আমি শয়তান জি ভাই আপনি ঠিক ই ধরেছেন ইবলিশ শয়তান বাধ্য হয়েই আজ আমাকে সামুতে লিখতে হচ্ছে কারণ এর পরে আর আমি বাংলাদেশ এ থাকবো না । থাকবোই বা কিভাবে এখানে থাকা র আর কোনো পরিবেশ নেই এখানে আমার কাজ করার পরিবেশ শুধু নষ্ট হয়েছে তাই না আমার চরিত্র ও খারাপ হয়ে যাচ্ছে ।
আপনি হয়তো বলবেন শয়তানের আবার চরিত্র কি ? তাহলে শুনুন আমি কিন্তু প্রথমে শয়তান ছিলাম না আমি ছিলাম আল্লার সবচেয়ে অনুগত জীন ও ফিরিশতা , পবিত্র কুরআনে আমার কথা এগারোবার উল্লেখ আছে । আদম বা মানুষ কে সিজদা না করার কারণে আমাকে শাস্তি হিসাবে বেহেস্ত থেকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল ।
-আমি আল্লাহর কাছে বললাম হে মহান আমাকে ক্ষমতা দাও তোমার নামাজী ভালো মানুষ কে বিভ্রান্ত করে তোমার পথ থেকে সরিয়ে পাপকাজে লিপ্ত করার এবং মহান আল্লাহ তা অনুমোদন করলেন । আমি আমার সংখ্যা বৃদ্ধি করে সারা দুনিয়া ছড়িয়ে দিলাম ।তারা বিভিন্নদেশে কাজ করছে ,আর আমি দলবল নিয়ে বাংলাদেশ এ , কিন্তু ইদানিং মহা সমস্যা আমার কাজ কাম প্রায় বন্ধ আমার সাথে লক্ষ লক্ষ শয়তান এখন বেকার তারা মানুষের ভয়ে ভীত বাংলাদেশ ছেড়ে পালতে পারলে বাঁচে ।
কিভাবে কেন জানতে চান ?
প্রথম কথা হলো এখন ঈমানদার চেনা মুশকিল বিশাল দাড়ি জুব্বা ওয়ালা লোক দেখে তার পিছু নিলাম দেখা গেলো সে মহা ঘুষ খোর , বাসায় কাজের মেয়েও তার কাছ হতে থেকে নির্যাতিত , মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রী বলৎকার এর শিকার । ধর্মের লেবাছ নিয়ে একদল বিশাল ব্যবসা ফেঁদে বসে আছে দামি গাড়ি আর হেলিকপ্টারে চড়ে ওয়াজ করে । আমাদের জীবনে এইসব জিনিস আমরা দেখি নাই আমরা ভাবতাম আল্লাহর পথ থেকে সরালে তারপর সে খারাপ হবে ও বাবা এ দেখি পাঁচওয়াক্ত নামাজ পরে কথায় কথায় আল্লা আল্ল্লা করে কামের বেলা অকাম । ভালো লোক খুঁজে পাচ্ছি না যা ও দুই একজন কে লেবাছ দেখে টার্গেট করি কাজ করতে যেয়ে দেখা যায় তার মন মানসিকতা শয়তানদের চিন্তা ভাবনা থেকেও খারাপ ।
ভাবছেন হয়তো দাড়িওয়ালা লোকদের কথাই শুধু বলছি না ভাই দাড়ি ছাড়া লোকদের কাছেও যেয়েও কোনো লাভ নাই সেখানেও ভদ্রতার মুখোশ আর লেবাস পড়া শয়তানের চেয়েও মহা শয়তানরা ভর্তি ।
আমাদের সুবিধা হলো মানুষের মনের কথা বুঝতে পারি ।আসামি সেজে এক উকিলের কাছে গেলাম সে মহা মিথ্যা শিখিয়ে উপদেশ দিলো প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য । ও আল্লাহ তার মনে দেখি আমাকে ঘায়েল করে আমাকে বিপদে ঠেলে দিয়ে আমার টাকা পয়সা হাতানোর চিন্তা । আপনি ই বলুন এইটা কোনো কথা ? সৃষ্টির সেরা জীব শিক্ষিত সার্টিফাইড উকিলের মনে কি কুৎসিত চিন্তা!!! আমি সোজা উল্টা পথে হাত দিলাম, না বাবা এই মানুষ আগেই খারাপ হয়ে আছে এর চেয়ে বেশি খারাপ করা সম্ভব না ।
এক ডাক্তারের কাছে গেলাম রুগী সেজে , বৃদ্ধ অনেক অভিজ্ঞ মানসন্মান ওয়ালা লোক ঢাকায় বাড়ি গাড়ি আছে । ও বাবা উনি বিশাল এক টেস্ট লিস্ট দিলেন এই টেস্ট ওই টেস্ট আর যেহেতু আমরা মনের কথা পড়তে পারি তাই বুঝলাম টেস্ট এর কমিশন উনার মূল লক্ষ্য , এই লোককে কি আর খারাপ করা যায় বলেন সে তো নিজেই খারাপ হয়ে মানুষের রক্ত চুষে খাচ্ছে ।
গেলাম এক নেতার কাছে দেখি নেতাকে খারাপ করে তার অনুসারীদের খারাপ করা যায় কিনা সেই চেষ্টায় , ওরে বাবা এতো দেখি মহা ওস্তাদ সরকারি কর্মকর্তার সাথে উন্নয়নের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দর কষাকষি করছে। কাকে যেন মোবাইল এ বললো ফেলে দে শালারে না হলে ওসিরে আমার কথা বল ওকে মাদক মামলায় ভোরে দে , আমি মিথ্যা কেছে ফেঁসে যাওয়ার আগে ওখান থেকে সরে এলাম
আপনি হয়তো বলবেন এইসব বানানো মিথ্যা কথা আচ্ছা সামনেই রমজান মাস এই পবিত্র মাসে মহান আল্লাহ আমাদের বন্দি করে রাখেন আমরা তখন মানুষকে শয়তানি করতে বুদ্ধি দিতে পারি না কিন্তু আপনি দেখবেন সেই সময় পাপকাজ , ভেজাল মাল বিক্রি ,প্রতারণা বন্ধ থাকে না তাহলে সেই সময় কে বুদ্ধি দিচ্ছে আসলে অকাম মানুষ করে আমাদের ঘাড়ে মিথ্যা দুর্নাম দেয় ।কি আজব দেশ অকাজ করে নিজে আর দোষ দেয় আমাদের শয়তানদের ।
যেখানেই যাই অবস্থা ভালো না শয়তানের চেয়ে মানুষ এখন অনেক বেশি শয়তানি বুদ্ধি রাখে, আর প্রাকটিস করে । তাই আমার দলবল বলছে ওস্তাদ এই দেশে থাইকা আমাগো সময় নষ্ট না কইরা অন্য দেশে চইলা গেলে ভালো আর কিছু না হউক আমাগো নিজেগোনাম পরিচয় ঠিক থাকবো ।বাংলাদেশ এর মানুষ গো মতো চরিত্র হইলে আপনি নিজেরে আর খারাপের সেরা ইবলিশ শয়তান হিসাবে পরিচয় দিবার পারবেন না বলতে হইবো আমি সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ আমি ইবলিশের চেয়েও খারাপ ।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০১৯ রাত ১০:০৫