somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ট্রায়াজ: ক্রমবর্ধমান বিকাশ এবং এর ব্যবহার।

২৫ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


চিত্র-১: সম্রাট নেপোলিয়নের সময়ে যুদ্ধক্ষেত্রে সর্বপ্রথম ট্রায়াজের প্রচলন হয় ।
ভূমিকা
১। বিপন্ন প্বথিবী আজ ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে নিশ্চিত ধ্বংসের দিকে। একদিকে উন্নত বিশ্বের লাগামহীন কার্বন নিসঃরন অন্যদিকে উন্নয়নশীল বিশ্বের কিছু দেশের উন্নত বিশ্বের কাতারে নাম লেখানোর প্রতিযোগিতায় অসম শিল্পায়নের নির্গত বর্জ্যর দূষনে আর তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে একে একে ধ্বসে পড়ছে এন্টার্টিকার গ্লেসিয়ার,ফুঁসে উঠছে সাগর ধীরে ধীরে গ্রাস করে নিচ্ছে মহাসাগরের বুকে জেঁগে থাকা অসংখ্য ছোট ছোট দ্বীপসমূহকে। আজকের পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশে অসংখ্য দূর্যোগের ফলশ্রুতিতে একদিকে যেমন ঘটছে ব্যাপক সম্পদহানি অন্যদিকে অসংখ্য প্রানহানি ঘটনা। দূর্যোগকালীন মূহূর্তে ব্যাপক হতাহতের (Mass Casualty) বিষয়টি দূর্যোগ ব্যবস্থাপনার একটি অন্যতম স্পর্শকাতর বিষয়। সঠিক ‌ব্যবস্থাপনার অভাবে ধারনার চাইতে অধিক প্রানহানির ঘটনা সমগ্র দূর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিষয়টিকে একটি চ্যালেন্জের মুখে ঠেলে দেয়। প্রশ্নবিদ্ধ করে এই দূর্যোগ ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িতদের ভূমিকাকে। দূর্যোগকালীন মূহুর্তে এই হতাহতের বিষয়টি সঠিকভাবে সামাল দিতে পারলে একদিকে এই হতাহতের সংখ্যা যেমন অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব অন্যদিকে এই বিষয়টি দূর্যোগ ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গের ভূমিকাকে দেশের কাছে উজ্বল করতে পারে। আর একইসাথে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গের দূর্যোগ এর বিরুদ্ধে লড়াই করার মনোবলকে বহুলাংশে বৃদ্ধি করে।


চিত্র-২: দূর্যোগকালীন মূহূর্তে ব্যাপক হতাহতের (Mass Casualty) ক্ষেত্রে ট্রায়াজের ব্যবহার।
ট্রায়াজ কি ?
২। আকস্মিক দূর্যোগ যেমন ভূমিকম্প, ভবনধ্বস , ভূমিধ্বস ,আকস্মিক বন্যা অথবা রেল বা বাস দূর্ঘটনা এই ধরনের প্রাকৃতিক বা মনুষ্য সৃষ্ট দূর্যোগের ফলে অল্প সময়ের ব্যবধানে অসংখ্য মৃত বা আহতের সংখ্যা আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি হতে পারে । এধরনের পরিস্থিতিতে দেখা যায় অত্যাধিক হতাহতের ঘটনায় সঠিকভাবে আঘাতের গূরুত্ব বিবেচনায় না এনে সমভাবে সকলকে একযোগে চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে গিয়ে একদিকে যেমন অত্যাধিক আঘাতপ্রাপ্ত রোগীর মৃত্যুবরন অথবা পর্যাপ্ত ঔষধ না পাওয়া ইত্যাদি ঘটনা ঘটতে পারে । ফলে সামগ্রিকভাবে হতাহতদের ব্যবস্থাপনায় বিপর্যয় দেখা দিতে পারে এবং আশংকাজনকভাবে নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। আর এই ধরনের পরিস্থিতিকে সামাল দিতে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে ট্রায়াজের ভূমিকা অনস্বীকার্য । এই TRIAGE শব্দটির উৎস ফ্রেন্চ ভাষা trier, থেকে যার অর্থ TO SORT বা শ্রেনী বিন্যাস করা। ট্রায়াজের এর উদ্দেশ্য হচ্ছে সর্বোচ্চ সংখ্যক হতাহতের জন্য সর্বোচ্চ ভালো ফলাফল অর্জন করা (To achieve the greatest good result for the greatest number of casualties)। এই পদ্ধতিতে ব্যাপক হতাহতের মধ্য থেকে যত দ্রুত সম্ভব আহতদেরকে আঘাতের গুরুত্ব উপর ভিত্তি করে শ্রেনী বিন্যাস করে দ্রুত চিকিৎসা প্রদান করার মাধ্যমে কাঙ্খিত ফলাফল লাভ করা সম্ভব।


