স্বর্গের একটা সুবাসিত ফুল
ফুটে আছে আমার পুষ্পোদ্যান আলোকিত করে;
জুড়ে আছে আমার শয্যা, আমার কোল।
নিটোল-ছন্দে, অতুল-গন্ধে, আকুল––
করে রেখেছে আমার
ঘর-দোর, সংসার
সে ফুলের বিপ্রতীপ-বিভায়।
অনন্য, অনিন্দ্য, সুকুমার,
গর্ভজাত সে-খেলনা প্রকৃতির দান-
সে খেলনা হাসে, খেলে, কথা কয়, মনুষ্য-ভাষা বোঝে,
করে আবার মান অভিমান।
কর্মক্লান্ত, দীর্ঘ দিন শেষে
অবসন্ন দেহে গৃহমুখে এসে,
যখন দেখি সে খেলনার, অবোধ্য ভাষায়
শিল্প-ললিত বাহযুগল বাড়িয়ে, পিতৃবক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়বার পরম-আহ্লাদ,
মুছে যায় সমস্ত দিনের সমস্ত ক্লান্তি, সমস্ত যাতনা, সমস্ত অবসাদ।
বাঁধ ভেঙে ছুটে আসে অদম্য আনন্দের বন্যা
ক্ষ্যাপা-উন্মাদের মতো।
একবার চাহনিতে সে ফুলের পানে,
ক্রোধ-হিংসা-ঘৃণা ভেসে যায় বানে
কোথা, কোনখানে,
কে জানে?