বাঁশ খেয়েছিরে ভাই
আছি খুব যন্ত্রনায়
বাঁশ খেয়ে এখন আমার
প্রাণটাই বুঝি যায়!
বাঁশ খেয়েছিস কেমনে?
বলতো একটু খুলে
বাঁশ কি, কেমনে খায়?
গিয়েছি সব ভুলে!
বলিস কী, চিনিশ না
জানিস না কেমনে খায়?
বাঁশের গল্প বলছি খুলে
আয়, কাছে আয়!
বাঁশের গল্প বলছি
শোনরে ভাই!
মারামারি, নির্মানে বা
কবরে বাঁশ চাই!
পান্ডায় খায় বাঁশের কড়ুল
উপজাতী খায় রেঁধে
যদি বলো বাঁশ খাবে ভাই?
খাবে নাতো কেউ সেধে!
বাঁশ খাওয়ার জন্য কেউ
রেডি থাকে না ভাই
মাঝে মাঝে আমরা তবু
অনিচ্ছায়ও বাঁশ খাই!
কেউ খাচ্ছে কড়ুল বাঁশের
কেউ খাচ্ছে পাতা
এই তালিকা অনেক বড়
যদি খোল খাতা!
দেশ খাচ্ছে নেতাদের হাতে
নেতারা জনতার হাতে
কোনো না কোন ভাবে বাঁশ
পড়বেই তোমার পাতে।
পিঠে নেবে নাকি পিছে?
সেটা তোমার ইচ্ছা
বছরেও শেষ হবে না
বল্লে নেয়ার কিচ্ছা!
ঠিকাদারে রাস্তার কাজে
দিচ্ছে বাঁশের চটি
জনতার-দেশের হাতে দিচ্ছে
ধরিয়ে শুন্য ঘটি।
রড না দিয়ে চটি দিয়ে
করে বিল্ডিং, ড্রেন
বাঁশ দিয়ে বাঁধ দেয়া লাইনে
চলছে দিব্বি ট্রেন!
বাঁশের খুটি পুতে দেখবে
নদীতে বাঁধ দিয়ে
নির্বিচারে মাছ ও পোনা
যাচ্ছে ধরে নিয়ে।
বাঁশ দিয়ে লকডাউনে
দিচ্ছে সবাই বাধা
উপর-নিচ দিয়ে যাবে
এক শ্রেণীর গাধা!
বাঁশ অনেক উপকারী
সদ্ব্যবহার হলে
এবার তোমায় বাঁশের গুণের
কথা যাচ্ছি বলে।
বাঁশ দিয়ে হয় খেলনা ঘুর্ণি
কবুতরের খোপ
শিশু কালে লুকাতাম গিয়ে
পেলে বাঁশের ঝোপ!
বাঁশের সাকো হয় যে তৈরী
খালের উপরে
ব্যবহার করি যেতে আমরা
এপারে-ওপারে।
বর্ষার কালে মাছ ধরে
দিয়ে বাঁশের চাই
বাঁশের তৈরী ভাঙ্গা কুলা
ফেলতে লাগে ছাই।
বাঁশের চটির ঘুড়ি দেখো
উড়ছে আকাশময়
বাঁশ দিয়ে লাটাই আবার
বাঁশিও তৈরী হয়।
বাঁশের তৈরী নানান রকম
হস্তশিল্প দিয়ে
শোভা বাড়াই আমরা সবাই
নিজের ঘর সাজিয়ে।
বাঁশ বাগানের রূপ নিয়ে
বাংলার কত কবি
লিখে গেছেন হাজারো কবিতা
শিল্পী একেঁছেন ছবি।
সুখের নিদ্রা দেয় গরিবে
বাঁশের-ছনের ঘড়ে
ধনীরাও ছাদের উপর
সে ঘর তৈরী করে।
গরিবের মত নিদ্রা হয়না
পায়না অত শান্তি
অপকর্ম করে করে
বাড়াইছে অশান্তি!
গ্রামে গঞ্জে বাঁশের দোলনায়
দোল খায়নি যে
এই বাংলায় সবচে বড়
অভাগাজন সে!
ঘর, মাচা, মই, মাদুর
সকল হস্তশিল্প
বাঁশের ব্যবহার অনেক
ভেবো নাকো অল্প!
বাঁশ শিল্প লোকশিল্প
সঠিক ব্যবহারে
বেপথে বাঁশ ব্যবহারে
যন্ত্রনাই বাড়ে!
কারো পিছনে যাচ্ছে বাঁশ
আইক্কা গুনে কেউ
সবাই আমরা বাঁশ খাচ্ছি
বুঝছে নাতো কেউ!
অধম জুয়েল তাইতো আজ
ভাবছে মনে মনে
খাওয়ার পরে আর কী হবে
বাঁশের আইক্কা গুনে?
ঘর, কবর, বেড়ার কাজে
বাঁশ বড় দরকারী
বাঁধা নাইতো শিল্পকর্মে
খেতে পারো তরকারী
সাবধানে তাই থাকতে হবে
অযথা কেউ পিছে
দেয় না যেন আইক্কাওয়ালা
বাঁশ একখানা গুজে।
হাতে হারিকেন পিছনে বাঁশ
বহুত পুরান কথা
বুঝবে না সে খায়নি যেজন
বাঁশ খাওয়ারই ব্যথা।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০১