আমাদের সকলের জানা আছে বিল গেটস কে এবং তার পরিচয় কি? বিল গেটস হলেন মাইক্রোসফট-এর সহ প্রতিষ্ঠাতা এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম বিত্তবান একজন ব্যক্তি। তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৯ হাজার কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় তা প্রায় ৭ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। তার বিলাসবহুল প্রাসাদটিও তাক লাগনো। ওয়াশিংটনের ম্যাডিনাতে বিশাল এই বাড়িটি লেক ওয়াশিংটনের পাড়ে অবস্থিত । এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক বা জেনে নিন বিল গেটসের বাড়ির কিছু অজানা তথ্যঃ
১। ১৯৮৮ সালে বাড়িটি কেনা হয় ২০ লাখ ডলারে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ১৬০ কোটি টাকা। বছরে তিনি মোট ১০ লাখ ডলার বা প্রায় ৮০ কোটি টাকা সম্পত্তি-কর দেন।
২। ৬৬ হাজার বর্গ ফুটের বাড়ি তৈরি করেন ৩০০ জন নির্মাণকর্মী। এর মধ্যে ২০০ জনই বিদ্যুৎকর্মী। বাড়িটিতে ৫ হাজার বর্গ ফুট কাঠ ব্যবহৃত হয়।
৩। বাড়ি লাগোয়া হ্রদের পাড়ে ৫০০ বছরের প্রাচীন ‘ডগলাস ফার’ গাছের সারি। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ থেকে বার্জে ভাসিয়ে আনা বালি দিয়ে মুড়ে ফেলা হয় জলাশয়ের চারপাশ।
৪। প্রতিটি ঘরে হাই-টেক সেন্সরের সাহায্যে পছন্দসই তাপমাত্রা এবং আলোর ব্যবস্থা করা হয়। বাড়ির সর্বত্র পছন্দ অনুযায়ী গান শোনার ব্যবস্থাও রয়েছে।
৫। বাড়ির পারিপার্শ্বিক প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগিয়েই দূষণহীন পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকে স্বাভাবিক উপায়ে।
৬। গেটসের বাড়ির দেওয়ালের ছবি পছন্দমতো বদলানো যায়। একটি বোতামে চাপ দিলেই বদলে যায় ছবি।
৭। ৬০ ফুট লম্বা সুইমিং পুলটি তৈরি করা হয়েছে সম্পূর্ণ একটি আলাদা ভবনে। আয়তন ৩,৯০০ বর্গ ফুট। পুলে পানির নিচে সাউন্ড সিস্টেম রয়েছে।
৮। পুলে প্রায় ৯০ ফুট লম্বা ও ৬৩ ফুট উঁচু সিড়িতে ৮০টি ধাপ রয়েছে। সিড়িটি শেষ হয়েছে পুলের একেবারে নিচে।
৯। বিল গেটসের বাড়িতে জিমের আয়তন ২,৫০০ বর্গ ফুট। এছাড়াও জিমের সঙ্গেই রয়েছে স্টিম ও সওনা বাথের আলাদা ব্যবস্থা।
১০। ওই বাড়িতে রয়েছে ২৪টি শৌচাগার। সেই সঙ্গে রয়েছে ৬টি রান্নাঘর। বাড়ির বিভিন্ন প্রান্তে এগুলি তৈরি করা হয়েছে, যাতে ইচ্ছে অনুযায়ী প্রাসাদের যে কোনো অংশে খানাপিনার ব্যবস্থা করা যায়।
তথ্য ইন্টারনেট ।