চিত্র ৩: ট্রায়াজের এর উদ্দেশ্য ব্যাপক হতাহতের মধ্য শ্রেনী বিন্যাস করে দ্রুত চিকিৎসা প্রদান ।
ট্রায়াজের প্রয়োজনীতা
৩। ট্রায়াজের বিষয়টি মূলত বড় এবং কোন আকস্মিক দূর্যোগের কারনে ব্যাপক হতাহতের (Mass Casualties) মধ্যে থেকে জীবনের ঝুঁকির উপর ভিত্তি করে রোগীদেরকে শ্রেনী বিন্যাস করা। এই ট্রায়াজের বিষয়টি মূলত দূর্যোগ ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে নিমোক্ত কারন সমূহের জন্য ।

ক। আহত এবং নিহত ব্যক্তিদের পৃথকীকরনের মাধ্যমে আহতদেরকে দ্রুত চিকিৎসা প্রদান নিশ্চিত করা

খ। আহতদের মাঝে আঘাতের গুরুত্ব এবং জীবনের ঝুঁকি বিবেচনা করে পৃথক করন এবং সেই অনুপাতে সঠিক চিকিৎসা প্রদান। এবং এর মাধ্যমে জরুরী মেডিকেল সেবার উপর চাপ কমান এবং উপযুক্ত গুরুতর আহত রোগীদেরকে জরুরী মেডিকেল সেবার আওতায় আনয়ন করা।

গ। আহতদেরকে শ্রেনীবিন্যাসের মাধ্যমে যৌক্তিকভাবে সমতা বিধানের মাধ্যমে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরন এর মাধ্যমে সকল রোগীদের সুষ্ঠু চিকিৎসা নিশ্চিত করা ।

উপরোক্ত বিষয়সমূহের উপর কোন সম্যক ধারনা বা প্রশিক্ষন না থাকায় প্রায়শই দেখা যায় যে কোন আকস্মিক বড় ধরনের দূর্যোগে প্রানহানির সংখ্যা বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়। এই ট্রায়াজ বর্তমানে উন্নত এবং অধিকাংশ উন্নয়নশীল দেশসমুহে অনুসরন করা হচ্ছে।


চিত্র ৪: নেপোলিয়নের সময়ে যুদ্ধক্ষেত্রে আহতের চিকিৎসার ক্ষেত্রে আভিজাত্য বা শ্রেনীকে প্রাধান্য দেয়া হত।

ট্রায়াজের পটভূমি
৪। যুদ্ধক্ষেত্রে হঠাৎ করে একটি গোলা এসে পড়লো ফ্রেন্চ সৈনিকদের উপর গোলার আঘাতে এক সৈনিকের পা ভেংগে গেল পাশে থাকা এক অফিসারের এক হাত ভেংগে গেল। দুজনেই আহত অবস্থায় পড়ে রইল। কিছুক্ষন পরেই এক চিকিৎসক দল ঘটনাস্থলে এসেই দুজনকে দেখে বুঝে উঠতে পারছিলোনা কাকে প্রথমে চিকিৎসা দেয়া উচিত । কারন আঘাতের গুরুত্ব বিচার করে সৈনিককেই প্রথমে চিকিৎসা দেয়া উচিত কিন্ত তখনকার সমাজব্যবস্থা এবং আভিজাত্য শ্রেনীর গুরুত্ব বিচারে অফিসারকেই চিকিৎসা সেবা দেয়াটাই স্বাভাবিক বিষয় ছিল। এই ধরনের পরিস্থিতিতে কোন ব্যক্তিকে চিকিৎসা সেবা আগে দেয়া উচিত এই প্রশ্ন ১৭৯৭ সালে ফরাসী সম্রাট নেপোলিয়নের সেনাবাহিনীর বিখ্যাত সার্জন ইন চীফ ডোমেনিক জেন ল্যারী কে ভাবিয়ে তুলেছিলো । যদিও সেসময়ে এটাই স্বাভাবিক ছিলো যে এই ধরনের পরিস্থিতিতে অফিসারকেই অগ্রাধিকার দেয়া হত । কিন্ত ল্যারী সর্বপ্রথম এই ধারনাকে বদলে দিয়ে মানবিক দৃষ্টিকোনকে অগ্রাধিকার দিয়ে পদ বা আভিজাত্যর চাইতে আঘাতের ধরনকে গুরুত্ব দিয়ে আহতদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের বিষয়ে নতুন যুগান্তাকারী ধারনার প্রবর্তন করেন।


