“একটা লোক বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গেছে কিন্তু সে আহত হয়নি, কেন? কারণ সে নিহত হয়েছে”। সবচেয়ে কমন ধাধাগুলোর মধ্যে মনে হয় এটা একটা। আসলে আহত কিংবা নিহত হওয়ার ব্যাপারটা পুরোপুরি আল্লাহ’র হাতে। তবু মানুষ চেষ্টা করে কিছুটা আগানো পিছানোর। পিছানোর চেষ্টাই বেশী মানুষ করে কিন্তু ইদানিং আগানোর মত লোক ও আছে। এ ব্যাপারটাকে আমরা বলি সুইসাইড। বিভিন্ন কারণে ইদানিং সুইসাইডের হার বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারচেয়ে বেশী বাড়ছে ব্যর্থ চেষ্টার হার। তাই সুইসাইড করার কিছু অব্যর্থ্য পদ্ধতি নিয়ে আজকের এই পোষ্ট। তবে কথা বলে রাখি সাইকোলজির মতে যারা সুইসাইড করে মৃত্যুর ঠিক আগ মুহুর্তে বাঁচার একটা তীব্র ইচ্ছা এবং চেষ্টা সবার মধ্যে কাজ করে। কিন্তু সেটা তখন আর সম্ভব হয় না। তাই যেকোনো পদ্ধতি প্রয়োগ করার আগে অবশ্যই এ কথাটি মনে করে নিয়েন। আর পরে আমাকে দোষ দিবেন না।
বিষ কিংবা হারপিক খাওয়াঃ প্রেম কিংবা ছ্যাকা সংক্রান্ত কোন ব্যাপারে যদি মরার ইচ্ছা না থাকে শুধু সুইসাইড অ্যাটেম্পট নিয়ে কাউকে খুশী করা অথবা ভয় দেখানোর জন্য হয় তাহলে এটি সবচেয়ে সহজ এবং স্বল্পমূল্যের পদ্ধতি। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই পরিমাণের ব্যাপারটা মাথায় রাখতে হবে। যদি আসলেই মরার ইচ্ছা থাকে তাহলে পরে আরো অনেকগুলা পদ্ধতি বর্ণণা করা আছে। আর যদি দেখানোর ইচ্ছা থাকে তাহলে চিৎকার চেঁচামেচির পরিমাণ বাড়াতে হবে এবং অবশ্যই এমনভাবে মুখে হারপিক ঢালতে হবে যাতে বোতলের বেশীরভাগটাই মুখের বাইরে পড়ে। সেই সাথে আগেই ঘনিষ্ঠ বন্ধু বান্ধবকে জানিয়ে রাখতে হবে যাতে কিছু ঘটার আগেই তারা আপনাকে নিকটস্থ ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে পারে।
গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালানোঃ আত্মহত্যার যত পদ্ধতি আছে তার মধ্যে এটা সবচেয়ে ভয়ানক এবং কষ্টের। সেই সাথে না মরার রিস্ক ও আছে। আর না মরলে কিন্তু সারাজীবন মানুষের গালি খেয়ে বাঁচতে হবে। তাই গায়ে কেরোসিন ঢালার আগে অবশ্যই সুতি কাপড় পড়ে নিন। আশেপাশে গ্যাসের চুলা থাকলে ভাল। কারণ ওটা বোনাস হিসেবে কিছু সাহায্য করবে। তবে গ্যাসের চুলার বেশী কাছে যাবেন না। তাহলে কিন্তু অন্যান্য মানুষ ও মারা যাবে। চুলে কেরোসিন একটু বেশী দিয়েন। পারলে আশে পাশে ও একটু ছিটিয়ে দিয়েন। তাহলে বাঁচার সম্ভাবনা প্রায় শুন্য হয়ে যাবে। তবে এক্ষেত্রে মরতে সময় লাগে অনেক বেশী। কষ্টের পরিমাণটা ও বেশী। তাই এ পদ্ধতি প্রয়োগ না করাই ভাল।
গলায় ফাঁস দেওয়াঃ সুইসাডের ক্ষেত্রে বেশ খারাপ এবং অন্যতম কষ্টের পদ্ধতি। কারণ এখানে বাঁচার সম্ভাবনা তো এমনিতেও নেই সেই সাথে দমবন্ধ হয়ে মরার কষ্ট’টা যে কত বেশী মৃত্যুর আগে তা হারে হারে টের পাওয়ার জন্য এই পদ্ধতির কোন বিকল্প নাই। এ পদ্ধতিতে সাধারণত মানুষ ৪৫-৬০ সেকেন্ডের মধ্যে পুরোপুরি জ্ঞানহীন এবং দুই মিনিটের মধ্যে পুরোপুরি প্রাণহীন হবেই। তবে আপনার ওজন যদি ৮০ কেজির উপরে হয় তাহলে এ পদ্ধতিতে না যাওয়াই ভাল। কারণ সেক্ষেত্রে দড়ি ছিড়ে নিহত হওয়ার চেয়ে বড় ধরনের আহত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।
