তুমিতো তোমাকে-আমাকে নিয়ে উপমা উৎপ্রেক্ষা,
ছন্দ-অনুপ্রাসে, মিলে আর অমিলে
একটি কবিতা লিখতে বলেছিলে।
আমিতো কবি নই, ওসব আমার দ্বারা হয়না।
তবে মনে মনে ভাবি––আমি মাটি, তুমি বৃক্ষ।
আমাকে ঘিরেই তোমার বিস্তার ও বিকাশ।
আমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে গেড়েছো শেকড়,
তারই মমতা-রসে পরিপুষ্ট তোমার ভেতর,
তোমার বাহির, তোমার প্লাস্টিড,
তোমার জাইলেম ও ফ্লোয়েম।
তুমি হতে আমি আলাদা হলেই
সংকটে দোলে অস্তিত্বের খুঁটি।
মাঝে মাঝে ভাবি,
আমি সপ্তরঙা রবি।
আমার রঙে তোমার সবই রঙিন করেছো।
তোমার পত্র-পল্লব, পুষ্প-প্রসূন
ক্লোরোপ্লাস্ট ও ক্রমোপ্লাস্ট।
আমিহীন তুমি নিতান্ত নিষ্প্রাণ, নিষ্প্রভ
বর্ণহীণ।
নারকেলের আঁশের মতোই
বাহুবন্ধনে জাপটে ধরে আছো আমার ভেতরের
জলবহুল শক্ত মালাটাকে।
দুজনকে টেনে হিঁচড়ে ছাড়ালেই
ঝরে পড়ে বিরহের আঁখিজল।
আবার এমনও ভাবনা হয়,
আমি অনমনীয়-লৌহদণ্ড, কঠিন-ইস্পাত
তোমার দুর্ভেদ্য-সুদৃঢ় মায়ার কংক্রিট-বন্ধনে
আমাকে ঘিরে তুমি আকাশচুম্বী অট্টালিকা।
তুমি সে অট্টালিকার অবয়ব, আমি অবলম্বন।
হলোনা কিছুই জানি, শুধু ভাবি, কী উপমা দেবো তাকে
দিয়েছো আমাকে তুমি যে নিবিড় বন্ধন।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৪০