শুনছো
প্রতিটা অন্ধকারেই তুমি ঘুমিয়ে থাকো,
তোমাকে আলো হাতড়ানো অস্থীরতায় থাকতে হয়না।
ঝি ঝি পোকার অপেরার সাথে নৈঃশব্দের চিৎকার,
তোমাকে শুনতে হয়না কখনও।
তোমার ঐপাশটাতে বেশি আলো।
চোখ জলে যায়, অন্ধকার দেখি।
অন্ধকার এর ভেতর থেকে তুমি ডাকো, "শুনছো!"
সেই ডাক আমি শুনতে পাই,
আর, একটা হলুদ পাতার মত শব্দহীন পড়তে থাকি।
সবচেয়ে ছোট বষন্তের মত ঘিরে রেখেছ।
অদ্ভুত রঙ গোলানো ডেকে যাও, "শুনছো!"
আমি রং এ ভেসে যাই আদিগন্ত।
শিমুলের ফুলের মত ধুলো মাখতে থাকি।
অথচ তুমি নিকোটিনের মত-
নিউরন নাড়িয়ে দিব্যি বসে থাকো।
ঠোটে, গলায়, গালে নয়,
মাথার ভেতরে চুমু দিয়ে যাও।
এরপর অস্ফুট করে ডাকো, "শুনছো!"
একটা তারা নিভে গেলে-
ডুবে গেলে রাত, আরেকটা হাত,
ছুয়ে যাবে কপালে।
একটা তারার খোজে একটা তারা,
নিভে যাবে সকালে।
ডানায় রোদের গন্ধ বেচে দেবে চিল।
সিথি বেয়ে হেটে যাবে সিদুর মিছিল।
সারাটি রাত্রি সারাটি জ্যোৎস্নায়-
জোনাকির বাতি হয়ে পাতা ভরে সাতরায়।
একটা তারা নিভে গেলে-
মেঘ গুলো সব ধোয়া হবে।
নিল গুলো সব ছাই নিকোটিন।
ধূসর এ্যলবাট্রস এর মত হাই তুলে চেয়ে-
বনলতা ঘুমিয়ে যাবে বেডরুমে যেয়ে।
সারাটি রাত্রি সারাটি রাস্তায়-
খেয়ে ফেলা সিগারেটে নিকোটিন হাতড়ায়।
অথবা-
ডুবে গেলে রাত, আরেকটা হাত,
ছোবেনা আর কপালে।
ছবিঃ ডিজিটাল পেইন্টিং (আমার করা)
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২০