পোস্ট কি বিষয়ের উপরে লেখা সেটা পোস্টের শিরোনাম দেখেই আমাদের বোঝা হয়েগেছে নিশ্চয়,তাই পোস্ট
পড়ার আগেই সকলকে অনুরোধ করছি লেখার বিষয় বস্তু না বুঝলে কোন কমেন্ট বা অহেটুক ক্যাচাল করবেন না।
যাই হোক পোস্টের মূল বিষয় আলোচনায় চলে যাই ।
হিন্দু ধর্মের লোকদের বলছি আপনি চাইলে গরুর মাংস খেতে পারেন । তবে সেটা ষাড় বা বলদ গরু হতে হবে।
ঘটনা ক্রমে কথায় কেন জানি না আজ কয়েকদিন যাবত আমার মনে একটি প্রশ্ন জাগতে ছিল,আর সে প্রশ্নটি ছিল হিন্দু
ধর্মের লোকেরা কেন গরুর মাংস খাননা ?
আর সে কারনেই আমার চেনা জানা কয়েক জন পরিচিত হিন্দু লোকদের প্রশ্ন করেছিলাম আপনারা কেন গরু মাংস খাননা ?
তাদের ভিতরে কেউ কেউ বলেছেন জন্মের পরে বুঝ হওয়ার পর থেকে দেখে এসেছি বাপ চাচা দাদারা কেউ খাননা তাই আমরাও
খাই না,আমাদের ধর্মে নিষেধ আছে গরুর মাংস খাওয়া।
আবার কেউ কেউ বলেছেন গরু দুধ দেয় আর আমরা সে দুধ খাই বলে গরুর মাংস খাই না। এক কথায় আমরা যার দুধ খাই তার
মাংস খাই না।
যাই হোক প্রিয় ব্লগ পাঠকরা আমি এদের মুখে শোনা ছাড়াও বোঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি হিন্দু ধর্মের লোকেরা কতিপয়
গরুর দুধ পান করেন বলে মাংস খান না,তারা গরুকে মা ভাবেন বা মা মনে করেন,মায়ের সমতুল্য চোখে দেখেন । এটা ভালো কথা।
যদি সে দৃষ্টিতে তারা গরুর মাংস না খেয়ে থাকেন,তাহলে আমার প্রশ্ন হলো বাঁচ্চা দেয় গাভীন গরু বা নারী গরু আর দুধও দেয় নারী
গরুতেই । আর আমরা মুসলীম ধর্মের লোক সহ অন্যান্য যে সকল ধর্মের লোকেরা গরুর মাংস খাই তারা অনেকই পারতো পক্ষে
সহজে নারী গরুর মাংস খাইনা ।
কিন্তু বলদ গরু বা ষাড় গরুতো বাচ্চা বা দুধ দেয়না সে দিক থেকে বিবেচনা করলে হিন্দু ধর্মের লোকেরা ষাড় গরু বা বলদ গরুর মাংস খেতে
পারেন।
আর যদি তারা গরুকে মা ভেবেই থাকেন সেইদিক থেকে বলছি দেখুন,মানুষ মানুষই আর পশু পশুই।মানুষ আর পশু কখনই এক হয় না।দেখুন আমরা যখন শিশু ছিলাম তখন আমরা কাঁদলেই মা বুঝতে পারতেন আমাাদের নিশ্চয়ই খিদে পেয়েছে তাই কাঁদছি আর মা
সঙ্গে সঙ্গে তার বুকের দুধ আমাদের পান করানোর জন্য ব্যস্ত বা আকুল হয়ে পড়তেন ।আর একটি পশুর সামনে একটি শিশু কাঁঁদতে
কাঁদতে মরেও যদি যায় তবু কি সে পশু সে মানব শিশুটির মুখে ঢেলে দিবে তার বুকের দুধ?
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৭:০২