বাপজানরে ফোন দিলে কিছুপর বাড়ি আসলে তিন জন বাদে মেহমানদের সবাইকে কিছু দুরে চাচা ফুপুর বাসায় পৌঁছিয়ে দিলাম। তারা শুধু রাত্রি যাপন করবে। আব্বার কাছে জানতে চাইলাম কেমন আত্মীয়? উত্তর যা পেলাম তা এক কথায় বলা যায় " সইয়ের বউ এর বকুল ফুলের বোনপো বোনের বোনঝি জামাই" অর্থাৎ বিশাল দুর দিয়ে ঘুরে আত্মীয়।
রাতটা একটা বিভীষিকার মধ্যে দিয়ে পার হলো । পরেরদিন সকাল বেলা পাশের বাড়ির এক খালাকে ডেকে আনলাম নাস্তা বানিয়ে নেয়ার জন্য। খালা রুটি বানান, যত পারেন বানান। মেহমানরা কিছু পর বিদায় নিলো।
কটা রুটি বানানো হয়েছিলো সেটা আর গনা হয়নি তবে পরদিন খালারে কামে ডাকতে যেয়ে আর পায়নি ।
২
এক বন্ধুর বাড়িতে গেছিলাম তিন বন্ধু মিলে দাওয়াত খেতে। সেখানে এক বন্ধুর (মেসবাহ) সাথে কথায় কথায় খাওয়া নিয়ে বাজি ধরা হয়ে গেল। সে বলে আমরা তিন জনে যা খাবো সে একায় ঐ খাবার খাবে।বাজিতে হারলে ১৫০০ টাকা। সবার হয়ে আমি একায় বাজি ধরলাম। আমি খেলাম তিন প্লেট বিরিয়ানি আর বাকি দুইজন দুই প্লেট করে। বাকি দুই জনের খাওয়া দেখে কিছুটা মর্মাহত হলাম । তারা দুজনই আমার থেকে অনেক ভালো খানেওয়ালা। গত রাতে তারা যেন কি খেয়েছিলো তাই দুজনার পেটেই নাকি কেমন ভুটভাট শব্দ করছে তাই তারা বেশি খেতে পারলোনা ।
তারপরেও বাজির টাকা জিতার ব্যাপারে আমি নিশ্চিত ছিলাম। কিন্তু পারিনি। ১৫০০ টাকা পকেট থেকে গুনে দিয়ে দিতে হলো। সেদিন বুঝেছিলাম অভাবের দিনে অভাবি মানুষের কাছে ১৫০০ টাকার মূল্য কতখানি কারন ঐটা আমার হাত খরচের টাকা ছিলো ।
শেষ কথা: অনেক দিন পর জানতে পারি আমার সাথে চরম রকমের মির্জাফরি করা হয়েছিলো সেদিন । তিনজনের সম্মিলিত ষড়যন্ত্রে আমাকে বাজিতে হারতে বাধ্য করা হয়েছিলো ।
আমি অনেক মানুষকে দেখেছি যাদের শরীর অনেক পাতলা কিন্তু খায় প্রচুর, আমাদের মেসবাহ ছিলো সেই প্রকৃতির একজন।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:১৯