শব্দ শোনা গেল। রাসূল (সাঃ) বললেন, তোমরা কি জান এটা কিসের শব্দ ? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই এ ব্যাপারে ভাল জানেন। তিনি বললেন, এটি একটি পাথর, যা আজ থেকে সত্তর বছর পূর্বে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হয়েছিল, আর তা তার তলদেশে যেতে ছিল এবং এত দিনে সেখানে গিয়ে পৌঁছেছে।
(সহীহ মুসলিম)
জাহান্নামের ৭০টি লাগাম থাকবে এবং প্রতিটি লাগামে ৭০ হাজার ফেরেস্তা থাকবে তারা তা টেনে আনবে। মুসলিম- ইবনে মাসউদ (রাঃ)
দুনিয়ার ব্যবহৃত আগুনের উত্তাপ জাহান্নামের আগুনের উত্তাপের ৭০ ভাগের ১ ভাগ। বুখারী, মুসলিম- আবু হুরায়রা (রাঃ)
আগুনের জুতা পরিয়ে শাস্তি দেয়ার ফলে তার মগজ টগবগ করে ফুটতে থাকবে, যা হবে জাহান্নামের সবচেয়ে কম শাস্তি। বুখারী, মুসলিম- নুমান ইবনে বাশীর (রাঃ)
জাহান্নামীদের মধ্যে সবচেয়ে কম শাস্তি হবে আবু তালিবের। তার পায়ে দু’খানা আগুনের জুতা পরিয়ে দেয়া হবে, ফলে তার মাথার মগজ ফুটতে থাকবে। বুখারী- ইবেন আব্বাস (রাঃ)
দুনিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিকে জাহান্নামের আগুনে ঢুকিয়ের বের করা হবে। তাকে বলা হবে, তুমি দুনিয়াতে কখনো সুখ ভোগ করেছিলে? সে বলবে না, আমি কখনো সুখ ভোগ করিনি। মুসলিম- আনাস (রাঃ)
জাহান্নামের সবচেয়ে কম ও সহজতর শাস্তি প্রাপ্ত ব্যক্তি পৃথিবী পরিমাণ সম্পদ থাকলেও তার বিনিময়ে এ আযাব থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করতো। বুখারী, মুসলিম- আনাস (রাঃ)
জাহান্নামীদের মধ্যে জাহান্নামের আগুন কারো টাখনু, কারো হাটু, কারো কোমর, কারো গর্দান পর্যন্ত পৌঁছবে। বুখারী, মুসলিম- সামুরা বিন জুনদুব (রাঃ)
জাহান্নামের মধ্যে কাফেরের এক একটি দাঁত হবে ওহুদ পাহাড়ের সমান, তার গায়ের চামড়া হবে ৩ দিনের সফরের পরিমাণ পুরু। বুখারী, মুসলিম- আবু হুরায়রা (রাঃ)
জাহান্নামের আগুনকে ১ হাজার বছর তাপ দিয়ে লাল, ১ হাজার বছর তাপ দিয়ে সাদা আর ১ হাজার বছর তাপ দিয় কালো করা হয়েছে। এখন তা ঘোর কালো অন্ধকার অবস্থায় রয়েছে। তিরমিজী- আবু হুরায়রা (রাঃ)
জাহান্নামের মধ্যে কাফেরের গায়ের চামড়া হবে ৪২ হাত মোটা, দাঁত হবে ওহুদ পাহাড়ের সমান এবং বসার স্থান হবে মাক্কা-মাদীনার মধ্যবর্তী ব্যবধানের পরিমাণ। তিরমিজী- আবু হুরায়রা (রাঃ)
কাফেরের মৃত্যুর পর কবরে তার রুহ ফিরিয়ে দেয়া হয়। দুইজন ফেরেস্তা তাকে উঠিয়ে জিজ্ঞেস করবেন, তোমার রব কে? সে উত্তর দেয়, হায় হায়! আমি জানি না। তারা জিজ্ঞেস করবেন, কে এই ব্যক্তি যিনি তোমাদের মাঝে প্রেরিত হয়েছিলেন? সে উত্তর দেয়, হায় হায়! আমি জানি না। তখন আকাশ থেকে একজন ঘোষণাকারী- ঘোষণা দেয়, সে মিথ্যা বলেছে। তার জন্য জাহান্নামের একটি বিছানা বিছিয়ে দাও, তাকে জাহান্নামের পোশাক পড়িয়ে দাও এবং তার জন্য জাহান্নামের একটি দরজা খোলে দাও। রাসূল (সা.) বলেন, ফলে তার দিকে জাহান্নামের ভীষণ তাপ উত্তপ্ত বায়ূ আসতে থাকে। আহমদ, আবু দাউদ- বারা বিন আযেব (রাঃ)
জাহান্নাম থেকে সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত এবং সর্বশেষ জান্নাতপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলবেন জান্নাতে প্রবেশ কর তোমাকে জান্নাতে দুনিয়ার সমপরিমাণ এবং তার দশগুন জায়গা দেয়া হলো- এ ব্যক্তি হবে মর্যাদার দিক দিয়ে জান্নাতীদের সর্বনিম্ন স্তরের। বুখারী ও মুসলিম- আবদুল্লাহ ইবেন মাসউদ (রাঃ)
রাসূল (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি, “আমি তোমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে ভয় প্রদর্শন করছি”- কথা গুলো উচ্চস্বরে বলতে থাকলেন। দারেমী, সুনান, ইবনে বশীর (রাঃ)
জাহান্নামের হাবহাব নামক গর্তে প্রত্যেক স্বৈরাচারী অহংকারীকে রাখা হবে। দারেমী, আবু বুরদাহ (রাঃ)
আসমান থেকে কোন গোল পাথর যমীনের দিকে ফেলে দিলে তা একটি রাত শেষ হওয়ার আগেই যমীনে পৌঁছে যাবে। কিন্তু জাহান্নামের কিনার থেকে নিচ দিকে কোন পাথর ছেড়ে দিলে ৪০ বছরেও তা তার তলদেশে পৌঁছতে পারবে না। তিরমিজী- আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ)
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৫০