somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কলেজ থেকে বের হয়ে একা আমি

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কি খবর? কি করো? আরে না না না, এখন না…(মোবাইলে কথা বলছিলাম, এমতাবস্থায় পিছন থেকে একজনের ডাক) “এই যে ভাই আপনাকে ডাকে” ।

– জী ভাই বলেন ।
– আচ্ছা আমার সাথে যে আপনার ধাক্কা লাগছে এটা কি তুমি লক্ষ্য করেছ ।
– জী না ভাইয়া ।
– কারও সাথে যদি ধাক্কা লাগে তো কি করতে হয় ।
– আসলে ভাইয়া আমি বুঝতে পারিনি যে আপনার শরীরের সাথে আমার ধাক্কা লাগছে, মোবাইলে কথা বলতেছিলাম তো । যাই হোক আমি sorry ভাইয়া । আসলে আমি বুঝতে পারিনি যে আপনার সাথে আমার ধাক্কা লাগছে ।
– হু ভালো ।
– কি করো তুমি?
– ভাইয়া আমি student পড়ালেখা করি ।
– ওহ আচ্ছা, ভালো । গ্রামের বাড়ি কোথায়?
– জী ভাইয়া ফরিদপুর ।
– কোন কলেজে পড়?
– ভাই Daffodil এ ।
– হু, ঢাকা থাকো কই?
– ফার্মগেট ।
– ফার্মগেট কোথায়?
– রাজা বাজার ।
– আমারে চিনো?
– জী না ভাইয়া ।
– কখনো টিভিতে, পেপারে আমারে দেখ নাই?
– না, আর দেখলেও মনে নেই ।
– আমার নাম জানো?
– না ।
– আমার কষ্ট লাগতেছে, তুই আমারে চিনিস না । আমার নাম বাবু, ধানমণ্ডির সবাই পিস্তল বাবু বলে চিনে, আর তুই আমারে চিনিস না ।

– ওহ ভাইয়া আসলে……

– শোন আমি যদি তোরে রাস্তায় ফেলে গুলি করে মেরে ফেলি । তাহলে কি তুই আমার কিছু করতে পারবি?
– না ।
– আমি যদি তোরে মারি তোর মা সারা জীবন কাদবে আর আমারে অভিশাপ দিবে ।
– হু ।
– তো তোরে আমি মারব না । তুই ছাত্র মানুষ পড়া লেখা করিস । তোরে যদি আমি বা আমার কোনো পোলাপান গুলি করে বা রস্তায় গাড়ির তলে ফেলে মেরে ফেলে তোর কি কিছু করার আছে?
– না । আচ্ছা ভাইয়া আমি Sorry । ঠিক আছে । আমি আসি ।
– দাঁরা, শোন এই ধানমণ্ডি এলাকায় কারও ক্ষমতা নাই আমার উপরে কথা বলে । (ভাই আপনি এখানে? শোন, ও ছাত্র মানুষ কখনো ঝামেলা করবি না । ঠিক আছে ভাই । যা ) । ওরা হচ্ছে আমার বাচ্চা-কাচ্চা । শোন ওরাতো মাথা নষ্ট পোলাপান । ওদের মিষ্টি খাওয়াইতে হয় । আর মিষ্টি খেতেতো টাকা লাগে ।
– ভাইয়া বুজলাম না ।
– মিষ্টি খাইতে টাকা লাগে
– হ্যাঁ । কিন্ত আমার কাছে তো টাকা নাই ।
– দেখি? এই দেখেন মানিব্যাগ খালি ।
– এটা কি? কত টাকা আছে কার্ডে?
– না ভাই কার্ডে কোন টাকা নাই । যা ছিল কলেজে দিয়ে দিছি আজ । আজ দিছিস? না দুইদিন আগে, এখন কোন টাকা নাই । আবার বাড়ি থেকে টাকা পাঠাবে তখন টাকা হবে ।
– আচ্ছা । ব্যাগে কি?
– ভাই বই-খাতা ।
– আর কি?
– আর কিছুই নাই?
– সত্যি আর কিছু নাই?
– আছে friend এর একটা Laptop ।
– কি লাপটপ?
– Hp ।
– core কত?
– জানিনা ।
– সত্যি জানিস না?
– সত্যি জানিনা ।
– laptop use করতে জানিস?
– একটু একটু ।
– বের কর ।
– ভাইয়া আপনি বুতেছেন না কেন আমারে ফোন করতেছে । বাসায় যেতে হবে ।
– আমি কি তোর laptop নিতে চাইছি ।
– না ।
– আচ্ছা ভাইয়া আপনার মোবাইল নাম্বারটা আমাকে দিবেন? যদি কখনো কোনো ঝামেলায় পরি আপনারে ফোন দিলাম… হু ফোন নাম্বার তো অবশ্যই দিব ।
– laptop টা বের কর । ভাইয়া এখন না ।
– আপনার ফোন নাম্বার টা দেন । আচ্ছা নে ০১৯xxxxxxx৫ ।
– ধন্যবাদ ।
– যদি কোন সমস্যা হয় ফোন দিবি ।
– জী ভাই । আসি ।
– যা ।



