এ কোন্ পর্দায় ঢেকে দিয়েছো আমার দৃষ্টি, সমস্ত সত্তা আমার?
আলোকিত বিশ্ব থেকে আমাকে গ্রাস করে অপার অন্ধকার।
আমি সবকিছু দেখতে পাই, শুধু দেখিনা তোমায়
কত জন্ম জন্মান্তর পার হয়ে যায়।
তোমাকে দেখার আশায় থাকতে থাকতে মরুভূমির মরীচিকার মতো
দুঃস্বপ্ন দেখি চোখে, ঝিলিমিলি আলোছায়া খেলা।
জানালার পর্দা নেড়ে বাতাস এলে,
উঠানের কোণে পল্লবিত আমগাছটার ডালে কোনো পাখি ডানা ঝাপটালে,
সচকিত দৃষ্টি মেলে তাকাই।
এই বুঝি তুমি এলে!
অপেক্ষার প্রহর আমার দিন পেরিয়ে রাত্রিতে মিলায়।
রাতজাগা পাখিগুলো কী করূণ সুরে ডেকে যায়!
আমার মতোন ওই পাখিরও কি প্রাণ কাঁদে তার সখার তরে?
হৃদয়ের শিশমহলে যে মধুর মুরতি নিয়ে বসে আছো,
সে কি এতোই অলীক?
আমার রক্ত-মাংস-অস্থি-মজ্জা, শিরা-উপশিরায়
যে-তুমি করছো বিচরণ, অহর্নিশ,
সে তুমি দেখা দাও মূর্তিমান হয়ে, নিজেকে প্রকাশ করো
আপন মহিমায়।
বেলা বয়ে যায়
তোমার আশায় চেয়ে থাকি শুধু পথপানে।
বিজন মাঠের সুদূর কিনার হতে মাতাল বাতাস
কার বাঁশরীর এমন উদাস সুর বয়ে আনে!
প্রেম হয়ে যদি মিশে আছো মনে,
সুর হয়ে যদি মিশে আছো গানে,
বল, আমার মাঝে কী এমন রয়েছে আকাল
যার অভিমানে, আজন্ম নিজেকে আমা হতে রেখেছো আড়াল?