ছোটবেলা থেকে স্কুলের এনুয়াল প্রোগ্রামে গান গাইতাম, পাড়ার মঞ্চ নাটকে ভোকাল দেওয়া তো ছিল আমার আবশ্যক দায়িত্ব। সবাই বলত হবে, তোকে দিয়ে হবে!
কিন্ত তা আর হলো না, পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখি করতে লাগলাম, মাসিক রহস্য পত্রিকায় বেশ অনেকগুলো লেখা প্রকাশও করেছে,
ফুলকুড়ি আসরের সাহিত্য সম্পাদক ছিলাম ছাত্রাবস্থায়, বগুড়ার দৈনিক আজ ও আগামীকাল পত্রিকায় আমার প্রতিবেদন ছিল আশা জাগানিয়া,
এতো কিছুর ভীড়ে কন্ঠ নিয়ে কিছু করার সুযোগই পেলাম না! ইন্টারমিডিয়েট শেষ করে ভর্তি হলাম আইনে। ঢুকে গেলাম দেশের প্রথম আইন বিষয়ক অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডি ল নিউজের এডিটর হিসেবে। একদিকে পড়াশোনা, অন্যদিকে আইনের নিউজ সংগ্রহ, এসব করেই সময়গুলো শেষ করে দিলাম!
আইনে স্নাতক করে ফেললাম, জয়েন করলাম এক প্রতিষ্ঠানের লিগ্যাল অফিসার হিসেবে! আমার প্রতিভাগুলোর হাত পা যেন একেবারে এটে গেলো, বন্দী হয়ে গেল তারা।
অফিস শেষ করে যে সময় থাকে, সেই সময় অবসর, আবার সপ্তাহে দুই দিন অবসর, এই সময়গুলোও যদি কাজে লাগানো যেত!
কিন্ত ঐ যে বললাম, আমাকে সুযোগ দেবার মতো কেউ নেই যে! এতো জায়গায় দৌড়ালাম, কেউ সুযোগ দিতেই চাইল না, সব জায়গায় টাকা চায়! কিন্ত আমার এতো কষ্ট তো নিজেই কষ্ট করে চলার জন্য ছিল, তাদের টাকা দেব কোথেকে?
অনেকে বলবে কেউ সুযোগ দেয় না, সুযোগ করে নিতে হয়! আমি তো নিজের জীবিকার পিছনেই দৌড়াতে থাকলাম গোটা সময়, পরিবার থেকে সাপোর্ট ছিলনা কখনো এসব কাজে। কিভাবে কি করার ছিল আমার বলুন?
আজ খুব মনে পড়ল কথাগুলো, ভাবলাম একটু শেয়ার করি সবার সাথে। মাঝে মাঝে নিজে নিজেই গান করি মোবাইল এপসে, নিজেই শুনি নিজের কন্ঠে গাওয়া গান। অন্যকে শোনাতে হলেও যে টাকা লাগে! আমি তো তার যোগ্য নই!
আজ ব্লগের বন্ধুদের, স্যারদের, বিজ্ঞজনদের জন্য একটি গানের লিংক দিলাম। মেয়েটার কন্ঠ বাদ দিয়ে, আমার কন্ঠে গাওয়া গান কেমন লেগেছে জানিয়ে আমায় বাধিত করবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৮