বিষণ্ণ গাঙচিল
পাখনা মেলেছো একা-
আপন ডানায় ভর করে উড়ে চলেছো অসীম সাগর পাড়ি দেবে বলে।
ক্ষুব্ধ হিল্লোল দোলে সায়রের উন্মাতাল জলে
কোনো চিহ্ন রাখেনিকো তোমার ছায়া ফেলে।
রৌদ্র-আগুন ডানায় মেখে নিঃসঙ্গ সারথি
আপন অভিলাসে চলেছো তুচ্ছ করে মায়ার বন্ধন।
ডাকেনা তোমায় নীড়ের হাতছানি,
জলবিন্দু দুচোখ জুড়ে আঁকেনা রামধনু,
ডাকেনাকো সঙ্গিনী প্রণয়বিধুর,
বাঁধেনাকো তনয়ের বাহুর বন্ধন।
ফিরে চেয়ে দেখোনি ভূতলে সিন্ধুর লোনা জল,
ঊর্ধ্বে অবারিত আকাশ তোমাকে আহ্বান করে অনিবার
এ আকাশ, এ সাগর- এসবের কোথায় কিনার-
ভাবোনি একবারো, খোঁজোনি কতটা অতল।
শুধু আপন লক্ষ্যে চলেছো খেয়ালী
বক্ষে বয়ে বাসনার ভার
তুচ্ছ করে মায়াডোর, ঘর সংসার
সব ছেড়ে, উড়ছো কিসের সন্ধানে, কার আহ্বানে
কে জানে?
ডেকে যায় সমুদ্র প্রভঞ্জন,
ডেকে যায় আকাশ আর জলধির নীল।
কিছুতেই সাড়া নেই।
কী নেশায় বিভোর আছো বিষণ্ণ গাঙচিল?