পুকুর কিংবা নদীতে ঝাঁপ দেওয়াঃ নিকটস্থ পুকুর কিংবা নদীর সংখ্যা ইদানিং যদিও প্রায় শুন্যের ঘরে, তবু এই আইডিয়াটা এখনো ভালই চলছে। এইতো কিছুদিন আগেই ধানমন্ডি লেকের ব্রিজ থেকে লাফ দিয়ে দুইজন সুইসাইড করল। তবে গলায় ফাস দেওয়ার মত এটাও অনেক কষ্টের। তবে এক্ষেত্রে যেহেতু হাত পা ছোড়ার স্বাধীনতা থাকে তাই শরীর পুরোপুরি প্রাণহীন হতে ৩০-৭০ সেকেন্ড বেশী লাগে। কিন্তু তবে জনবহুল এলাকায় চেষ্টা না করাই ভাল, কারণ সেক্ষেত্রে আপনার উদ্দেশ্য ব্যাহত করার মত ভলান্টিয়ারের অভাব হবে না
ট্রেনের নিচে ঝাপ দেওয়াঃ এই পদ্ধতিতে সুইসাইড করতে হলে আপনাকে যথেষ্ট মানসিক শক্তি সম্পন্ন ব্যক্তিত্বের অধিকারী হতে হবে। কারণ ট্রেন আপনার দিকে আসার সময়টা নিজেকে রেল লাইনের সাথে জাপটে ধরে রাখা যথেষ্ট কষ্টের। নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি এটা। তবে স্থান নির্বাচন অনেক বড় একটা ব্যাপার এখানে। প্রত্যেক রেল লাইনের’ই কিছু পয়েন্ট থাকে যেখানে ট্রেন ফুল স্পীডে যায়। সাধারণত স্টেশন থেকে একটু দূরে নীরব জায়গাগুলোতে এই স্পট পাওয়ার সম্ভাবনা বেশী। এসব জায়গায় সুইসাইড করা সবচেয়ে সহজ। এখানে আরো একটি সুবিধা হচ্ছে আশে পাশে মানুষ থাকে না বেশী। তাই বাধা দেওয়ার লোক কম। অনেকে আছে সুইসাডের সময় লাইনের পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন এবং ট্রেন ঠিক সামনে এলে ঝাঁপ দেন। এটা একটা ভুল পদ্ধতি। কারণ এখানে লাশের বদলে পঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা বেশী যা পরবর্তীতে আরো বড় কষ্টের কারণ হবে আপনার জন্য। তাই আগেই উলটা হয়ে রেল লাইনে শুয়ে থাকুন। কারণ সোজা হয়ে শুরে থাকার মত এতটা মানসিক শক্তি কারোই থাকে না। মন থেকে দ্বিধা ঝাড়ার জন্য কয়েকটা হালকা পাওয়ারের ঘুমের ওষুধ খেতে পারেন। এতে ভাল ফিলিংস আসবে। মনে রাখবেন এ পদ্ধতিতে ট্রেন আপনার উপর দিয়ে যাওয়ার সময় আপনাকে ৩ খন্ড করে দিয়ে যাবে। তাই বাঁচার সম্ভাবনা এখানে একদম’ই নাই। আমি নিজেও কখনো সুইসাইড করলে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করব।
যেসব কাজ করবেন না
যেকোনো প্রকার অক্ষমতা কিংবা অপ্রাপ্তি’ই মূলত সুইসাডের প্রধান কারণ। কিন্তু অনেকেই এক্ষেত্রে ভুলভাল পদ্ধতি প্রয়োগ করে। এতে তো মৃত্যু হয়’ই না বরং উলটা নতুন কোন অক্ষমতা দিয়ে যায় জীবনে যা পরবর্তী জীবন’কে আরো বিষময় করে তোলে। যেমনঃ ছাদ থেকে ঝাঁপ দেওয়া, অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খাওয়া, নিজের হাত কিংবা পায়ের রক্তনালী কেটে ফেলা, অল্প গতির ট্রাক কিংবা বাসের নিচে ঝাপিয়ে পড়া ইত্যাদি। তাই এসব পদ্ধতি ব্যবহার না করাই ভাল।
লেখকের মতামত
