নীরার জন্য জ্বলে উঠেছিলো কলকাতা শহর!
শুধু নীরার জন্য মিছিল হলো, সাতটা ট্রামে ধরে
গেলো আগুন। গোঁফওয়ালা পুলিশগুলো ধরে
নিয়ে গেলো কয়েক শত ছোকরা। নীরার যদি
অসুখ না সারতো, সুনীল গাঙ্গুলি ডালহৌসি মোড়ে
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পান, বিড়ি, সিগারেট বেচতো
আজীবন। শহরগুলো আগের মতো আর বড়মনা
নেই। তোমার কোনো মন খারাপ হলে এই শহরের
কোথাও কোনো ব্যাঘাত হয় না, মিছিল হয় না...
অথচ নীরার জন্য শহর জ্বলতো! এই ছোট্ট ব্যস্ত
শহর, গ্যাঞ্জামের শহর, এখানে আজকাল নীরার
জন্য দুঃখ করবার সময় কোথায়? মানুষ কোথায়?
তবুও এই শহরে তোমার জন্য প্রার্থনা হয়।
তোমার খুব মন খারাপ হলে টিউশন ছেড়ে দিয়ে
রাস্তায় রাস্তায় হাঁটে তোমার প্রেমিক। তোমার
কোনো দুঃখ হলে এই শহরের এমাথা ওমাথা
টিউটরের ধমক খায় তিনটা ছেলেমেয়ে। তোমার
কোনো অসুখ করলে অভয়মিত্র ঘাটে গিয়ে
বিড়বিড় করেন সুনীল বাবু। তাকে এককালে
দেখা যেতো কলেজ স্ট্রিট, ডালহৌসি মোড়ে…
এই শহরের এমাথা ওমাথা প্রতিদিন হাঁটেন
সুনীল বাবু। টিউশন করেন। তোমার কোনো
মন খারাপ হলে টিউশনে গিয়ে ধমকাধমকি
করেন। মেজাজ দেখান। টিউশনে যান না।
তুমি কোনো দুঃখ পেলে এই শহরে ভীষণ রকম
ব্যাঘাত ঘটে না, বিঘ্ন হয় না, এই গ্যাঞ্জামের শহর,
শুধু সুনীল গাঙ্গুলি বিড়বিড় করেন...
আগুন জ্বলবে, আগুন জ্বলবে, আগুন জ্বলবে।
১৯ ফেব্রুয়ারী, ‘১৭। ফাল্গুনের রাত।
চট্টগ্রাম।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৬