চিত্র ৫: সম্রাট নেপোলিয়নের সেনাবাহিনীর বিখ্যাত সার্জন ইন চীফ ডোমেনিক জেন ল্যারী
এই ধারনার পেছনে তিনি যে বিষয়টি চিন্তা করেছিলেন যে একজন আহত সৈনিক যে কিনা অল্প চিকিৎসা গ্রহনে অল্প সময়ে সুস্থ হয়ে আবার যুদ্ধ করতে পারবে তাকেই অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। কারন তখন বিশ্বজয়ী নেপোলিয়নের প্রয়োজন ছিলো অসংখ্য সৈনিকের যারা কিনা একের পর এক যুদ্ধক্ষেত্রে অংশগ্রহন করছিলো । ল্যারীর এই পদ্ধতি একদিকে যেমন ছিলো মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে ভারসাম্যপূর্ন অন্যদিকে এই ধারনা বা পদ্ধতিতে মূলত দুটি বিষয় চিকিৎসকদের বিবেচনায় ছিলো :

ক। আঘাতের গুরুত্ব এবং চিকিৎসার প্রয়োজনীতা।
খ। আঘাতপ্রাপ্ত সৈনিকের দ্রুত আরোগ্যলাভের সম্ভাব্যতা।

ল্যারীর এই পদ্ধতিতে এই দুই বিষয়কে মূলত প্রাধান্য দিয়ে আহত সৈনিকদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে অগ্রাধিকার প্রদান করা হত । তিনি সর্বপ্রথম ট্রায়াজের সফল প্রয়োগের জন্য যুদ্ধক্ষেত্রে হতে আহত সৈনিকদের দ্রুত স্থানান্তরের জন্য ঘোড়া টানা এম্বুলেন্স সেবার প্রচলন করেন।


চিত্র ৬: ঘোড়া টানা সর্বপ্রথম এম্বুলেন্স গাড়ীর প্রচলন করেন ল্যারী নেপোলিয়নের সেনাবাহিনীতে

৫। মেজর জোনাথন লেটারম্যান ছিলেন পটোম্যাক সেনাবাহিনীর মেডিকেল সার্জন । তিনি ১৮৬২ থেকে ১৮৬৪ সালে আমেরিকান গৃহযুদ্ধে নেপোলিয়নের সেনাবাহিনীতে অনুসৃত ল্যারীর ট্রায়াজ পদ্ধতি সর্বপ্রথম প্রচলন করেন। তিনি সর্বপ্রথম ট্রায়াজের সফল প্রয়োগের জন্য ইউনিয়ন আর্মিতে এম্বুলেন্স কোর সৃষ্টি করেন এবং যুদ্ধক্ষেত্রের নিকটে প্রাথনিক চিকিৎসা কেন্দ্র এবং ফিল্ড হাসপাতালের প্রচলন করেন। তার এই যুগোপযোগী সির্ধান্তের কারনে ইউনিয়ন আর্মির মৃতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পায়। এভাবেই ট্রায়াজ পদ্ধতি ধীরে ধীরে বিশ্বের অন‌্যতম সেনাবাহিনীগুলো অনুসরন করতে শুরু করে। এরপর বেজে উঠে প্রথম বিশ্বযু্দ্ধের দামামা । এইসময় চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিশেষ করে সার্জিকাল বা শল‌্যচিকিৎসায় বেশ উন্নতি হয়। বিশেষ করে আহতদের ক্ষেত্রে এন্টিসেপটিক ফ্লুইডের ব্যাপক প্রচলনের ফলে গ্যাংগরিনের প্রাদুর্ভাব কমে আসে কিন্ত সংঘর্ষজনিত অথবা বিষক্রিয়া জনিত পচনের ক্ষেত্রে তেমন কোন উন্নত চিকিৎসার উদ্ভব না হওয়াতে মৃত্যুহারের তেমন কোন হ্রাস ঘটেনি। এছাড়া প্রথমবারের মত যুদ্ধক্ষেত্রে চিকিৎসা দলে সার্জনের সংযুক্তির ফলে যুদ্ধক্ষেত্রের খুব নিকটস্থলে সার্জিকাল অপারেশন পরিচালনা করা সম্ভব হয়। কিন্ত তারপরও ব্যাপক হারে প্রথমবারের মত রাসায়নিক অস্ত্রের প্রয়োগ সেইসাথে মেশিনগানের উদ্ভবের কারনে হতাহতের পরিমান অনেক বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া ১ম বিশ্বযুদ্ধে এম্বুলেন্সে ব্যাপক হারে বেসামরিক স্বেচ্ছাসেবীর ব্যবহার সেইসাথে যুদ্ধে বিভিন্ন কৌশলগত কারনে যুদ্ধের পরিধি বেসামরিক এলাকায় বিস্তৃতি লাভ করায় ব্যাপক হারে বেসামরিক জনগনও হতাহত হতে থাকলে ট্রায়াজের মধ্যে বেসামরিক পরিমন্ডলকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হয়।


চিত্র ৭: পটোম্যাক সেনাবাহিনীর মেডিকেল সার্জন মেজর জোনাথন লেটারম্যান

৬। ২য় বিশ্বযুদ্ধে ট্রায়াজ পদ্ধতিতে আরো পরিবর্তন আসলো বিশেষে করে সম্মুখ যুদ্ধে চিকিৎসা সেবা প্রদানে এবার উদ্ভব হলো নতুন এক পদ্ধতি Buddy Concept এই পদ্ধতিতে সৈনিকদের নিজস্ব আঘাত অথবা সহযোদ্ধার আঘাতের জন্য চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য সাথে দেয়া হল বহন করার মত কিছু জীবানুরোধক ব্যান্ডেজ, জীবন রক্ষাকারী ঔষধ এছাড়া আরো প্রচলন করা হল ছোট দলে বিভক্ত চিকিৎসকের দল যারা নিজ দলের অগ্রগামী সৈন‌্যদের কাছাকাছি অবস্থান করত এবং কোন সৈনিক আহত হলে দ্রুত তার নিকটে পৌঁছে আঘাতের অবস্থা নিরুপন করে চিকিৎসা প্রদান করত । এই সময়ে কার্যকরী এন্টিবায়োটিকের সহজলভ্যতা এবং সার্জিক্যাল অপারেশনের নতুন পদ্ধতির প্রচলন যুদ্ধক্ষেত্রেই সহজ করে দেয় আহত সৈনিকের এবডোমেন অথবা বুকের আঘাতের চিকিৎসা সেবা প্রদানে। এই সময়ে চিকিৎসা ক্ষেত্রে উন্নতি সাধনের কারনে অনেক গুরুতর আহত সৈনিককে দ্রুত সময়ে চিকিৎসা করা সম্ভব হয়। এছাড়া ট্রায়াজের ক্ষেত্রে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত যে সকল সৈনিক আবার কার্যকরীভাবে যুদ্ধে অংশ নিতে পারবে তাদের চিকিৎসাকে গুরুত্বের সাথে নেয়া হল। এভাবে ট্রায়াজের সফল ব্যবহারে ২য় বিশ্বযুদ্ধে আঘাতজনিত কারনে মৃত্যুর হার সর্বপ্রথম ৩০% এর নীচে নেমে আসে। যদিও ট্রায়াজের সফল প্রয়োগের কারনে আঘাতজনিত মৃত্যুহার অনেক কমে আসে কিন্ত একজন আহত সৈনিককে ট্রায়াজের মাধ্যমে চিকিৎসার জন্য নির্বাচন করলেও সম্মুখ সমর এলাকা থেকে নিরাপদ এলাকায় স্থানান্তর করতে যে সময় ব্যয় হত তাতে অনেক সৈনিক অধিক রক্তক্ষরন জনিত কারনে মৃত্যুবরন করত।


চিত্র ৮: ২য় বিশ্বযুদ্ধে নতুন এক পদ্ধতি Buddy Concept ট্রায়াজের ক্রমিবিকাশে নতুন গতির সঞ্চার করল।
এই অবস্থার পরিবর্তন আসে ভিয়েতনাম যুদ্ধে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আহত সৈনিককে দ্রুত নিরাপদ এলাকায় চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরের মাধ্যমে। এবং এই হেলিকপ্টারের সফল প্রয়োগ এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে নতুন নতুন পদ্ধতি এবং ঔষধের আবিষ্কারের কারনে সর্বশেষ ইরাক এবং আফগানিস্থানে আঘাতজনিত সৈনিকের মৃত্যুহার অনেক কমে আসে ।


চিত্র ৯: ভিয়েতনাম যুদ্ধে সর্বপ্রথম হেলিকপ্টারে আহত সৈনিক স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং সর্বশেষ আফগান যুদ্ধে যার ব্যবহার বিদ্যমান ছিল।

ভিয়েতনামের যুদ্ধের পর থেকে হাসপাতালের পরিবর্তে একজন আহত সৈনিকের চিকিৎসার জন্য এম্বুলেন্সকে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলা হয়। ফলে স্থানান্তরজনিত কারনে সময় অপচয় কমে আসে। একসময় যখন নাড়ীর স্পন্দন হ্রাস পাওয়াকে অবধারিত মৃত্যু হিসেবে দেখা হত পরবর্তীতে ট্রায়াজের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি চিকিৎসা প্রদানের প্রথম ধাপ হিসেবে বিবেচিত হল। এবং ট্রায়াজের ক্ষেত্রে অধিক আঘাত প্রাপ্ত সৈনিকের চিকিৎসার গুরুত্ব সর্বাধিক দেয়া হয় ।
সবশেষে স্নায়ুযুদ্ধের যুগে পারমানবিক বোমা ও রাসায়নিক অস্ত্রের প্রয়োগের আশংকা থেকে সাধারন জনগনকেও এই ট্রায়াজের আওতায় আনা হয়। পরবর্তীতে স্নায়ুযুদ্ধের যুগ শেষ হলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ অথবা সন্ত্রাসী হামলায় বেসামরিক পরিমন্ডলেও এই ট্রায়াজের প্রচলন ব্যাপক হারে শুরু হয় । ট্রায়াজের এই ক্রমবিকাশকে নিম্নের একটি ছক দ্বারা প্রকাশ করা হল।



ট্রায়াজের প্রকার

৭। অবস্থা ভেদে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ট্রায়াজের প্রকার বিভিন্ন রকম হতে পারে।বিভিন্ন প্রকার ট্রায়াজের বর্ননা নিম্নে দেয়া হল;

ক। সাধারন ট্রায়াজ (Simple Triage): এই ট্রায়াজ মুলত কোন দূর্ঘটনাস্থলে অথবা এমন কোন দূর্ঘটনাস্থল যেখানে একসাথে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে এবং কোন ধরনের এম্বুলেন্স আসার আগে সেখানে আহতদের আঘাতের গুরুত্ব বিচার করে রোগীদের শ্রেনি বিন্যাস করা হয়।এই শ্রেনী বিন্যাসে সাধারনত মার্কার পেন দ্বারা রোগীর গায়ে চিন্হিত করা অথবা বিভিন্ন রঙের কাগজের বা সিনথেটিক পর্দাথের তৈরী ট্যাগ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

খ। অগ্রগামী ট্রায়াজ (Advanced Triage): সাধারনত এই ট্রায়াজ চিকিৎসক বা এই সাথে জড়িত পেশাদার ব্যক্তিদের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। এই ট্রায়াজ প্রয়োগের মাধ্যমে সাধারনত ঐ সকল আহত যাদের সুস্থ হওয়ার সম্ভবনা নাই তাদের অপেক্ষা যারা দ্রুত সুস্থ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে সেই সকল আহতদেরকে চিকিৎসা সেবা এবং ঔষধ প্রদান করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে যখন চিকিৎসা সেবা এবং ঔষধের পরিমান আহতদের অপেক্ষা স্বল্প হয়ে থাকে তখন এই ধরনের ট্রায়াজের প্রয়োগ হয়ে থাকে।

গ। চলমান সংযুক্তি ট্রায়াজ (Continuous Integrated Triage): দলগত ট্রায়াজ, সাইকোলোজিক ট্রায়াজ এবং হসপিটাল ট্রায়াজ এই তিন ধরনের চলমান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রোগীর শ্রেনি বিন্যাগস করাকে চলমান সংযুক্তি ট্রায়াজ বা Continuous Integrated Triage বলে। এই ধরনের ট্রায়াজ প্রয়োগের মাধ্যমে একদিকে আহতদের জন্য চিকিৎসা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এবং সহজলভ্য স্বল্প চিকিৎসা সেবা ও ঔষধের মধ্যে সমতা বিধানের জন্য প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।

ঘ। বিপরীত ট্রায়াজ (Reverse Triage): এই ধরনের ট্রায়াজের ক্ষেত্রে সাধারনত উপরে উল্লেখিত ট্রায়াজ অনুসরন না করে সাধারনত কম আঘাতপ্রাপ্ত আহতকে অধিক আঘাতপ্রাপ্ত রোগীর উপরে গুরুত্ব প্রদান করে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়ে থাকে। এই বিষয়টি বিশেষ কিছু পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে, যেমন যুদ্ধক্ষেত্রে আক্রমনরত কোন বাহিনীর কম আঘাতপ্রাপ্ত কোন সৈনিককে অল্প চিকিৎসা প্রদানে সে দ্রুত যুদ্ধে যোগদান করে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারবে একজন গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত সৈনিক অপেক্ষা। এছাড়া হাসপাতালে সংঘটিত কোন দূর্ঘটনায় কম আঘাতপ্রাপ্ত একজন চিকিৎসক বা নার্সকে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত একজন রোগীর আগে চিকিৎসা সেবা প্রদান করলে সেই চিকিৎসক বা নার্স সুস্থ হয়ে অন্যান্য আহতদের চিকিৎসা করতে পারবে। এই ধরনের বিশেষ পদ্ধতির ট্রায়াজকে বিপরীত ট্রায়াজ বা Reverse Triageবলে।

ঙ। নিম্ন ট্রায়াজ (Under Triage) ও উচ্চ ট্রায়াজ (Over Triage): এই ধরনের ট্রায়াজের সাথে সাধারনত আহতদের আঘাতের নির্নয়ে দক্ষতার বিষয়টি জড়িত। সাধারনত আঘাত নির্নয়ের ক্ষেত্রে নির্নয় ত্রুটির কারনে কম আঘাতপ্রাপ্ত রোগীকে বেশি আঘাত সম্পন্নরোগী হিসেবে চিন্হিত করন (উচ্চ ট্রায়াজ বা Over Triage) এবং একই ভাবে বেশি আঘাত সম্পন্ন রোগীকে কম আঘাত সম্পন্ন রোগী হিসেবে চিন্হিত করন করা (নিম্ন ট্রায়াজ বা Under Triage) হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ২য় ত্রুটির কারনে মৃত্যুহার বেশি হওয়ার সম্ভবনা থেকে যায়। এই ধরনের ত্রুটিপূর্ন ট্রায়াজের কারনে উভয় ক্ষেত্রে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার ব্যহত হয়ে থাকে।

দূর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ট্রায়াজের প্রচলন
৮। স্নায়ুযুদ্ধের সময় বিশেষ করে ষাটের দশকে যখন কিউবায় রাশিয়া পারমানবিক ওয়ারহেড সমৃদ্ধ মিসাইল স্থাপন করে। এই মিসাইলের আওতায় আমেরিকার বেশ কটি বড় শহর অবস্থিত থাকায় এই শহরগুলোতে বসবাসরত সকল বেসামরিক ব্যক্তির সম্ভাব্য হতাহতের আশংকায় তখন থেকে আমেরিকায় ট্রায়াজের পরিকল্পনা শুরু হয়ে যায়। কারন যে কোন পারমানবিক আক্রমনের কারনে এত অধিক সংখ্যক হতাহতদের জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবার সুবিধা এবং ঔষধের অভাব দেখা দিতে পারে। এভাবে স্নায়ুযুদ্ধের সময় থেকে পারমানবিক এবং একই সাথে রাসায়নিক আক্রমনের বিষয়টি মাথায় রেখে বেসামরিক পরিমন্ডলকে ট্রায়াজের আওতায় আনা হয়। মূলত বেসামরিক পরিমন্ডলে জরুরী চিকিৎসা সেবা প্রদানে আধুনিক ট্রায়াজের উদ্ভব হয় ১৯৬০সালের পরবর্তী যুদ্ধক্ষেত্রে অনুসৃত ট্রায়াজের অনুসরনে।


