somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সরকারের জনপ্রিয়তা হ্রাস পাচ্ছে

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সরকারের জনপ্রিয়তা হ্রাস পাচ্ছে সে কথা বললে মনে হয় ভুল হবে না। দিনবদলের সনদ নিয়ে যে সরকার দুই বছর আগে ব্যাপক জনসমর্থন পেয়েছিল, সে সরকার আজ স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে জনগণের রায়ে জনপ্রিয়তা হারাতে বসেছে। সর্বশেষ পৌর নির্বাচন আমাদের যে ধারণা দেয় তা নিঃসন্দেহে সরকারের জন্য সুখকর কোনো ঘটনা নয়। সাধারণ মানুষ সত্যিকারের পরিবর্তন চেয়েছিল। সেদিক বিবেচনায় রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে ইতিবাচক পরিবর্তন ছিল প্রত্যাশিত। উদ্বেগজনক বাস্তবতা হলো, আমাদের দেশে সেসব বিষয়ে উল্লেখ করার মতো কোনো পরিবর্তন হয়নি। সরকারের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন ও ছাত্রলীগ দিন-দিন যেভাবে টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজি শুরু করেছিল তাতে করে স্থানীয় পর্যায়ের জনগণ পরিবর্তন চেয়েছে।
সদ্য সমাপ্ত পৌরসভা নির্বাচনের শেষ দিনে আংশিক অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলে হয়তো গোটা নির্বাচন বহুলাংশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে, সে কথা বলা যেত। চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরে কিছু কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা, ব্যালট পেপার ছিনতাই এবং সংঘর্ষের ঘটনা পৌরসভা নির্বাচনের সফল সমাপ্তির পথে অন্তরায় হয়েছে। তবে সার্বিকভাবে বিশ্লেষণ করলে বলা যায় নির্বাচনে বড় ধরনের কোনো অনিয়ম না হওয়ায় সদ্য সমাপ্ত হওয়া এবারের পৌর নির্বাচনের ব্যাপারে জনমনে স্বস্তি বিরাজ করছিল। বলার অপেক্ষা রাখে না যে প্রধান বিরোধী দলের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছিল নির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্ণ হয়েছে। যে বিষয়টি না বললে নয়, তা হলো ভোট প্রদানে সাধারণ মানুষের উত্সাহ ছিল লক্ষ্য করার মতো।
প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার তথ্য মতে, পৌর নির্বাচনে সমগ্র বাংলাদেশে বিএনপি ভোট পেয়েছে ৪১ শতাংশ, অন্যদিকে আওয়ামী লীগের ৩৯ শতাংশ ভোট। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩০টি আসন পেয়ে চমক সৃষ্টিকারী আওয়ামী লীগ পৌর নির্বাচনে বহুলাংশে ভরাডুবির শিকার। জাতীয় নির্বাচনে মাত্র ৩০টি আসন পেয়ে বিএনপির জনপ্রিয়তা তলানিতে গিয়ে ঠেকলেও সদ্য সমাপ্ত পৌর নির্বাচনে তারা আবার গা-ঝাড়া দিয়ে বসেছে। দেশের ৭টি বিভাগের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ২৩৬টি পৌরসভায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে। বিএনপির ভোটের পরিমাণ ১৮ লাখ ৫১ হাজার ৩৩৭টি, যা প্রদত্ত ভোটের প্রায় ৪১ শতাংশ। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের মোট ভোট ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৫৭৫টি, যা প্রদত্ত ভোটের ৩৯ শতাংশ। সদ্য সমাপ্ত পৌর নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। রংপুর, খুলনা এবং রাজশাহী বিভাগের মোট ভোটে এগিয়ে বিএনপি। এর মধ্যে রংপুর বিভাগে বিএনপি পেয়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৪৫৫ ভোট। আওয়ামী লীগ পেয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার ৭২১ ভোট। খুলনা বিভাগে বিএনপি পেয়েছে ২ লাখ ৩২ হাজার ৮১ ভোট। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ পেয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৪৩৯ ভোট। রাজশাহী বিভাগে বিএনপির মোট ভোট যেখানে ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৯৪৬টি, সেখানে আওয়ামী লীগের ভোট ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬৭৭টি। বরিশাল বিভাগে বিএনপির ভোট খুবই কম। এ বিভাগে আওয়ামী লীগ যেখানে ১ লাখ ৫ হাজার ৭১১ ভোট পেয়েছে, সেখানে বিএনপির ভোট মাত্র ৪৩ হাজার ৯৮০টি। চট্টগ্রাম বিভাগে দুই দলের ভোট কাছাকাছি। আওয়ামী লীগ ২ লাখ ৫৭ হাজার ৬২৩, বিএনপি ২ লাখ ৩৯ হাজার ৪৬৪। ঢাকা বিভাগে আওয়ামী লীগ ভোটে এগিয়ে। এ বিভাগে আওয়ামী লীগের ভোট ৬ লাখ ৯৭ হাজার ৫৯০টি, অন্যদিকে বিএনপি পেয়েছে ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৭৮০ ভোট।
সিলেট বিভাগে আওয়ামী লীগ ভোট পেয়েছে ৭৮ হাজার ১৯৫টি, বিএনপির ভোট ৭৬ হাজার ৬৩১টি। বিদ্রোহী প্রার্থীদের ভোটসহ এ হিসাব করা হয়েছে। তবে নির্বাচনে তৃতীয় বা এর নিচে স্থান পাওয়া দুই দলের কয়েকজন বিদ্রোহী প্রার্থীর হিসাব এতে দেয়া সম্ভব হয়নি। ২৩৬টি পৌরসভার মধ্যে এক ডজন পৌরসভায় ভোটের ব্যবধান ১শ’রও কম। আবার মাত্র ১২-১৩শ’ ভোট পেয়ে মেয়র হয়েছেন দুই দলে এমন সৌভাগ্যবান আছেন ৪-৫ জন। এছাড়া কমপক্ষে ১৫টি পৌরসভায় বিএনপির বিদ্রোহী এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। এ বিদ্রোহী প্রার্থীর গ্যাঁড়াকলে পড়ে দু’দলের মেয়র সংখ্যা কমেছে কমপক্ষে ২০টি। বিভাগ ওয়ারি ফলাফল বিশ্লেষণে পাওয়া গেছে এমন তথ্য।
এবারের পৌর নির্বাচনে ভোট প্রদানের হার ছিল সন্তোষজনক। এ জন্য নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছে। সবাই আশা করেছিল, নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত এ ধারা বজায় থাকবে। সমগ্র দেশে তীব্র শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়া সত্ত্বেও গ্রামবাংলার সাধারণ ভোটাররা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন। মজার বিষয় হচ্ছে, নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল উল্লেখ করার মতো। পৌরসভা নির্বাচন অরাজনৈতিক হলেও সারা দেশে শেষ পর্যন্ত তাতে রাজনৈতিক পরিচয়ই মুখ্য হয়ে উঠেছিল। শেষদিকে সর্বত্রই চলেছে দলীয় তত্পরতার অসম প্রতিযোগিতা। এ কারণে নির্বাচনে বলপ্রয়োগের আশঙ্কা ছিল প্রবল। সেদিক থেকে সংঘর্ষের ঘটনা খুব বেশি ঘটেনি। আমাদের একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে আর তা হলো বৃহত্তর নোয়াখালীসহ কিছু এলাকায় কেন এর ব্যত্যয় ঘটল সেটা খুঁজে বের করা জরুরি। এর জন্য যারাই দায়ী হোক তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
সারাদেশে নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী মেয়র পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির মধ্যে লড়াই হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। নির্বাচনের একটি লক্ষণীয় দিক হলো উভয় দলের বেশ ক’জন বিদ্রোহী প্রার্থীর জয়লাভ। এ ক্ষেত্রে দলগুলোর প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা সম্পর্কে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে তেমন ওয়াকিবহাল নয়, এ থেকে সে ধারণাই পাওয়া যায়। রাজশাহী বিভাগের ৪৯ পৌরসভার দুই বিদ্রোহীসহ আওয়ামী লীগ পেয়েছে ১৩টি মেয়র পদ। অন্যদিকে বিএনপিও দুই বিদ্রোহীসহ পেয়েছে ২৬টি মেয়র পদ। এছাড়া এ বিভাগে স্বতন্ত্রের ভাগ্যে তিনটি এবং জামায়াত তিনটি মেয়র পদ লাভ করে সবাইকে চমকে দেয়। এ বিভাগের সবচেয়ে