পাতা ঝরাদের দিনগুলা ফুরায়া যাচ্ছে ধীরে ধীরে
সবুজ সৌন্দর্যের মতন অবিকল কিছু রোশনাই
পৃথিবীতে ফিরে আসবে, আশা করা যায়। আগেও
এই রকম আরো অসংখ্যবার ফিরে আসার বর্ণনা
পৃথিবীর মানচিত্রে দাগায়িত আছে, আমরা পড়ি--
আমরা আরো পড়তে পাই, এই পাতাঝরা দিনে
কিছু ডাহুক পাখি কম্বলহীন শীতার্ত হৃদয় নিয়া
শুয়ে আছে, আর কিছু মানুষ, কিংবা মানুষের
মতন আরো বেশি যূতচারী কিছু মেঘের বিন্যাস
মন আর মননের বিড়ম্বনা নিয়া শুইয়া থাকে…
এই অদ্ভুত অসভ্যতর পৃথিবীতে পাতা ঝরাদের
দিনগুলা ফুরায়ে যাবে ভাবি, এইসব খুন, ধর্ষণ;
হত্যা, মৃত্যু আর অপমৃত্যুর রাতগুলা পার হইয়া
একটা নতুন সৌন্দর্যময় সকাল আমাদের কাছে
ফিরে আসবে, আমরা আশা করি। আমরা আরো
আশা করি, এইসব নির্বিচারের কালগুলা কোনো
না কোনো একদিন ফুরায়া যাবে, সেইসব সবুজ
সৌন্দর্যময় সকালগুলার জন্য আমাদের না লেখা
কবিতা আর গান জমা রেখে আমরা পথ চলছি!
আমাদের চলতে হয়। এইসব পাতা ঝরাদের কাল
কোনো একদিন শেষ হলে, এই পৃথিবীতে আর
কোনো ডাহুক পাখি কম্বললহীন শুয়ে থাকবে না,
কোনো মানুষ, কিংবা মানুষের মতন কোনো হৃদয়
আর কুঁকড়ে-মুকড়ে থাকবে না এইসব বিচার আর
নির্বিচারের ভয় নিয়া। এইসব খুন, হত্যা, মৃত্যু আর
অপমৃত্যুর মিছিলগুলা মিলায়ে যাবে কোনো না
কোনো একদিন--আমরা আশা করি। আমরা আরো
আশা করি, এইসব কম্বলহীনতার দিনগুলা ফুরায়া
যাবে। সেই সবুজ সৌন্দর্যময় পাতা ঝরঝর সকালে
আমরা আবার নতুন পৃথিবীর কবিতা লিখতে বসব।
পাতাঝরার দিনগুলা একদিন ফুরায়া যাবে, জানি।
১০ জানুয়ারি, ’২০। পৌষের রাত।
মিরপুর, ঢাকা।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪০