আগামী শতাব্দী হবে রোবটের যুগ, তখন ড্রাইভার, বডিগার্ড, পাইলট, কর্পোরেটের গুরুত্বপূর্ণ ও বিরক্তিকর কাজগুলো করবে রোবটেরা, আর মানুষগুলো একটু আরাম আয়েশ করবে। তাই শেষ বয়সে একটু আরাম আয়েশের জন্য আমারও উচিৎ একটা রোবট তৈরি করা, আর আমি সব সময় চাইব আলাদা এমন কিছু করতে যা কেউ করেনি আগে, কিন্তু সেটা যদি বাংলাদেশে করি তাহলে ফলাফল যা হতে পারে,
কল্পনা শুরুঃ ২১১৬ সালের মে মাসের ৩ তারিখ, আদালতের কাঠগড়ায় দাড়িয়ে আছেন বিজ্ঞানী সাহেব, মার্ডার কেস! ঘটনার সাথে তার সংশ্লিষ্টতার প্রমান পাওয়া গেছে তিনি স্বীকারও করেছেন, তবে প্রত্যক্ষভাবে কাজটা তিনি করেননি। একটু পর-ই রায় পড়ে শুনানো হবে, কিন্তু এর আগে কিছু প্রশ্ন করতে চাচ্ছেন বিচারক সাহেব!
জর্জঃ রোবটটি তো আপনারই তৈরি করা?
বিজ্ঞানীঃ হ্যাঁ
জর্জঃ এটা কেন বানিয়েছিলেন?
বিজ্ঞানীঃ জনসাধারণের খেদমত করার জন্য
জর্জঃ খুব মহৎ মানুষ তো আপনি, চিন্তা ভাবনাও অনেক বড়! তা নিরীহ মানুষ খুন করাও কি আপনার মহৎ কাজের অংশ ছিল?
বিজ্ঞানীঃ না না না! আমি ভাবিনি কখনো এরকম ভুল হবে! এর জন্য আমি ভীষণ অনুতপ্ত, এই ঘটনার পেছনে আমার কোন ভুমিকা নেই।
জর্জঃ দেখুন, রোবটের সব কিছুই আপনার তৈরি করা, এর ভালো কর্মের প্রশংসা যেমন আপনার প্রাপ্য তেমনি অপকর্মের দায়ও কিন্তু আপনারই।
বিজ্ঞানীঃ ভুল বলেননি কিন্তু, এই রোবটকে জনগনের ক্ষতি করার কোন অপশন দেয়া হয়নি। সে কিভাবে মানুষ হত্যা করল তা আমি বুঝতে পারছি না!
জর্জঃ জনাব আশিক, আপনার সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই! সব অপরাধী নিজেকে নির্দোষ প্রমানের চেষ্টা করে, আত্মপক্ষ সমর্থনে কি কিছু বলার আছে?
বিজ্ঞানীঃ কি বলব বুঝতে পারছি না!
জর্জঃ আহত ব্যাক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে, এখনো মরেনি, তাই রায় দিতে পারছি না। সুতরাং তার মৃত্যু পর্যন্ত রায় পেন্ডিং রাখা হলো।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
নেক্সট বিচার দিবসেঃ
আহত চান্দুমিয়া আশংকা মুক্ত! তাই বাদী পক্ষ চান্দুমিয়ার আপোষে জনাব আশিককে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ***ধারা মোতাবেক উক্ত মামলা হতে অব্যাহতি দেয়া হলো।
কিন্তু মানবজাতির জন্য হুমকির কারণ হওয়ায় রোবটকে নিষিদ্ধ করা হলো !
ছাড়া পেয়েই, চান্দুমিয়ার সাথে সাক্ষাত! হুইল চেয়ারে বসে আছে বেচারা! প্রথমেই জিজ্ঞেস করলেন " এত মানুষ থাকতে আপনাকে কেন আঘাত করেছিল? চান্দু বলল ভাই! আপনে তো জটিল একটা জিনিস বানাইছেন! "ইশ! ভাগ্য ভালো যে অল্পের জন্য বাইচ্চা গেছি! "আমি কিন্তু আপ্নের বহুত বড় একটা ফ্যান! একটা সেলফি তুলবার পারি? হ্যাঁ অবশ্যই, (হাসিমুখের দুইটা ছবি উঠল! একজনেরটা প্রফেশনাল আর অন্য জনেরটা ইমোশনাল) ধন্যবাদ! আসলে হইছিল কি, ওইদিন রাস্তায় আপ্নের রোবট দেখতাছিলাম, তখনি ওরে নিয়া গবেষণা শুরু কইরা দিলাম নানা ধরণের আজব আজব হেল্প চাইতাছিলাম, প্রথমে কইলাম একটা প্রেমিকা আইন্না দেও, হাত দিয়া একটা মাইয়া দেখাইল! কিন্তু আমার পছন্দ হয় নাইক্কা, এরপর কিছু টেকা চাইলাম, দিলো। একে একে আমার সব চাওয়া পাওয়া পূরণ কইরা দিলো, এমন খুশি হইলাম যে, মুখ দিয়া বাইর হইয়া গেল "কেউ আমারে মাইরালা" বুঝতেই পারিনাইক্কা যে রোবট এইটাও পূরণ কইরা দিবো!