বেশি ভোটার বগুড়া সদর পৌরসভায়। এতে বিএনপি প্রার্থী বিজয়ী হয় প্রায় ১ লাখ ভোট পেয়ে। একই বিভাগের ধুনট পৌরসভায় মাত্র ১ হাজার ৫৯৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী। এ পৌরসভায় বিএনপি প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন মাত্র ১০৬ ভোটে। রংপুর বিভাগের ২৩টি পৌরসভায় বিএনপি কব্জা করেছে ৯টি মেয়র পদ। আওয়ামী লীগ ৭টি। এছাড়া জাতীয় পার্টি দুটি, জামায়াত দুটি এবং স্বতন্ত্র চারটি মেয়র পদ পায়। এ বিভাগে পাটগ্রাম পৌরসভার স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হন মাত্র ১০৯ ভোটের ব্যবধানে। আবার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভায় বিজয়ী জামায়াত প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় জাতীয় পার্টির। আওয়ামী লীগ বিএনপি এতে নামমাত্র ভোট পায়।
চট্টগ্রামের ফলাফল প্রকাশ হওয়া ৩৮ পৌরসভায় একজন বিদ্রোহীসহ আওয়ামী লীগ পায় ১৬টি মেয়র, বিএনপি এক বিদ্রোহীসহ ১৯টি। এছাড়া নাগরিক কমিটি, এলডিপি, স্বতন্ত্র প্রত্যেকে একটি করে মেয়র পদ লাভ করে। ৭টি বিভাগের মধ্যে শুধু চট্টগ্রাম বিভাগে নাগরিক কমিটি এবং এলডিপি একটি করে মেয়র পদ পেয়েছে। এ বিভাগে এবার জামায়াত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি। খুলনার ৩০টি পৌরসভার চার বিদ্রোহীসহ আওয়ামী লীগ পায় ১২টি মেয়র পদ, বিএনপি চার বিদ্রোহীসহ ১৬টি। এ ছাড়া স্বতন্ত্র পায় দুটি। এ বিভাগের জীবননগর পৌরসভায় বিএনপি প্রার্থী আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে হারিয়েছেন মাত্র ২৬ ভোটের ব্যবধানে। আওয়ামী লীগের সবচেয়ে ভালো ফলাফল বরিশাল বিভাগে। এ বিভাগের ১৯টি পৌরসভার মধ্যে আওয়ামী লীগ ১ বিদ্রোহীসহ ১৭টি মেয়র পদ লাভ করেছে। এ ছাড়া বিএনপির ভাগ্যে জুটেছে মাত্র নলছিটি পৌরসভার একমাত্র মেয়র পদটি। পাথরঘাটা পৌরসভা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পকেটে গেছে। সিলেট বিভাগে বিএনপির ফল আশাতীত ভালো। ১৬টি পৌরসভার মধ্যে বিএনপি ৯টি, আওয়ামী লীগ ৭টি (১ বিদ্রোহীসহ) মেয়র পদ লাভ করেছে। এ পৌরসভার শ্রীমঙ্গলে বিএনপি প্রার্থী আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে হারিয়েছেন মাত্র ৫৪ ভোটে। চুনারুঘাটেও বিএনপি প্রার্থী আওয়ামী লীগকে হারিয়েছেন ১০৮ ভোটে। আবার নবীগঞ্জে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জিতেছেন মাত্র ১০২ ভোটে। এ পৌরসভায়ও দুর্ভাগা প্রার্থীটি বিএনপির। সবচেয়ে বেশি পৌরসভা এবং বেশি ভোটার ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগের ৬৩টি পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ৭ বিদ্রোহীসহ ৩৫টি, বিএনপি ১ বিদ্রোহীসহ ২৩টি এবং স্বতন্ত্র ৫টি মেয়র পদ কব্জা করেছে। এ বিভাগে শেরপুর পৌরসভায় বিএনপি প্রার্থী আওয়ামী লীগকে হারিয়েছেন মাত্র ৫২ ভোটের ব্যবধানে।
পরিশেষে বলা যেতে পারে দুই বছর আগের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিএনপির তুলনায় প্রায় ৬-৭ গুণ বেশি আসনে বিজয়ী হয়েছিল। সে তুলনায় এবার দলীয় ভিত্তিতে পরিচালিত পৌরসভা নির্বাচনে তারা বিজয়ী হয়েছে বিএনপির প্রায় সমান আসনে। এই বিপর্যয়ের কারণ খুঁজে বের করা দরকার। যদি সে রকমটা খুঁজে বের করা সম্ভব হয়, তবে কৌশল খুঁজে বের করাটাও সহজ হবে। দেশের সাধারণ নাগরিকদের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য যদি সরকার ভবিষ্যতেও কাজ করে যেতে না পারে, তবে সরকার তাদের বাকি জনপ্রিয়তাটুকুও দিন দিন হারিয়ে ফেলবে।