লেখাটি পড়ে আশা করি বেশীরভাগ’ই আমাকে সুশ্রাব্য কিংবা অশ্রাব্য ভাষায় গালি গালাজ করছেন। আসলে এই টাইপ লেখার পরে উৎসাহ আশা করাও বোকামি। কিন্তু ইদানিং দেশ কিংবা সমাজের যে অবস্থা তাতে আসলে বেশীরভাগের’ই সুইসাইড করা উচিত।
প্রথমত, আমরা এমন একটি দেশে বসবাস করি যে দেশের বাবা সন্তানকে একবেলা ভাত দিতে না পেরে হত্যা করে এরপরে নিজে আত্মহত্যার ব্যর্থ চেষ্টা করে পরে পুলিশের হাতে মার্ডার কেসের আসামী হিসেবে বন্দী হয়। মার্ডারার কি আসলে সে? নাকি যারা দেশ চালায়, যারা পাকনা পাকনা কথা বলে তার কিছুই পূরণ করতে পারে না তারা? তাই এরকম বাবা’দের যাতে কষ্ট না পাওয়া লাগে তাই এই উপায়গুলো দিলাম।
দ্বিতীয়ত, একদিকে মিডিয়া’তে আসছে দেশ নাকি আত্মকর্মসংস্থানের জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে অন্যদিকে হাজারো হতাশ যুবক সিভি নিয়ে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে অফিসে অফিসে। চাকরি জিনিষ’টা নেই বললে ভুল হবে। চাকুরি আছে কিন্তু সেটা পেতে ডিগ্রি লাগে না। মামা-চাচা, নেতার চামচামি অথবা পাঁচ থেকে দশ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার সামর্থ্যের হাতে এখন সব চাকুরি বন্দী। ১৭-১৮ বছর পড়াশোনা নামক মরীচিকার পিছনে ঘুরে যদি এটা হয় ফলাফল তাহলে কি করবে সে? এ প্রশ্নের জবাব নেই যুবকের কাছে কিন্তু এ প্রশ্নের জবাব না দিলে ভাত ও নেই। এ প্রশ্নের জবাবের কাছেই বন্দী তার অথবা তার পরিবারের ভবিষ্যত কিংবা ভালবাসার মানুষটিকে পাওয়া না পাওয়ার চাবিকাঠি। কি করবে তাহলে বেঁচে থাকে, তারচেয়ে মরে যাক। এ সমাজের সব হতাশ যুবক মরে যাক। আর বাঁচিয়ে দিয়ে যাক সকল দায়বদ্ধতাকে।
তৃতীয়ত, হয়ত আপনার কিংবা আমার বোন রাস্তায় চলতে গেলে স্বীকার হয় ইভ টিজিং এর। আমরা ভয়ে কিছু করি না। কিন্তু এই যন্ত্রণা সইতে হয় তাকেই, প্রতিদিন রাস্তাঘাটে শুনতে হয় অশ্রাব্য গালিগালাজ কিংবা বিভিন্ন ধরনের অপমানজনক কথাবার্তা। সেই সাথে তাকে শিকার হতে হয় অনেক ভয়ভীতির। কি করবে সে? জোর গলায় কিছু বললে আমরাই তখন বলি খারাপ মেয়ে। আমরা মানে কিন্তু পুরুষরা না। আমরা মানে মেয়েটির বাবা, মা, পাশের বাড়ির আন্টি পরিশেষে আমরা সবাই। মেয়েটি তাহলে বেঁচে থেকে কি করবে? বেঁচে থেকে এসব কথা শোনার চেয়ে মরা অনেক ভাল। তাই এখানেও যাতে ব্যর্থতার সম্মুখীন না হওয়া লাগে সেজন্য এই পদ্ধতিগুলো দিলাম। কারণ কোনো কারণে যদি মেয়েটি বেঁচে যায় তাহলে আমাদের এই শুদ্ধভাষী সুশীল সমাজ দ্বিগুণ উৎসাহে ঝাপিয়ে পড়ব। আশা করি ঐ লেখাটি তাকে ঐ মুহুর্ত দেখা থেকে রক্ষা করবে।
