পুরুষ নির্যাতন ও সংসারের ঝামেলায় কি করবেন ?
একটি বেসরকারি পরিসংখ্যানে ভয়ঙ্কর এক সত্য বের হয়ে এসেছে সেটা হলো একশোজনের মধ্যে সত্তর জন পুরুষ মানুষ তাদের বৌয়ের দ্বারা নির্যাতিত বা অত্যাচারিত। বাংলা দেশে নারীনির্যাতন আইন আছে প্রয়োগ ও আছে কিন্তু পুরুষ নির্যাতন আইনের তেমন উল্লেখ বা প্রয়োগ নেই । মানসম্মানের ভয়ে অনেকেই এবেপারে মুখ খুলতে চান না । নারীদের মানসিক অত্যাচারের অন্যতম হাতিয়ার হিসাবে পুরুষের যৌন অক্ষমতা কে দায়ী করে ফলে পুরুষ তখন অসহায় হিসেবে লজ্জায় কাউকে কিছু বলতে চায় না । সন্তানদের নিয়ে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল , মা বা বৃদ্ধা পিতার প্রতি বৌ এর অবহেলায় পুরুষের মনে কষ্ট দেয়, কিন্তু পরিবেশ ও পরিস্থিতি র কারণে অনেকেই সেটা বন্ধ করতে পারেন না , করতে গেলে সংসার টিকবে না এইভয়ে। ফেসবুক এসে মেয়েদের বন্ধু খোঁজার সুযোগ করে দিয়েছে বেড়েছে পরকীয়ার সংখ্যা । কিছু পুরুষ ও নারী আবেগের কারণে এই ফাঁদে পা দিয়ে একুল অকুল দুকূল হারাচ্ছেন ।
মেয়েদের প্রতিও যে সব পুরুষ ভালো আচরণ করেন সেটা কিন্তু না । অনেকেই ঘরের বিয়া করা বৌ এর চেয়ে অন্য মেয়েদের প্রতি বেশি ঝুকে পড়েন ফলে অশান্তি বাড়ে বৈ কমে না। অনেক মেয়েই প্রেমের অভিনয় করে আর্থিক লাভ করে যেটা পত্রিকাতে আমরা প্রায়ই দেখি ।
তাহলে এই সমস্যার কি পরিত্রান নেই ? আসলে আমাদের যৌথ পরিবারের সংস্কৃতিতে কিছু সমস্যা চাইলেই সমাধান করা যায় না । এইসমস্ত ক্ষেত্রে যদি সমস্যা একদমই সমাধান এর মত না হয় সেক্ষেত্রে বিষয়টি নিয়ে আইনি পরামর্শ নেয়া উচিত । কোনো অবস্থায় মারধর বা রাগের মাথায় তালাক দেয়ার মত সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবে না । উভয়ের মধ্যে আলোচনা করে সমাধান বের করতে পারলে সবচেয়ে ভালো কারণ আইন ও প্রশাসন সাধারণত নারীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে থাকে আর আপনি বৌ এর দোষ মনে করে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নিলে যেমন মারধর বা তালাক দিলে আপনার শাস্তি জেল জরিমানা পর্যন্ত গড়াতে পারে । সন্তানের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হওয়ার জন্য মা বাবার বিচ্ছেদ গভীর প্রভাব ফেলে তাই সন্তানের দিকে তাকিয়ে ও তাদের কথা বিবেচনা করে যতটুকু সম্ভব সংঘাত এড়িয়ে চলায় হবে বুদ্ধিমানের কাজ । এমনকি তাদের সামনে চেষ্টা করবেন ঝগড়া বা তর্ক এড়িয়ে চলতে। আর বৌ থাকতে পরনারীতে সুখ খোঁজা মানেই আপনি নিজের নিশ্চিত বিপদ ডেকে আনছেন ।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৫