বাড়িত তাইলে বিয়ান বেলা আর ঘুম যাইন্নফারি!
ফজরর আজান দিবার আগে আগে আব্বা উড়ি
যাগই, খুক খুক গরি হাঁসে, গলা খাকারি দেয়…
“অ ফুয়াইন, “ওড়ো, ওড়ো। নামাজর সময় অই
গিয়ই বাবা।” আব্বা তাহাজ্জুদ পইড়ত বইয়ে, আঁরা
ঘুম যাই। আজান দে। আব্বা আবার আস্তে আস্তে
ডাকে, “অ ফুয়াইন ওড়ো, ওড়ো বাবা। আজান দি
ফেলায়ে।” আঁরা তহনো ফঁস ফঁস গরি ঘুমাই--
আব্বা ফজরর নামজ পরি আইয়ে, আঁরা তহনো
ঘুম যাই। আব্বা বিড়বিড় গরে। “কুত্তার বাইচ্চা
অক্কল এহনো ঘুমত্তোন ন ওড়ে?” আঁরা তহনো
ঘুম যাই। “নবাবর বাইচ্চা অক্কল, এত নবাবজাদা
অইয়েদে, অম্মারেম্মা।” আঁরা কুটকুট গরি আঁসি!
আঁরা ঘুমত্তোন উইটতে উইটতে আব্বা একবার
ক্ষেতিত তুন ঘুরি আয় যাগই। মিড়া হদু শাক আর
হদুর ফুল তুলি আনে, আম্মা বারান্দাত বই বই ফুল
বাছে। আঁরা উড়ি। ব্রাশ গরি। আব্বা চিঁয়ারত বই
বই আবার বিড়বিড় গরে। “উইটতে নবাব্জাদা…”
আম্মা মুখ ঝামটা মারে। “বেশি নমাইত্তো তো,
এত ক্যান মাতো? ন মাতি তাইন ন পারো?”
আব্বা আর মাতিন ন পারে। আঁরা ফাইকর
গুরাত বই বই দাঁত মাজি আর কুটকুট গরি
আঁসি। আব্বা শার্ট ফরে, আম্মাত্তুন টিঁয়া লই
বাজারত যায়। আম্মায় আঁরারে বকাঝগা গরে!
আঁরা আঁসি। মিচকায় মিচকায় আঁসি…
মাঝেমাঝে আইজকাল আর আঁসিন্নফারি! যদি
হনদিন আব্বা আর ফজরত ডাক ন মারে?
০১ ফেব্রুয়ারি, ’২০। মাঘের রাত।
মিরপুর, ঢাকা।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩৮