আজকের এই বিশেষ দিনে যেখানে বিজয়ের শুভেচ্ছা বিনিময় করার কথা সেখানে সচেতনতামূলক পোস্ট লিখছি। আজকে অনেকেই ঈদ মোবারক অভিবাদন জানাচ্ছেন কিন্তু ঈদ মানে তো হিংসা বিদ্বেষ কষ্ট ভুলে শত্রুকেও আলিঙ্গন করা। অথচ চারপাশে যেন প্রতিহিংসার আগুন দাউদাউ করে জ্বলছে। এটা তো কাম্য ছিল না আমাদের কারো কাছে। ছাত্রদের সমন্বয়গণ বারবার নিষেধ করেছে সহিংসতা করতে। কিন্তু দুর্বৃত্তরা নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে যেটা ছাত্রসমাজের কাজ নয়। কোথাও বাড়িঘরে হামলা, আগুন, থানায় আগুন, যানবাহনে আগুন, গোলাগুলি, এমনকি মন্দিরেও ভাঙচুর, আগুন নৈরাজ্য অবস্থা। দীর্ঘ সময়ের পুষে থাকা ক্ষোভ এভাবে বের হবে তা কিছুটা অনুমেয় ছিল কিন্তু তাই বলে আজকেই এ অরাজকতা দুঃখজনক। এই সময়টা খুবই নাজুক। দেশের মাথা আপাতত নেই তাই যেকোন ভুল পদক্ষেপ বিশাল ক্ষতি করতে পারে। কোনভাবেই বহিরাগত কোন শক্তিকে সুযোগ দেয়া যাবে না। আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
* নিজের পুরাতন যন্ত্রণাদায়ক স্মৃতি ভুলে গিয়ে নতুন বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য সবাই প্রস্তুতি নেই।
* রাষ্ট্রীয় সম্পদ সংরক্ষণ করি। অন্যথায় রাষ্ট্রের ক্ষতি আমাদেরই ক্ষতি।
* আইন নিজের হাতে না তুলি। আর একটু ধৈর্য্য ধরে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ বিচারের অপেক্ষা করি।
* আমাদের মুক্তির পথ উন্মোচনকারী ছাত্রদের মান ক্ষুন্ন হোক এমন কাজ থেকে বিরত থাকি।
* বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার ব্যাপারটি নিশ্চিত করার আপ্রাণ চেষ্টা করি যাতে তাদের কাছে ভীনদেশী অনুভুতি না আসে।
* মসজিদ মন্দির ধর্মীয় উপসনালয়ে যাতে কোন দুষ্কৃতিকারী ফ্যাসাদ সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে সামাজিকভাবে নজরদারি জোরদার করি।
মনে রাখবেন এটা চূড়ান্ত বিজয় না, এখনো অনেক পথ বাকি। কোন মতে যাতে নিজেদের মাঝে বিভেদ ও মনোমালিন্য সৃষ্টি না হয়। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে জাত, পাত, ধর্ম, বর্ণ, ছোট বড় নির্বিশেষে একতা বজায় রাখি। কল্পনাতীতভাবে এক মাসের মধ্যে স্বৈরাচারের বিদায় ঘটেছে, আস্থা রাখুন ইনশাআল্লাহ সামনে ভালো কিছু অপেক্ষা করছে। তাই আমরা প্রতিহিংসাপরায়ণ না হয়ে সহনশীলত আচরণ করি যেন দেশ ও দশের কল্যান হয়।