শ্রমিকনেতাদের দলপতি শাহজাহান খানের মদদে পরিবহণ শ্রমিকদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার সড়ক অবরোধ নিয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই ,কারন উনার মতো নীতি নৈতিকতাহীন ,বোধশক্তিহীন মানুষের পক্ষে সব করা বা বলা সম্ভব ।
কিন্তু একটা জায়গায় আমার খটকা থেকে যায় । সরকারে থেকে ,সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে থেকেও উনি কিভাবে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেন । সরকার কেন এখনো এই আগাছা টাকে সার- গোবর দিয়ে পোষতেছে ?
আমার আরেকটা জায়গায় খটকা রয়েছে । কিছুদিন আগে শ্রমিকনেতাদের পক্ষ থেকে সরকারকে প্রলোভন দেখানো হয় ,আমাদের দাবি মেনে নিন আমরা আপনাদের সব ধরনের সহযোগিতা করবো ।
অতীতে শ্রমিক নেতারা সরকারকে কি ধরনের সহযোগিতা করেছিল যা ভবিষ্যতেও করতে চায় । আমি সব কিছু ঘেঁটে তাদের সহযোগিতার যে ক্ষেত্র গুলো পেয়েছি তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলঃ
১। বিরোধীদের ডাকা হরতাল বা অবরোধে (সরকারের কথায়) রাস্তায় বাধ্যতামূলক ভাবে গাড়ি নামিয়েছে ।
২।বিরোধীদের ডাকা সমাবেশের আগে অনাহূত কারন দেখিয়ে (সরকারকে খুশি রাখতে) রাস্তায় গাড়ি নামানো বন্ধ রেখেছে ।
৩।সরকারি নেতাদের সমাবেশে বিনা ভাড়ায় কর্মী সরবরাহ করেছে ।
এছাড়াও আরও বেশ কিছু ক্ষেত্রে সরকারকে তারা সহযোগিতা করেছে যা ভবিষ্যতেও করতে চায় । কিন্ত এতদিনে মনে হয় সরকারের বোধ জেগেছে । সরকার জনগনের কথা ভেবে সড়ক আইন পরিবর্তন করেছে ।এবং কাদের সাহেব সাফ বলে দিয়েছেন ,সড়ক আইন পরিবর্তন সম্ভব নয় । তবু শাহজাহান খান এত কাচুরমাচুর করতেছে কেন ?
উনার এহেন কাজের একটা শাস্তি দেওয়া দরকার । বেশি কিছু না খুবই ছোট ধরনের শাস্তি । এই ধরুন ,আন্তঃনগর বা লোকাল ট্রেনের বাথরুমে উনাকে ১ ঘণ্টা দাড় করিয়ে রাখা । কারন ,আজকে আমি বাসা থেকে গাজীপুরে আসার সময় লক্ষ করেলাম কতশত মানুষ কত কষ্ট করে চলাচল করতেছে(আমি নিজেও ভোগান্তির শিকার)।শহরে প্রায়শও সিএনজি চলতে দিলেও মফস্বলে কোথাও কোথাও রিকশাও চলতে দেয়নি । ট্রেনের ছাদে ,হাতলে ঝুলে ঝুলে কত মানুষ আসছে ,কত মানুষকে দেখলাম বাথরুমের দরজা সম্পূর্ণ খুলে দিয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আসতেছে । কি নিদারুন কষ্ট ।এসব কষ্ট উনাদের গায়ে লাগবে না কারন উনারাতো প্রাইভেট গাড়িতে যাতায়াত করেন ।
তবে ,উনি যদি জনগনের ভোটে নির্বাচিত এম্পি হয়ে থাকেন তাহলে উনার অবিলম্বে শাস্তি দেওয়া উচিত । আর যদি বিনা ভোটে নির্বাচিত হন তাহলে বলব "জনগন কোন চ*-এর বাল" ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৫০