হয়তো শুনতে ভুল শুনেছি
ঘুমে নয়, তন্দ্রাচ্ছন্ন নই, মদ্যপ-মাতাল নেশাগ্রস্তও নই
ভুল হবার শঙ্কা খুবই ক্ষীণ
তবে কে এমন প্রশংসাবাণী ছাড়তে পারে।
আমার আবার আজকাল ভুল হচ্ছে বেশি।
সহসা তার চোখে চোখ পড়তেই মনে হলো
ছুটন্ত উল্কাপিণ্ড ধেয়ে আসছে
আমার হৃদয়-জমিনে গড়তে সুখের ক্যালডেরা।
ভুল ভাঙলো, ও তো উল্কা নয়, শান ধারানো ভ্রুযুগল।
ও পথে হাঁটতে গিয়ে লক্ষ করলাম পিচঢালা পথে
নেমে এসেছে আধখানা চাঁদ।
বিভ্রান্ত আমি অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রইলাম অলক্ষেই।
সম্বিৎ ফিরলো গাড়ির হর্নে।
সবিস্ময়ে তাকিয়ে দেখি চাঁদ নয়,
ষোড়শী যুবতীর বোরকা-ঢাকা আধখানা মুখ।
নৃত্যাসনের সামনে বসে দেখতে পেলাম
অজস্র তারার ফুল ছড়িয়ে পড়ছে আসর জুড়ে,
নর্তকীর বক্ষ হতে, কটি হতে, শ্রোণি হতে, ঠিকরে পড়া চাওনি হতে;
উড়ে যাচ্ছে চারপাশে, জোনাকির মতো
আলো দিচ্ছে অন্ধকারে!
বন্ধু বললো ওসব কোনো চাঁদ-তারা নয়,
ও ছিলো নাচের মুদ্রা, নৃত্যশিল্পীর অঙ্গশৈলী।
ইদানিং ভুল আমার বেশিই হচ্ছে-
ভোরবেলা জেগে দেখি, গরিবের শয্যাখানি আলোকিত করে আছে দেবশিশু এক
পরক্ষণেই বুঝলাম, দেবশিশু নয়, সে আমার আপন সন্তান।