চিত্র ১০: হাইতি ভূমিকম্পে আহতদের ট্রায়াজ পদ্ধতিতে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।
এরপর এই ট্রায়াজের প্রায়োগিক ব্যবহার সর্বক্ষেত্রে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।বিশেষ করে প্রাকৃতিক দূর্যোগ যেমন ভূমিকম্প, ভূমিধ্বস বা সুনামির কারনে উদ্ভুত ব্যাপক হতাহতের ক্ষেত্রে অথবা বড় কোন ধরনের সন্ত্রাসী হামলায় এই ট্রায়াজের ব্যাপক প্রচলনের ফলে হতাহতের সংখ্যা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়।যে কোন দূর্যোগ মুহুর্তে সাধারনত দেখা যায় নাগরিক সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থাগুলো ভেংগে পড়ে। বিশেষ করে ভূমিকম্পের কারনে চলাচলের জন্য রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে বিপনীবিতান, বানিজ্যিক কেন্দ্রসমূহ অথবা চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য হাসপাতালগুলো যখন বিধ্বস্ত হয় অথবা আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয় তখন একদিকে যেমন জীবিতদের জন্য অন্যদিকে আহতদের জন্য আরো বড় আকারের সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়। এসময় বিদূৎতের অভাবে একদিকে যেমন হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারগুলোর কার্য পরিধি সীমিত হয়ে পড়ে অন্যদিকে আকস্মিক দূর্যোগে একসাথে অনেক ব্যক্তি গুরুতর আহত হওয়ায় দেখা দেয় চিকিৎসা সেবা এবং জীবনরক্ষাকারী ঔষধের সংকট। এই ধরনের পরিস্থিতিতে সঠিক ট্রায়াজ পদ্ধতির প্রয়োগ একদিকে যেমন রক্ষা করতে পারে অসংখ্য প্রাণ অন্যদিকে পরিস্থিতিকে ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রনের মধ্যে আনতে সাহায্য করে।

ট্রায়াজের চ্যালেন্জ সমুহ
৯। ট্রায়াজ এমনই একসময় প্রয়োগ করা হয় যখন দেখা দেয় সম্পদের হাহাকার। একদিকে নিহতদের লাশের গন্ধে বাতাস ভারী হয়ে আছে অন্যদিকে আহতদের গোঙানির শব্দ। এরই মাঝে অগনিত আহতদের মাঝ থেকে একজন চিকিৎসক অথবা দূর্যোগ কার্যে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবীকে বেছে নিতে হচ্ছে আহতদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের আঘাতের গুরুত্বের উপর বিবেচনা করে। যদিও সকল আঘাতপ্রাপ্ত আহতদের চিকিৎসা সেবা একটি মানবিক অধিকার কিন্ত ট্রায়াজ প্রয়োগের সময় ঔষধের ও চিকিৎসা সেবার সংকটের কারনে অনেকেই সেই সেবা থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে।


চিত্র ১১: ট্রায়াজ প্রয়োগের ক্ষেত্রে আহতদের নিকটাত্মীয়রা আবেগপ্রবন হয়ে ট্রায়াজ প্রয়োগে বাধার সৃষ্টি করতে পারে

এরকম পরিস্থিতিতে একজন চিকিৎসককে মুখোমুখি হতে হয় কঠিন এক সির্ধান্ত গ্রহনের জন্য কাকে সে বেছে নেবে চিকিৎসার জন্য। এই ধরনের পরিস্থিতিতে একজন চিকিৎসকে মানসিক ভাবে দৃড়তা প্রদানের জন্য নীতি এবং নৈতিকতার বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। সকল আবেগ এবং ভাবাবেগের উর্ধ্বে থেকে একজন চিকিৎসক বা দূর্যোগকার্যে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবী কর্মীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে হয় ট্রায়াজের মাধ্যমে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে অনেক সময় দেখা যায় যে সকল আহতরা চিকিৎসা সেবা গ্রহনে বিলম্ব হয় তাদের নিকটাত্মীয়রা বিষয়টি কে মেনে নিতে পারেননা কারন ট্রায়াজের বিষয়টি সম্পর্কে তারা জানেননা অথবা তাদের আবেগের কারনে ট্রায়াজের প্রয়োগ তারা মেনে নিতে না পেরে পরিস্থিতিকে আরো সাংঘর্ষিক বা জটিল করে তোলেন । ফলশ্রুতিতে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত রোগীদের একদিকে চিকিৎসা সেবা যেমন ব্যহত হয় অন্যদিকে জীবনের ঝুঁকি অথবা জটিল পরিস্থিতির কারনে চিকিৎসক বা দূর্যোগস্থলে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবী কর্মীদের কার্যক্রম ব্যহত হয়।এই ধরনের পরিস্থিতিতে একজন স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক অথবা স্বেচ্ছাসেবীকে তার নিজস্ব প্রজ্ঞা এবং বিবেচনা প্রয়োগের মাধ্যমে সঠিকভাবে ট্রায়াজ অনুসরনের জন্য একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে একটি কার্যকাঠামো প্রনয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন একটি পদক্ষেপ। কারন এইধরনের একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রনীত কার্যকাঠামো একজন স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক অথবা স্বেচ্ছাসেবীকে জটিল পরিস্থিতিতে একদিকে তাকে যেমন প্রদান করে নিরাপত্তা অন্যদিকে তার নৈতিক মনোবলকে বহুলাংশে বৃদ্ধি করে, পক্ষান্তরে সম্পূর্ন বিষয়টি দূর্যোগ মোকাবেলায় একটি ইতিবাচক প্রভাব বয়ে আনে।

