আমাদের বানানো একটা (কার্টুনটাইপ) কল্প কাহিনী, ছোট বেলায় এই গল্পটা অভিনয়ের মাধ্যমে করতাম, একটা চমৎকার খেলা ছিল সেটা! আমাদের সাথে যারা নতুন যোগ দিত তাদেরকেও এরকম এক একটা (অদ্ভুত নামের কার্টুন) চরিত্র দিয়ে গল্পে যুক্ত করে নিতাম! নিজেরা কার্টুন হয়ে একে অন্যের সাথে মেতে উঠতাম কল্পনার সীমাহীন রাজ্যে, যে গল্পের শেষ হতো না কখনো।
কখনো গল্পের শুরুটা হতো এরকম,... এক দুপুরে পুলের উপর দিয়ে যাচ্ছিল তাইবুলি হঠাৎ সে পানিতে পরে গেল এরপর আস্তে আস্তে ডুবে যেতে লাগলো কারণ সে সাতার জানত না, গভীর পানির নীচে একটা গর্তের সামনে পড়ে রইল সে, ঐ গর্তে বাস করতো কাকাউয়া, অচেতন তাইবুলি কে দেখে খুব মায়া হলো তার, সে তাইবুলিকে ভেতরের একুরিয়ামের মধ্যে রেখে দিলো, মানুষেরা যেমন একুরিয়ামের মধ্যে মাছ পুষে ঠিক তেমনি কাকাউয়ার একটা সৌখিন একুরিয়াম আছে যেটা ডাঙ্গার প্রাণীদের বসবাসের উপযোগী। জ্ঞান ফিরলো তাইবুলির, তারপর আস্তে আস্তে চোখ খুলল তাইবুলি, সে তো অবাক! আরে আমি কি স্বপ্ন দেখছি নাকি এটা পরকাল! হঠাৎ কাকাউয়াকে দেখে সে চমকে গেলো, ভয় পেয়ে বলে উঠলো! কে তুমি? আমি তো মরে গেছি তাই না? কাকাউয়াঃ না বন্ধু তুমি মর নাই, আমি কাকাউয়া, তোমার নাম কি? তাইবুলিঃ আমি তাইবুলি,, অপলক দৃষ্টিতে কাকাউয়ার দিয়ে তাকিয়ে দেখছে "সুন্দর হাসি হাসি একটা মুখ, মারবেলের মত চকচকে দুটি চোখ যে চোখে কষ্টের কোন ছাপ নেই, হিংস্রতার ছায়া নেই, দেখে মনে হচ্ছে কত কালের চেনা! তাইবুলি বললঃ কিন্তু আমি তো ডুবে গিয়েছিলাম, এখন আমি কোথায়? কাকাউয়াঃ কোন চিন্তা নাই বন্ধু তুমি এখন আমার বাড়ীতে আছ, এভাবে অনেক গল্প হলো, বল এখন তুমি কি খাইবা? কাকাউয়া অনেক মজার মজার খাবার তৈরি করল, এরপর দুজনে মিলে খেলো, ঘুরে ঘুরে দেখল পানির নীচের অদ্ভুত জগত, তাইবুলির মনে হচ্ছে সে এখন স্বর্গে আছে, এভাবে অনেকদিন কেটে গেলো, কাকাউয়াও অনেক খুশি নতুন বন্ধু পেয়ে, কিন্তু তাইবুলিকে তো চলে যেতে হবে, সে এখানে বেশিদিন থাকতে পারবে না! মা বাবা নিশ্চয়ই খুব চিন্তায় আছে! কাকাউয়া বিষয়টা বুঝতে পারলো, এরপর শুভ কামনা জানিয়ে বন্ধুকে পানির ওপরে দিয়ে আসলো।
ছোটবেলায় কত অদ্ভুত অদ্ভুত ভাবনা ছিল যা ভাবলে এখনো হাসি পায়।