স্বৈরশাসক এরশাদের নারীপ্রীতি সর্বজনবিদিত। একজন নারীখোর হিসেবে ওনার খ্যাতি কিংবদন্তী পর্যায়ের। সম্ভবত সেই কারণেই থাইল্যান্ড তথা শ্যামদেশ ওনার নাকি প্রিয় জায়গা ছিল। বলা হয়ে থাকে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক প্রস্টিটিউটদের স্বর্গরাজ্য। পর্যটন নগরী হিসেবেও এর খ্যাতি আছে। সেই জন্যই রুপোপজীবিনিদের আনাগোনাও এখানে বেশি। এদের মধ্যে ফিলিপিন্স, চায়না ও ইনডিয়ানরা সংখ্যাধিক্য। প্বার্শবর্তী দেশ মালয়শিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার কিছুসংখ্যকেরও আনাগোনা আছে। পর্যটন মৌসুমে দিব্যি ঘরসংসার করা অনেক নারীও নাকি সাময়িক উপার্জনের আশায় শ্যামদেশে পাড়ি জমায়।
জেনারেল এরশাদ সময়ে-অসময়ে বিভিন্ন কারনে থাইল্যান্ড সফর করতেন। রাষ্ট্রীয় কাজের পাশপাশি শ্যামদেশের শ্যামাঙ্গীগণও যে তাকে টানত সে কথা বলাই বাহুল্য। ওনার আরও একটা প্রীতি ছিল, সেটা হলো গলফ প্রীতি।
একবার এরকম এক সফরে ওনার খেদমতে নিযুক্ত করা হলো অনিন্দ্য সুন্দরী এক থাই বালাকে, যার ইংরজী জ্ঞান ছিল ইয়েস নো-র মধ্যেই সীমিত। এরশাদের সঙ্গে রমণে লিপ্ত অবস্থায় শীর্ষ সুখের এক পর্যায়ে সেই থাই সুন্দরী বারবার বলে উঠছিল, ফুকাসো, ফুকাসো।
জেনারেল এরশাদ অনেক চেষ্টা করেও বুঝতে পারলেন না এর মানে কি?
অনেক তৃপ্তিকর একটা অভিজ্ঞতার পরের দিন বিকালে তিনি গেলেন থাই কর্মকর্তাদের সঙ্গে গলফ খেলতে। একটি বল গলফ ক্লাব দিয়ে যথেষ্ট যত্নের সঙ্গে আলতো করে মারার পরেও বলটি গর্তের পাশে গিয়ে থেমে পড়ল।
এরশাদ অস্বস্তির স্বরে বললেন, শিট।
আর থাই কর্মকর্তারা বলে উঠলেন, ফুকাসো, ফুকাসো।
এরশাদের জিজ্ঞাসু চোখের দিকে তাকিয়ে দোভাষী সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠলেন, এক্সেলেন্সি, দে মিন, ইউ হ্যাভ মিসড দি হোল। হুজুর, ওনারা বলছেন আপনি গর্ত মিস করেছেন।
পরবর্তী তার অন্যান্য শয্যসঙ্গীরাও ফুকাসো, ফুকাসো বলেছেন কি না কে জানে?
সূত্রঃ মৌচাকে ঢিল ঈদসংখ্যা। ২০০৯