ফিরতি বাসে কেউ থাকে না, আমরা জানি, তবুও
পৃথিবীর সব বাস স্টপে কেউ না কেউ দাঁড়ায়া থাকে!
মানুষের মতন কিছু হৃদয়, যাদের ফিরবার কথা
ছিলো, যারা কোনো দিন ফিরে আসবে না, সেই-
সব মৃত শালিকের পালকগুলা ভুলক্রমে পৃথিবীর
দিকে ওড়ে আসবে ভেবে কেউ কেউ বাস স্টপে
বসে বসে ঝিমায়, শীত আসে, শীতের পিঠে চড়ে
আসে হলুদ হলুদ কুমড়ার ফুল, ভুট্টার ফলগুলা
পৃথিবীতে আসে, বেগুনী বেগুনী শিম ফুল, তবুও
মানুষের মতন একটা হৃদয় কোনোদিন আর ফিরে
এসে হলুদ সরিষা ফুলের পাশে এসে দাঁড়ায় না…
তবুও, যারা অপেক্ষা করবার, তারা তবুও অপেক্ষা
করে থাকে। মানুষের মতন সমান্তরাল একটা হৃদয়
তবুও কোনোদিন আর ফিরে আসে না৷ সেইসব
পুরাতন ব্যথা আর ব্যথাতুর হৃদয়গুলা আর ফিরে
আসবে না, আমরা জানি, তবুও কেউ কেউ চায়--
সেইসব ব্যথাতুর হৃদয়গুলা ফিরে আসুক, সেইসব
হলুদ বসন্তের দিনগুলা ফিরে আসুক, সেইসব
পরিযায়ী পাখিগুলা, পাখিদের হৃদয়গুলা ফিরে
আসুক। তবুও, মানুষের মতন সমান্তরাল অহেতুক
একটা হৃদয় কোনোদিন আর এই তল্লাটে ফিরে
আসে না। কেউ কেউ আজীবন বাস স্টপে দাঁড়ায়া
থাকে, তবুও, হলুদ হলুদ কুমড়ার ফুলগুলার মতন
মানুষের হৃদয়গুলার আর ফিরে আসা হয়ে উঠে না!
বোকাসোকা কোনো কোনো হৃদয় তবুও দাঁড়ায়া
থাকে, যাদের ফিরে আসবার কথা ছিলো, যারা
কোনোদিন আর ফিরে আসবে না, মানুষের মতন
সমান্তরাল সেইসব হৃদয়, সেইসব পুরাতন বাস স্টপ
তবুও, যারা অপেক্ষা করবার, তারা তবুও, কয়েকটা
হলুদ হলুদ কুমড়ার ফুল আর বেগুনী বেগুনী শিম
ফুলগুলার প্রতীক্ষায় পথ চেয়ে থাকে, তবুও সেইসব
মানুষের মতন হৃদয়গুলা কোনোদিন ফিরে আসে না।
ফিরতি বাসে কেউ থাকে না, আমরা জানি, তবুও
পৃথিবীর সব বাস স্টপে কেউ না কেউ দাঁড়ায়া থাকে!
১৭ ডিসেম্বর, '২০। মাঘের রাত।
বরইতলি, চকরিয়া।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩২