রক্তাক্ত নিথর দেহ। হাফেজ মাসুদুর রহমান। ছবিটা দেখতেই বিদ্যুৎ চমকালো যেন ধমণীতে। বাচ্চা ছেলে। সরল মুখায়াব। ভেসে উঠল চোখের তারায় আমার ছোট্ট ভাইটির সরল মুখটা। হাবাগোবা গোছের বলে প্রায়ই ধমকে বেড়াই যাকে। কিন্তু মনের গহীনটা যার জন্য সর্বদা পূর্ণ থাকে ভালবাসায়। মুখ ফুটে না বলা ভালবাসা। অহর্নিশি স্বপ্ন বুনে যাই যাকে ঘিরে। দ্বীনের খিদমাতে আমি যা পারিনি ভাইটা আমার তা করে দেখাবে ইনশাআল্লাহ। ভাইটা আমার ইলমে কাশ্মিরী, সংগ্রামে মাদানী আর তাসাওউফে থানবীর নজীর হবে। স্বপ্ন বুনে চলে ভাইয়েরা। নিরন্তর।
তেমনি মুখায়বের এক ভাই আমার মাসুদুর রহমান। রক্ত পিপাসু তোমরা ভাইটিকে আমার বুকে ফিরে আসতে দিলে না। খুন করেছো হিংস্র বুলেটের আঁচরে। নির্মমভাবে।
কসম আল্লাহর! আমার আল্লাহর আদালতে মুকাদ্দিমা দায়ের করে দিলাম। হাশরের ময়দানে আমার রক্তস্নাত ভাইটির প্রতিটি রক্ত কণিকা ঝড়ার জবাব না দিয়ে এক পাও নড়তে পারবে না হে খুনী রক্তখেকোরা!
#দুঃখিত মাসুদ, তোমার রক্তের বদলা কেউ দিতেও পারবে না নিতেও পারবেনা । তোমার শাহাদাত আজ আমায় স্বরণ করে দিয়েছে 2001 সালে শাহাদাত বরণকারী 6 শহীদদের কথা । তারাও তোমার মত আল্লাহর দ্বীনকে এদেশে প্রতিস্ঠা করার জন্য রক্ত দিয়ে ছিল ।আফসোস, 6 শহীদের রক্তের সিঁড়ি বেয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিএনপি । কিন্তু 6শহীদের জন্য কিছুই করেনি বিএনপি, শুধু প্রতারনা ছাড়া । হে আমার স্নেহের প্রিয় মাসুদ , হয়তো তোমার রক্তের বদলা নিতে পারবোনা । তবে নিজেকে ধিক্কার জানাই তোমার মতো শহীদের রক্তের বদলা নিতে না পেরে । ক্ষমা কর আমায়,প্লিজ দুঃখিত.......।
শুধু বি এন পি কেন ভাইজান? সাথে ছিলেন আমাদের রাজপথ কাপানো ইসলানিষ্টগন।কই কিছুইতো বলতে শুনিনি আমাদের সেই ৬ হাফেজে কোরান আর ২ আম শহীদের ব্যাপারে! হায় আপসোস কাকে রেখে কাকে বলি! যাদেরকে জেল হতে বের করতে পুলিশ আর আর্মির ডান্ডার বাড়ি আমাদের খেতে হয়েছিল
দারুল আমানের শাসকগোষ্ঠি কিন্তু বাইডিফল্ট কাফির। কারণ, মুসলিম শাসকগোষ্ঠি তো বাইডিফল্ট শরীয়াহ দিয়ে শাসন করবে, তাদের পরিচালিত দেশ তো হবে দারুল ইসলাম। তাই বাংলাদেশ সহ এই রকম অন্যান্য মুসলিম সংখ্যগরিষ্ঠ দেশগুলোকে দারুল আমান বলা হচ্ছে এদের শাসকগোষ্ঠিদের তাকফির করারই নামান্তর, অথবা তাদের মুরতাদ বলে সাক্ষ্য দেয়া।
.
কিন্তু যারা বাংলাদেশের মত দেশগুলোকে দারুল আমান বললেও, এদের শাসকগোষ্ঠিদের তাকফির করে না, এবং যারা তাকফির করে তাদের বিরোধিতা করে, তারা আসলে নিজেদের দ্বিমুখী নীতিই প্রকাশ করছে।
সরেজমিন তদন্ত রিপোর্টঃ-
------------------------
সারাদিন বি-বাড়ীয়া ঘুরার পর
মোটামোটি যে বিষয়গুলো
নিশ্চিত করা গেল,
* ঘটনার সূত্রপাত মোবাইল কেনা
বা ভাড়া নিয়ে কথা কাটা-কাটি
থেকে নয়। মূল কথা হল,
নাসীরনগরে বন্ধ করে দেওয়া দুটি
মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার দাবিতে
কয়েকদিন যাবৎ আন্দোলন করে
আসছে ইউনূসিয়ার নেতৃত্বে
ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। মিটিং-
মিছিলে অগ্রনী ভূমিকা রাখায়
ছাত্র-যুবলীগ ক্যাডারদের নজরে
পড়ে গিয়েছিল জামিয়ার দাওরা
পড়ুয়া-ছাত্র নেতা মুশাররফ।
সোমবার বিকেলে কান্দিপাড়া-
কাউতলী রোডে (জামিয়া থেকে
প্রায় দু-আড়াইশ গজ দূরে) তাকে
পেয়ে বিজয় টেলিকমের
দোকানদার রনি (লীগ নেতার
ছেলে) কয়েকজন সাথীসহ তার
উপর হামলে পড়লে মাদ্রাসায়
এসে শতাধিক ছাত্রসমেত তাদের
ইটের জবাব পাটকেল দিয়ে দিয়ে
আসে সে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে
এম পি মুক্তাদিরের পরোক্ষ ও
কুখ্যাত সন্ত্রাসী মাহমুদের
প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় সন্ধার পর
শুরু হয় মাদ্রাসায় আক্রমন।
* গুলি করে তিনতলা থেকে লাথি
মেরে ফেলে দেওয়ার পর ফের
লাঠি-চার্জ! ঘণ্টাখানিক রাস্তায়
পড়ে থাকার পর মৃতপ্রায় অবস্থায়
সদরে নিলে চিকিৎসাহীন
অবস্থায় ফেলে রাখা হয় আরো
ঘণ্টা-দুয়েক। সব মিলিয়ে বেচে
থাকার ক্ষীণ সম্ভাবনাটুকুও শেষ
হয়ে যায় শহীদ মাসউদের (রা)।
* সহপাঠী ফয়জুল্লাহ বলেছিল,
'পুরো শহরে আ-লীগের কোন
পোষ্টার,ব্যানার বা সাইনবোর্ড
দেখাতে পারলে আমায় পুরস্কৃত
করবে'। সারাদিন খুঁজেও
পুরস্কারটা পেলাম না!
* চাপে পড়ে সমঝোতা করার
প্রাক্কালে করা মুক্তাদিরের
অনুরোধ রক্ষায় 'মরিয়া ভাগ'
ছাত্রদের তালাবদ্ধ রেখে তবে
মিটিংয়ের ব্যবস্থা।
* সমঝোতার পর আশ না মেটার
পরিতাপে পুড়ছে বি-বাড়ীয়াবাসী
! রাস্তা-ঘাট, গাড়ি-ঘোড়া বা
হোটেল-রেস্তোরা। সর্বত্র এক'ই
রব।
* আমার এক হিতৈষী আত্মীয় সদর
হাসপাতালের বেশ উঁচু পর্যায়ের
কর্মকর্তা। শহীদের লাশ তদন্তেরও
অংশ ছিলেন তিনি। মাসউদ হত্যায়
উল্টো হুজুরদের বিরুদ্ধে মামলার
আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি!
একাধিক গুলির চিহ্ন থাকলেও
ময়না তদন্ত রিপোর্টে গুলির
বিষয়টি উল্লেখ করতে না দেওয়া।
লাশ দিতে না চাওয়া, ময়না
তদন্তের রিপোর্ট হস্তান্তরে
আপত্তিসহ আরো অনেক প্রনাণও
পেশ করেন তিনি নিজের কথার
স্ব-পক্ষে। 'বন্ধু-বান্ধবদের বইল
সামলে চলতে, যে কোন সময়
গ্রেফতার শুরু হবে' একান্তে ডেকে
বলা কথাটা কেন যেন উড়িয়ে
দিতে পারছি না!
সুত্র ঃ ফেসবুকের ভিবিন্ন স্ট্যাটাস আর কমেন্ট ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৮