চতুর্থত, যারা ইভ টিজিং শুনলেই কৃত্রিম আতঙ্কে আঁতকে উঠেন তাদের জন্য বলছি এখন তারচেয়ে ও বড় একটা ইস্যু আছে। সেটা হচ্ছে ধর্ষণ ইস্যু। এখানে একটি মেয়ে নিজের সতীত্ব হারাবে আর আপনি হাতে তালি দিয়ে দিয়ে বলতে পারবেন নষ্টা। এরচেয়ে মজা আর কি হতে পারে? মেয়েটি কিছু বলতে পারবে না, এ গ্যারান্টি আমি দিচ্ছি। সেই সাথে এটাও বলছি এর মানে কিন্তু এই না তার বলার ক্ষমতা নেই, এর মানে হচ্ছে মেয়েটির মধ্যে আপনার প্রতি একটা ঘৃণা কাজ করছে। শেষ পর্যন্ত এই ঘৃণা থেকেই বাচার ইচ্ছাটা মরে যায়। মেয়েটি বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ। আর অভিশাপ দিয়ে যায় সমাজের সব্বাইকে। আর তাই এই পথ সহজ করার জন্যই আত্মহত্যার এই পদ্ধতিগুলো বর্ণণা করলাম।
পঞ্চমত, আমাদের দৌরাত্ম ইদানিং যুবক, বৃদ্ধ কিংবা নারীতেই সীমাবদ্ধ নেই। আমরা এখন শিশুদের ও মুক্তি দেই না। একটা ঘটনা মনে পড়ে। আমার এক পরিচিত আপুর মেয়ে পরীক্ষায় একটা অংক ভুল করলে ও তাকে যেভাবে ট্রিট করা হত, আমার নিজেরই ভয় লাগত। হঠাৎ একদিন শুনি মেয়েটি নিখোজ। অনেক খুজে পাওয়া গেল। রেলস্টেশনে বসে আছে, ট্রেনে চলে যাবে। কোথায় যাবে সে নিজেও জানে না। কারণ জিজ্ঞেস করলাম। বলল, আজকে ইংলিশ পরীক্ষা ছিল তাও ক্লাস সিক্সের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা। মাত্র ৮০ নম্বর লিখতে পেরেছে। বাসায় গেলে আম্মু মারবে তাই এখানে এসেছে। বাসায় যাবে না। এরপর থেকে মেয়েটিখনো প্রায়ই অসুস্থ থাকে। এটা মাত্র একটা ঘটনা। এরকম হাজার ঘটনা এখন আশে পাশে তাকালেই পাওয়া যায়। এরই ধারাবাহিকতায় এ+ না পেয়ে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে দুজন স্কুলের বাচ্চা। এ বয়সে আমি নিজেই সুইসাইড শব্দটার সঠিক মানে বুঝতে পারতাম না। কিন্তু নিষ্ঠুর সমাজ এদের ভাল করে এটা শিখিয়েছে। এরা আসলে মারা যায় নি। এরা গালি দিয়েছে আমাকে, আপনাকে এই সিষ্টেমকে। এ গালিটা যাতে আরো মানুষ দিতে পারে সেজন্যই এই লেখাটি লিখেছি।
পরিশেষে, আসলে আমাদের সবারই সুইসাইড করা উচিত। যে দেশের বর্ডারে স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পরেও কিশোরী ফেলানির লাশ ঝুলে কিন্তু কেউ কিছু করতে পারে না, যে দেশের বৃদ্ধ কিংবা বৃদ্ধা ভিখারি অভাবে শীতার্ত অর্ধনগ্ন দেহ নিয়ে রাতভর উল্লাসে মেতে ওঠা তরুণ তরুণীর থার্টি ফাষ্ট নাইট দেখে, যে দেশ এখনো একমত’ই হতে পারে নি কে তাদের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে এটা নিয়ে, যে দেশের মানুষ নিজের দেশ বাদ দিয়ে এখন ভারত নাকি পাকিস্তান এই যুদ্ধে লিপ্ত থাকে, যে দেশ জানে না কিভাবে গুণীজন’কে সম্মান করে লাগে, যে দেশের মানুষ সকল সমস্যা থেকে গা বাঁচিয়ে সুশীল হতে চায় সেই দেশের সব মানুষের এক সাথে সুইসাইড করা উচিত। কারণ বাঁচার অধিকার তারা রাখে না।
তাই সবাইকেই বলছি সময় হয়েছে বদলে যাওয়ার, সময় হয়েছে বদলে দেওয়ার। সবকিছুকে জয় করে তাই আসুন হাতে হাত রেখে হেটে যাই নতুনের পথে যেখানে স্বার্থ কিংবা ঘৃণার চেয়ে সম্পর্ক বড়, যেখানে অর্থ কিংবা শিক্ষার চেয়ে সম্প্রীতি গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে কোন অসুস্থ প্রতিযোগিতা নেই, তার বদলে আছে সকলের প্রতি সকলের সহযোগিতার বন্ধন।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৮