সেখন থেকে দুইটি ও আমার নিজের জীবনের দুটি ঘটনা তুলে ধরলাম।
পান্জাব মেইল

পাকিস্তান আমলের দ্রুত গতির এক ট্রেনের নাম পান্জাব মেইল।
ক্লাসে শিক্ষক পড়াচ্ছেন। তিনি খুব দ্রুত পড়াচ্ছিলেন। ক্লাসে একজন খুব স্মার্ট ছেলে ছিলো, পড়া বুঝতে না পেরে সে বলে উঠলো,
সার, আই ক্যান নট ফলো ইওর পান্জাব মেইল।
সার ছিলেন সেই ছাত্রের থেকেও স্মার্ট। তিনি সাথে সাথে উত্তর দিলেন-
পান্জাব মেইল ডাজ নট ওয়েট ফর দা থার্ড ক্লাশ প্যাসেন্জার।

BARRIER OF WRITTEN COMMUNICATION

বিজনেস কমিউনিকেশন ক্লাসে লিখিত যোযাযোগের অসুবিধা সম্পর্কে পড়াতে গিয়ে স্যার গল্পটি বলেছিলেন-
একবার এক পোষ্ট অফিস এর সামনে হঠাৎ এক বাঘ দেখা গেল।





তিন মাস পর চিঠির উত্তর এলো, তাতে লিখা ছিল-
ফায়ার অ্যাট অনস!!!!!!!!



এবার নিজের জীবনের দুটি (প্রায়) রসাত্বক ও কিছুটা বিব্রতকর ঘটনা বলি।
১
ক্লাস সেভেন এইট এ পড়ি তখন। বাসা থেকে বের হয়েছি এক জাগার উদ্দেশ্য। রিকশা নিলাম। এমন সময় আমার এক দুর সম্পর্কের চাচা আমাকে দেখতে পেয়ে জানতে চাইলেন কোথায় যাব। তারপর উনিও আমার সাথে রিকসায় উঠলেন। আমি যতটা সম্ভব গুটিসুটি মেরে বসে আছি। চাচা ছিলেন প্রচন্ড রাগি, যমের মত ভয় করতাম উনাকে।





হঠাৎ মনে পড়ল সেই চাচার আপন ছোট ভাই "সাহাব" চাচা যিনি সেই সময় এক মসজিদে ইমামতি করতেন তার কথা। আমি বললাম চাচা- সাহাব চাচা বলেছেন ডান হাতে ঘড়ি পরতে। ডান হাতে ঘড়ি পরা নাকি সুন্নাত।



উনি কয়েক সেকেন্ড আমার দিকে কড়া চোখে তাকিয়ে থাকার পর চিল্লিয়ে বলে উঠলেন- এক থাপ্পড় মারব হারামজাদা। তখন ঘড়ি আবিস্কার হয়েছিলো রে। আমি বললাম আমাকে বকেন ক্যান, সাহাব চাচা বলেছে তাই হাতে দিয়েছি। উনি ছোট ভায়ের ব্যাপারে কি সব গজগজ করতে থাকলেন। আমিও মুখ নিচু করে বসে থাকলাম। :!> :!> :!>
২
জুম্মার নামাজ পড়তে গেছি। সেদিন কি মনে করে আব্বার একটা শার্ট গায়ে দিয়ে মসজিদ গেলাম। জামাত শুরু হলো। রুকুতে যখন গেলাম হঠাৎ লক্ষ করলাম শার্টের পকেট থেকে একটা সিগারেট ঠুস করে নিচে পড়ল।