উপসংহার
১০। ট্রায়াজ বর্তমানে একটি বহুল প্রচলিত পদ্ধতি যা কিনা জটিল পরিস্থিতিতে (Crisis Situation)যুদ্ধক্ষেত্রে থেকে শুরু করে দূর্ঘটনাস্থল, যে কোন আকস্মিক দূর্যোগস্থলে এবং হাসপাতালে ব্যবহার হয়ে আসছে। ট্রায়াজের সফল প্রয়োগের মাধ্যমে একদিকে যেমন সীমিত সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে অন্যদিকে অধিক প্রানহানির বিষয়টি প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে। ট্রায়াজের প্রায়োগিক বিষয়টি শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর্মী , চিকিৎসক বা স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্য সীমিত না রেখে সমাজের সাধারন জনগনকেও যদি এই ট্রায়াজের প্রশিক্ষনের সাথে সম্পৃক্ত করা যায় তাহলে যে কোন দূর্যোগে First Responder হিসেবে স্থানীয় জনগন যে কোন দূর্যোগে একজন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবীর ন্যায় কার্যকর ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে। এছাড়া ট্রায়াজের মূল বিষয় বা এর প্রয়োগের বিষয়টি সম্পর্কে জানা থাকলে সাধারন মানুষের সাথে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী বা স্বেচ্ছাসেবীদের দূর্যোগ মুহূর্তে ট্রায়াজ প্রয়োগের সময় ভুল বুঝাবুঝি বা সন্দেহের অবসান হয়।

১১। যে কোন Crisis Situation এ ট্রায়াজের প্রয়োগের বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রনয়ন করা আবশ্যক। এই নীতিমালার বিষয়টিকে আইনগত ভিত্তির মাধ্যমে যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠিত করা এবং এর আওতায় একই ধরনের পদ্ধতি যেন সরকারী ও বেসরকারী সংস্থাসমূহ, এনজিও এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয় অনুসরন করে সে বিষয়ে নিশ্চিত করা। এই ট্রায়াজের বিষয়টি সরকারী ব্যবস্থাপনায় এবং তদারকীর মাধ্যমে সকল বানিজ্যিক সংস্থা বিশেষ করে পোশাক শিল্পে, খনি প্রকল্পসমূহে, জাহাজ ভাংগা এবং নির্মান শিল্পসহ অন্যান্য যে সকল শিল্পে একই স্থানে অসংখ্য কর্মী কাজ করে সে সকল স্থানে এই ট্রায়াজের উপর প্রশিক্ষিত ব্যক্তি নিয়োজিত করা এবং অন্যান্য কর্মীদের এই বিষয়ে সাধারন প্রশিক্ষন প্রদান করা গেলে অসংখ্য প্রানহানির বিষয়টি এড়ানো সম্ভব।


সাহায্যকারী সূত্রসমূহ:
১। Dominique Jean Larrey ইউকিপিডিয়া।
২। Glenn W. Mitchell, MD, MPH, FACEP। A Brief History of Triage June 23, 2008.
৩। Jonathan Letterman ইউকিপিডিয়া।
৪। Michael D. Christian, MD, FRCP(C), J. Christopher Farmer,MD FCCM, Brian P. Young, MD.Disaster Triage and Allocation Scarce Resources (Chapter-13).
৫। Triage ইউকিপিডিয়া।







সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুন, ২০১৪ রাত ১১:২০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মপোলব্ধি......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫১

আত্মপোলব্ধি......

একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !

লিখেছেন হাসানুর, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২



হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।

লিখেছেন তানভির জুমার, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৩

আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?

লিখেছেন রাজীব, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪২

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।

আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×