একটি কাল্পনিক গল্প বা স্যাটায়ার (বাস্তবের কোনো ব্যক্তির বা ঘটনার সাথে এই গল্পের কোনো সম্পর্ক নেই)
গল্পের নাম; মির মিরন
সকাল বেলা শেষ আলো নামের পত্রিকা পড়তেই করোনা বিষয়ক মন্ত্রীর মন মেজাজ খারাপ হয়ে গেছে।হারামজাদা রা লিখেছে মন্ত্রীর শালা , ভাগ্নে টেন্ডার ও কেনাকাটার দুর্নীতির সাথে জড়িত।এই সব দৈনিক কেমনে চালু থাকে তাঁর মাথায় ধরেনা।এদের একটা শিক্ষা দিতে হবে। তিনি লাল টেলিফোনে ফোন দিলেন তথ্য মন্ত্রীকে।
করোনা মন্ত্রী বললেন ভাই ভালো আছেন?
তথ্য মন্ত্রী বললেন : জি ভাই,কিন্তূ বিরোধী দলের মিথ্যা কথায় জ্বালার মধ্যে আছি।দেখেন না দুইদিন পরপর আন্দোলনের হুমকি প্রেসকোনফারেন্স | এই প্রেস ট্রেস আর ফেসবুকের জ্বালায় অস্থির আছি | বিরোধী দলের কাজ সংবাদসম্মেলন করা, দেখবেন তাদের কর্মসূচিতে দলের নেতা কর্মীর চেয়ে সাংবাদিকের সংখ্যা বেশি।
করোনা বিষয়ক মন্ত্রী কথাটাকে লুফে নিলেন। মোক্ষম চান্স মিস করলেন না বললেন :
জি ভাই ওই যে শেষ আলো পত্রিকার হারামজাদারা তো ভাই শুধু সরকারের উন্নয়নের বিরুদ্ধে নেগেটিভ নিউজ করে, কাউকে দিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে সাইজ করে দেন না ভাই!
তথ্য মন্ত্রী উনার কথায় কোনো উৎসাহ দেখালেন না বললেন, আর বলবেন না ভাই ,রাঘব বোয়ালের সাথে কত চুনপুঠি সাবাদিককে খুশি রাখতে সুযোগ সুবিধা ,প্লট, আর ফ্ল্যাট দিলাম তারাই সুযোগ পেলেই লিখবে সরকারের বিরুদ্ধে।এরা হচ্ছে মির মিরনের লোক বুঝলেন ভাই মির মিরন।
করোনা মন্ত্রী মির মিরন নামটা কার মনে করার চেষ্টা করলেন। বিরোধী দল বা স্বাধীনতার পক্ষে বিপক্ষে কারো এই নাম আছে বলে তো তিনি মনে করতে পারছেন না। তথ্য মন্ত্রী তার এই সমসসার সমাধান করে দিলেন। তিনি বলেই চললেন : “মির মিরন হচ্ছে মীরজাফরের ছেলে।তার নির্দেশেই মোহাম্মদী বেগ নবাব সিরাজুদৌলাকে নির্মম ভাবে খুন করেছিলো। সবাই জানে মীরজাফর বেঈমান কিন্তূ সিরাজউদ্দৌলাকে খুনের হুকুম দাতাকে কেউ মনে রাখে নাই।“
করোনা মন্ত্রী বুঝলেন শেষ আলো পত্রিকার বিরুদ্ধে তার প্রস্তাবে তথ্য মন্ত্রী সাড়া দেবেন না।অথচ গতমাসেই তার মন্ত্রণালয়ের অধীনে লোক নিয়োগের সময় তথ্য মন্ত্রীর অনুরোধে দুইজন অপদার্থ লোককে চাকুরী দিয়েছিলেন।
তখন কত গদ গদ কথা : “ ভাই শুধু যে কোনো পত্রিকার নাম বলবেন একদম ডিকলিয়ারেশন বাতিল করে দেব।“, আর এখন নাম বলার পরেও ব্যাবস্থা না নিয়ে তাকে ইতিহাসের জ্ঞান দিচ্ছে।একমাঘে শীত যায় না, এইবার নিয়োগের সময় দেখবে তোমার ক্যান্ডিডেট এর নাম লিস্টের তলায়।রিটেনে খারাপ করলে তো আর নিয়োগ দেয়া যায় না। মির মিরণের ইতিহাস না, বাস্তবে দেখবে এই যুগের মীর মিরনের খেলা কাহাকে বলে কত প্রকার ও কি কি। কুদ্দুস বয়াতির গানটা তার মনে।পড়ে গেল, এই দিন দিন না আরও দিন আছে এই দিনের লইয়া যামু সেইদিনের ও কাছে।
তথ্য মন্ত্রীকে থামিয়ে দিতে করোনা বিষয়ক মন্ত্রী একটা নির্জলা মিথ্যা কথা বললেন,বললেন : ভাই আপনার লাইনটা কাটতে হচ্ছে, কারন প্রধানমন্ত্রীর পি এস ফোন করেছেন সামনে বড় একটা নিয়োগ হবে মনে হয় সেটার বেপারে।
সাথে সাথে তথ্য মন্ত্রীর সুর পাল্টে গেল, কাতর সুরে বললেন ভাই আমার চারজন নিকটাত্মীয় আছে, তাদের--------
করোনামন্ত্রী তার কথা শেষ না করতে দিয়েই ফোনের লাইনটা কেটে দিলেন,,,,
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৯