শুক্রুবারে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে প্রতিকূল আবহাওয়ায় সব ধরণের নৌ চলাচল বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল কর্তৃপক্ষ বিআইডাব্লিউটিএ। আর শনিবার ভোর থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের রোয়ানু এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। আর এর প্রভাবে রাজধানীসহ সারাদেশে বৃষ্টিও হচ্ছে। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ।
আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বুলেটিনে বলেছেন ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু আরও পূর্ব উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে এসে সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে কোনো এক সময় বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে। শেষরাতে ঘরের উপর গাছ পড়ে ভোলার তজুমদ্দিনে এক নারী এবং এক কিশোরের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল চলছে। তাছাড়াও আবহাওয়াবিদরা পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ এবং ওসব চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে চার থেকে পাঁচ ফুটরও বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে মনে করেছেন ।
চট্টগ্রাম, মংলা এবং পায়রা সমুদ্র বন্দরকে আগের মতোই ৭ নম্বর এবং কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে শনিবার সকাল ৬ টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ২৫৫ কিলোমিটার পশ্চিম দক্ষিণপশ্চিমে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৩০ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণপশ্চিমে মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম করার সময় কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর জেলা এবং সংলগ্ন দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। সে সময় ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার বেগে বয়ে যেতে পারে ঝড়ো হাওয়া।আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট এবং ঢাকা বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
ছবি ও তথ্যসূত্রঃ কয়েকটি নিউজ পোটাল থেকে পাওয়া
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১২:২১