হয়তো কখনো বাংলাদেশের স্মারক ডাকটিকিটে প্রকাশিত হবেই না রাজাপুর রেলওয়ে স্টেশনের নাম। কিন্তু আমি যে বয়সে সাঁতার শিখেছিলাম, তখন থেকেই এ ষ্টেশনকেও পড়তে শিখেছিলাম। হয়তো আমার ঠিক তখনো জানা হয়নি অনুশীলন সমিতির সেই বিপ্লবী অতীন রায়ের কথা। কিন্তু আমার নিজস্ব পাঠে তখনো ছিল এই রাজাপুর রেলওয়ে স্টেশনের নাম।
হয়তো আমার অসাধারণ পিতা তখনো ওই বাংলাদেশ সরকারের এক সাধারণ চাকুরীজীবীই ছিলেন, কিন্তু আমি ওই বয়সেই সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্যবশতই আকাশ এবং মহাকাশ দেখে ফেলি। হয়তো তখন স্কুলপাঠের প্রতিযোগিতায় আমি কেবল পিছিয়ে যেতে থাকি, কিন্তু আমি মায়ের প্রেরণা পেয়ে যত্রতত্র পাখিদেরই প্রতিনিধিত্ব করতে শিখে গেছি।
হয়তো আমার ঠিক তখনো গুনগুনিয়ে গাওয়া হয়নি উস্তাদ গুলাম আলীর শাস্ত্রীয় কোনো গজল, কিন্তু আমি রাজাপুর রেলওয়ে ষ্টেশনের বৃক্ষে বৃক্ষে পাতায় পাতায় এ হৃদয়কে উত্তোলন করেছিলাম। হয়তো আমি ঠিক তখনো মৃত্যুবরণ করিনি, তাই হয়তো এ জীবনের এক নির্মাণশৈলী অনুসন্ধানকেই মানব প্রাণের শ্রেষ্ঠকর্ম ভেবেই নিয়েছিলাম। হয়তো তখনো জানিনি আমি জন্মের বা নির্মাণের জন্যও কখনো কখনো মৃত্যুভ্রমণ ঘটে, হয়তো তখনো কেউ বলেনি এই আমাকে
শকুন্তলা রেলওয়ে ষ্টেশনের নাম, কিন্তু আমি ওই বয়সেই রাজাপুর রেলওয়ে ষ্টেশনে গিয়ে পাখি দেখতে দেখতে নিজেই একটি এক্সপ্রেস ট্রেন হওয়ার দুঃখনির্বাপক কোনো এক রাজকীয় স্বপ্নে মগ্ন হয়েছিলাম।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৫৯