সূত্র : দৈনিক আমার দেশ।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজকের ডায়েরী- ১৫০

লিখেছেন রাজীব নুর, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৩৩



গতকাল ছিলো বাংলা নববর্ষ।
সকালে এক জরুরী কাজে আমি উত্তরা গিয়েছিলাম। আমার তাড়াতাড়ি বাসায় ফেরার কথা। কিন্তু দেরী করে ফেললাম। আজ বাসার সবাই মাওয়া যাবে। সেখানেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই সময়ের কিঞ্চিৎ ভাবনা!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:১৭

বাক স্বাধীনতা কিংবা যা মনে আসছে তাই লিখে বা বলে ফেলছেন, খুব একটা ব্যাক স্পেস চাপতে হচ্ছে না এখন, তবে নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে এবং যে কোন দল নির্বাচিত হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্প: অপেক্ষা (১ম পর্ব)

লিখেছেন শামীম মোহাম্মাদ মাসুদ, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭

ফকির আবদুল হাই সাহেবের সাথে পরিচয় হয় যখন আমি অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি তখন। খুবই আধ্যাত্মিক আর রহস্যময় মানুষ। পেশায় একজন অধ্যাপক। অধ্যাপনা ছেড়ে আধ্যাত্মিকতা করেন, ফকির নামটি তার নিজস্ব... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেন বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:০৮

কেন বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার.....

হোয়াটসঅ্যাপে আমাদের ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক এবং অরাজনৈতিক ১০ জনের একটা গ্রুপ আছে। আমরা বেশীরভাগ সময়ই সমসাময়ীক বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি। গত তিনদিনের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিলো বিএনপির... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের মডেল মসজিদ প্রকল্প: রাজনীতি, প্রতারণা ও সমাজের প্রতিচ্ছবি

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:২৪


২০১৪ সালের প্রহসনের নির্বাচনের পর শেখ হাসিনার সরকার একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেয়। ইসলামপন্থীদের সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে তারা ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগানোর পথ বেছে নেয়। ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের ঘটনা সরকারকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×