তুমিতো দেখোনি
যুবকের ভেঙে যাওয়া বুকখানি।
তোমার প্রতিটি উপেক্ষার আঘাতে তার হৃদয়-কিনার
ভেঙে পড়েছে, যেমন শ্রবাণধারা পদ্মার দুইপাড়-
ভেঙে নেয় প্রচণ্ড ধাক্কায়।
বিপরীতে, স্রোতের অনুকূলে ভাসিয়ে চলেছো তুমি সুখের সাম্পান।
তোমার অবজ্ঞায় যুবকের অবমানিত হৃদয়-যমুনার তলদেশে
জেগেছে তীব্র ভূকম্পন,
বুকে তার ফুসেঁ উঠেছে মত্ত-মাতাল ঢেউ,
সুনামির অকষ্মাৎ অভিঘাতে ভেসে গেছে
তার হৃদয়ের উপকূলে গড়ে ওঠা সুখেদের সজ্জিত নগর।
ছিন্নমূল, বাস্তুহীন সুখগুলো দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা মেগে খায়।
তবু যুবকের হৃদ-কোণে রয়ে গেছো আজো অবিভাজ্য ভালোলাগায়।
তুমিতো শোনোনি
তার বুকভাঙা কান্নার ধ্বনি,
তার বুক ফাটা হাহাকার।
একেকটা পদাঘাতে তোমার হেলার,
তার সযত্ন-লালিত হদয়ে পড়েছে ঢেঁকি-হানা পাড়,
থেতলে যাওয়া ক্ষত হতে তরতাজা রক্ত ঝরেছে ফিনকি দিয়ে
অজস্র ধারায়।
দুঃখে ও যাতনায়, আজো তার চোখ ভেজে
উদ্বেল অশ্রুধারায়।
জানবার সাধ হয়,
এসব কি একবারো ভাবায় তোমায়?