দুইদিন আগে মিরাজ ভাইকে দেখলাম বিকেলে বাড়ির ফাঁকা যায়গাটা চষে বেড়াচ্ছেন। দেখেও কিছু বললাম না। ভাবলাম করুক তার কাজ। আবার কিছুক্ষণ পর বের হয়ে দেখি উনি তখনও হাঁসফাঁস করছেন। ব্যাপারটা ঘোলাটে মনে হওয়ার কারনে উনাকে জিজ্ঞেস করলাম
'হীরা খুজেঁন নাকি ভাই'
উনি আমার কথায় কর্নপাত না করে উনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। অপমানিত বোধের উশঠায় ক্ষতবিক্ষত হলাম মিরাজ ভাইয়ের আচরণে। আবার ঠোকা দিলাম
'এই ঝিনুক হবে ঝিনুক'
এবার উনি আমার দিকে তাকিয়ে মুখ ব্যাকা ভঙ্গিতে বললেন
'শালার একটা পিঁপড়াও নাই'
'পিঁপড়া?'
'এত্তক্ষন খুঁইজা কোন নাদুশনুদুশ পিঁপড়া পেলাম না'
'পিঁপড়া দিয়ে কি করবেন'
'একটু টেস্ট করতাম'
'কিসের টেস্ট'
'ডায়াবেটিস'
'পিঁপড়া দিয়ে টেস্ট করবেন'
'হু হু .. পিঁপড়া তো চিনির পাগল'
:'ডাক্তার কি মইরা গেছে নাকি ভাই'
'আরে বিশ্বাস নাই .. রিপোর্ট ভূয়া দেয়'
'পিঁপড়ার উপ্রে বিশ্বাস করতাছেন'
'হু .. তবে নাদুশনুদুশ পিঁপড়া চাই .. পাশে আইসা যেন গন্ধে অজ্ঞান হইয়া না যায়'
'পিঁপড়া যদি বেঈমানী করে'
'করবো না'
'তাইলে একটা বুদ্ধি দেই ভাই .. নিবেন?'
'কি বুদ্ধি'
'হিসু কইরা রাইখা যান .. ডায়বেটিস থাকলে পিঁপড়া এমনেই চইলা আসবো চিনির গন্ধে .. সকালে আইসা চেক কইরা গেলেই হইবো'
'বুদ্ধি টা খারাপ না .. তাই করি .. কস্ট করে পিঁপড়া খুজেঁ কাজ নাই .. পিঁপড়াই খুজেঁ নিবে'
'এইত্তো লাইনে আইছেন'
'কিছু বললা'
'না ভাই কিছুনা .. করেন হিসু .. আমি গেলাম'
বুদ্ধি দেয়ার পর দূর থেকে দাঁড়িয়ে হিসু করার যায়গাটা দেখে গেলাম। আর রাতে এসে সেই যায়গায় কিছু চিনি ঢেলে দিয়ে গেলাম
কালকে সকালে ভোরে মিরাজ ভাই অফিসে যাওয়ার আগে আমাকে একটু নরম কন্ঠে ডাক দিলেন
'কি হইছে ভাই'
'পিঁপড়া তো অনেক'
'কিসের পিঁপড়া'
'ডায়াবেটিসের'
'ও আচ্ছা .. তাইলে তো হইছেই .. গেছেন'
'নাহ .. আজকেই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে'
'কি দরকার ভাই .. ডাক্তার খারাপ .. ভূয়া রিপোর্'
'তবুও'
'আরেকটা বুদ্ধি দেই .. নিবেন?'
'আবার .. দাও শুনি'
'ডাক্তার পিঁপড়া মিপড়া বাদ দিয়া নিজের টা নিজেই টেস্ট করেন .. মুখে দিয়া দেখেন মিস্টি না তিতা .. তাইলেই আর ঠকার সম্ভাবনা থাকবো না .. টাকাও বাইচ্চা গেল .. টেস্ট ও হইলো .. কি বলেন?'
উনি আর আমাকে কিছু বললেন না .. হনহন করে রুম থেকে বের হয়ে গেলেন