লিখেছেন অকবি
(যেহেতু আসামির লেখা তাই এই কবিতার জন্য প্রকাশক /কেউ দায়ী নয়)
ভীষণ ক্ষুধার্ত আছি : পকেটে, ব্যাংকের একাউন্টে বসের কাছে।
শুধু টাকা চাই - প্রতিপলে প্রতি কেসে - সর্বগ্রাসী টাকার ক্ষুধা।
ঘুষছাড়া- যেমন বসের মুখের হাসি মিলিয়ে যায়, বদলি হয় খারাপ জায়গায়
এসি লাগানো অফিসে দাবানলের উষ্ণতা, তেমনি টাকার ক্ষুধার জ্বালা, জ্বলে মনে, অফিসে।
দু’বেলা মুঠোভরা টাকা পেলে মোটে নেই অন্য কোনো দাবি,
অনেকে অনেক কিছু চেয়ে নিচ্ছে, সকলেই চায় :
চাঁদা,বেগম পাড়ায় বাড়ি, গাড়ি, পরিমনির মত নারী - কারুবা খ্যাতির লোভ আছে;
আমার সামান্য দাবি : টাকার অভাবে জীবন পুড়ে যাচ্ছে। অফিসের উপরের মহল থেকে অলিখিত মাসিক জমার নিয়ম।
পকেটের উদরে টাকা চাই - এই চাওয়া সরাসরি - নগদ বা উপহার, টাকা বা ডলার সোনার বার, গাড়ি বা বাড়ির চাবি হলেও
কোনো ক্ষতি নেই - পকেটের পেট ভর্তি টাকা চাই;
দু’বেলা মুঠো’মুঠো পেলে ছেড়ে দেবো খুনের আসামি।
অযৌক্তিক লোভ নেই, এমনকি, নেই যৌনক্ষুধা -
চাইনি তো : নাভিনিনিম্নে-পরা শাড়ি, শাড়ির মালিক;
যে চায় সে নিয়ে যাক - যাকে ইচ্ছে তাকে দিয়ে দাও -
জেনে রাখো : আমার ও-সবে কোনো প্রয়োজন নেই।
যদি না মেটাতে পারো আমার টাকার দাবি,
তোমার সমস্ত জীবনে দক্ষযজ্ঞ কাণ্ড ঘ’টে যাবে;
ঘুষখোরের কাছে নেই ইষ্টানিষ্ট, আইন-কানুন -
সম্মুখে যাকে পাবো অনিষ্ট করে যাবো অবলীলাক্রমে;
থাকবে না কিছু বাকি - চ’লে যাবে জেলে কিংবা ক্রসে
যদিবা দৈবাৎ উপরের,কাউকে ধরো, পেয়ে যাই ছাড়ানোর টেলিফোন-
আত্মহত্যা র নাটক সাজিয়ে শেষ করে দেব।অথবা গুমের তালিকায় উঠবে তোমার নাম।খবরের উপাদেয় উপচার হবে।
নামটাই।শুধু থাকবে মানব বন্ধনে, বা প্রেসক্লাবে, টাকা না দিলে বা সামান্য মুক্তির চেষ্টা
ভয়াবহ পরিণতি নিয়ে আসে নিমন্ত্রণ ক’রে।
দৃশ্য থেকে অদৃস্টের হাতে, স্রষ্টার কাছে ফিরে যাবে অবলীলায়।
অবশেষে যথাক্রমে তোমার নামে দেব আত্মগপনের মামলা, কর্তব্য কাজে বাধা, অথবা পালানোর চেষ্টা বা তোমাকে ছাড়িয়ে নিতে গোলাগুলি: সন্ত্রাসী, জঙ্গি, পুরাতন মামলা, অথবা দুই গ্রূপে র গোলাগুলির মাঝে তুমি। আহা কি নিদারুণ পরিণতি,
আমার কলমের কাছে কিছুই আটকায় না।
টাকা দে হারামজাদা, তা-না হ’লে মানচিত্র থেকে তোর নাম মুছে দেবো ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২০