চির অনন্তেরে কাছে লব ডাকি
যেথা চিরজনমের অন্ধকার ঢাকি
দেবে সমস্ত সত্তা, সমস্ত ধরণি,
জনশূন্য দিগন্ত-পথে চরণ দুখানি
ফেলে চলে যাবো মৃদু মৃদু পায়।
যেখানে বিষণ্ণ-সন্ধ্যায়
চৈত্র-রৌদ্র-দগ্ধ-ক্লান্ত ঘুঘু পাখি
ডুকুরি ডুকুরি কাঁদি, দুই আঁখি
ভেজাবেনা আঁখিজলে,
ধরণিতে কেউ নেই বলে।
তবুও কৃষ্ণচূড়ার ডালে
কিংবা শিমুল-শাখে লালে লালে
জ্বলিবে আগুন, ঝিরঝিরে
ধিরধিরে বসন্ত-সমীরে
পুলকিত হবে
প্রণয়-কাতর শত নবীন-যুগল
রৌদ্র-তপ্ত-ক্লান্ত-দেহ সুশীতল
ছায়াতলে ঘুমায় যেমন।
চিরতরে চক্ষু বুজি
শাশ্বত অনন্তেরে খুঁজি
নিবো অনন্তের মাঝে।
যত গ্লানি, যত লাজে
ঢেকে দেবে অনন্ত আঁধার।
বাসনার কালো মেঘ আর
আকাশ বাতাস ভারি করে
তুলবেনা অশণি সংকেত।
আমার চাওয়াতে যত বিভেদ
রয়েছে, সমস্ত সংসার
নিঃশর্ত সমাধান খুঁজে পাবে তার।
বেদনার যে-তীর বুকে
বিঁধে আছে, কেড়ে নেবে তাকে
ক্ষিপ্ত-যমদূতের মতন
কোনো এক বন্ধু-আপন।
সে আমার চির-আপনজন।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০১৬ সকাল ৮:০২