বলেই দ্রুত ওভার ব্রিজ পার হয়ে শুক্রাবাদ বাস স্ট্যান্ড থেকে রিক্সা নিয়ে সোজা রাজা বাজার, যদিও পকেটে একটা টাকাও নাই । কিছু দুর যাই আর পিছে ফিরে দেখি যে সন্দেহমুলক কেও আসে কিনা । কিছু দুর যাওয়ার পরে রিক্সা মামা medicine কিনবে । তাই ঔষধ এর দোকানের সামনে রিক্সা রাখল । আমার মনে হতে লাগলো এও মনে হয় তাদের দলের একজন । কিন্তু না । ঠিকমতো বাসার সামনে এসে পোওছালাম । বাসার নিচে দাড়িয়ে রাব্বি ভাইকে ফোন দিয়ে বললাম ২০ টাকা নিয়ে নিচে আসতে । তারপর রিক্সার টাকা দিয়ে সোজা রুম । ঘটনাটা রুমের সকলের সাথে share করলাম । সবাই একট আকটু হাসলো । কিন্তু আমি জানি যে, আমি কতটা ভয় পেয়েছি ।



এটি ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা । এটি আমি প্রথম আলো ব্লগে প্রকাশ করেছিলাম ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬
৪টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মি. চুপ্পুর পক্ষ নিয়েছে বিএনপি-জামাত; কারণ কী?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৬


বিএনপি গত ১৬ বছর আম্লিগের এগুচ্ছ কেশও ছিড়তে পারেনি অথচ যখন ছাত্ররা গণহত্যাকারীদের হটিয়েছে তখন কেন বিএনপি চু্প্পুর পক্ষ নিচ্ছে? অনেকেই বলছে সাংবিধানিক শুন্যতা সৃষ্টি হবে তার সংগে বিএনপিও... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এতো কাঁদাও কেনো=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৬




আয়না হতে চেয়েছিলে আমার। মেনে নিয়ে কথা, তোমায় আয়না ভেবে বসি, দেখতে চাই তোমাতে আমি আর আমার সুখ দু:খ আনন্দ বেদনা। রোদ্দুরের আলোয় কিংবা রাতের আঁধারে আলোয় আলোকিত মনের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগারেরা প্রেসিডেন্ট চুপ্পুমিয়াকে চান না, কিন্তু বিএনপি কেন চায়?

লিখেছেন সোনাগাজী, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৪



**** এখন থেকে ১৯ মিনিট পরে (বৃহ: রাত ১২'টায় ) আমার সেমিব্যান তুলে নেয়া হবে; সামুটিককে ধন্যবাদ। ****

***** আমাকে সেমিব্যান থেকে "জেনারেল" করা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিকাহের পরিবর্তে আল্লাহর হাদিসও মানা যায় না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪




সূরা: ৪ নিসা, ৮৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৮৭। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নাই। তিনি তোমাদেরকে কেয়ামতের দিন একত্র করবেন, তাতে কোন সন্দেহ নাই। হাদিসে কে আল্লাহ থেকে বেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ্‌ সাহেবের ডায়রি ।। পৃথিবীকে ঠান্ডা করতে ছিটানো হবে ৫০ লাখ টন হীরার গুঁড়ো

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:০২




জলবায়ূ পরিবর্তনের ফলে বেড়েছে তাপমাত্রা। এতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। তাই উত্তপ্ত এই পৃথিবীকে শীতল করার জন্য বায়ুমণ্ডলে ছড়ানো হতে পারে ৫০ লাখ টন হীরার ধূলিকণা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×